আজকাল ডায়াবেটিস যেন লাইফস্টাইল ডিজিজে পরিণত হয়েছে৷ সারা দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত৷ অন্যদিকে, বাবা-মায়ের যদি ডায়াবেটিস থেকে থাকে, তাহলে তাঁদের সন্তানদেরও ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷আজকালকার লাইফস্টাইল, খাদ্যাভ্যাস, শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় থাকার অভ্যাস, স্থূলতা ইত্যাদির মতো একাধিক কারণ রয়েছে যা ডায়াবেটিসের জন্ম দেয়। তবে, আপনি যদি প্রতিদিন ব্যায়াম করেন এবং আপনার ডায়েটে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখেন, তাহলে আপনি সুস্থ থাকতে পারেন।যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, তবে এটি শুধুমাত্র যে অনেক রোগের জন্ম দেয় তাই নয়, বরং কিডনি-লিভার-হার্ট সহ নানা অঙ্গের ক্ষতিও করে। তাই ব্লাড সুগার থাকলে আপনার খাদ্যাভ্যাসের প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখুন।পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এমন কিছু খাবার সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন, যা নিয়মিত সেবন করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। আসুন জেনে নিই সেই খাবারগুলোর নাম।আমলকি: এতে প্রচুর পরিমাণে ক্রোমিয়াম থাকে। ক্রোমিয়াম এক ধরনের খনিজ, অর্থাৎ, মিনারেল যা কার্বোহাইড্রেটের বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে। বলা হয় যে, ক্রোমিয়াম শরীরকে ইনসুলিনের প্রতি আরও প্রতিক্রিয়াশীল করে তোলে, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।নিম: ডায়াবেটিস থাকলে নিম পাতা জলে ফুটিয়ে নিমের রস পান করুন৷ কয়েকদিনের মধ্যেই দেখতে পাবেন ফারাক।জাম: এটিকে ভারতীয় ব্ল্যাকবেরি বলা হয়। জাম এমন একটি ফল যাতে জাম্বোলিন নামে একটি যৌগ থাকে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে অনেকাংশে কার্যকর। জাম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল।দারুচিনি: রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এটি খুবই উপকারী বলে বিবেচিত হয়েছে। অনেক গবেষণায় জানা গিয়েছে, রান্নাঘরের এই মশলা ইনসুলিনের প্রভাব অনুকরণ করতে পারে। ইনসুলিন একটি হরমোন যা রক্ত থেকে শর্করা অপসারণ করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস থাকলে আপনি দারুচিনি চা বা জল পান করতে পারেন। এটি খাবার অর্থাৎ, তরিতরকারি তৈরিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।দারুচিনি: রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এটি খুবই উপকারী বলে বিবেচিত হয়েছে। অনেক গবেষণায় জানা গিয়েছে, রান্নাঘরের এই মশলা ইনসুলিনের প্রভাব অনুকরণ করতে পারে। ইনসুলিন একটি হরমোন যা রক্ত থেকে শর্করা অপসারণ করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস থাকলে আপনি দারুচিনি চা বা জল পান করতে পারেন। এটি খাবার অর্থাৎ, তরিতরকারি তৈরিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।করলা: করলা শরীরের ব্লাড সুগার কমাতে খুবই উপকারী। কারণ করলার এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ইনসুলিনের মতো কাজ করে, যা কোষে গ্লুকোজ আপটেক করতে সাহায্য করে।Flaxseeds: Flaxseeds ফাইবার, ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড এবং lignans সমৃদ্ধ। শণের বীজ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।Disclaimer: এই প্রতিবেদনে থাকা তথ্যের সত্যতা নিউজ ১৮ নিশ্চিত করে না৷ প্রত্যেকের শরীর এবং রোগের ধরন ভিন্ন৷ কোনও নতুন কিছু ব্যবহার শুরু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷ এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
