এর আগে আদালতে রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়, রাজ্য নিয়োগের শূন্যপদ তৈরি করে, এসএসসি নিয়োগ করে৷ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও অনিয়ম থাকলে সেটা এসএসসি বিস্তারিত জানাতে পারবে৷

Supreme Court on Hindu Marriage: ‘সাত পাকে বাঁধা পড়ে নিয়ম মেনে বিয়ে না করলে হিন্দু বিয়ে বৈধ নয়’, বলল সুপ্রিম কোর্ট

নয়াদিল্লি: শুধু মাত্র রেজিস্ট্রি করলেই হিন্দু বিয়ে বৈধ নয়, হিন্দু বিয়ে মানে সাত পাকে বাঁধা পড়া। সেই সঙ্গে শাস্ত্র মতে একাধিক রীতিনীতি এবং সংস্কার মেনে পবিত্র এক সামাজিক অনুষ্ঠান। বিবাহ নিয়ে এক মামলার রায়ে এমনই জানাল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

আরও পড়ুন: সরকারকে কর দেননি, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ৫ লাখের উপর সিম কার্ড, কড়া পদক্ষেপ পাকিস্তান সরকারের

বিবাহ সংক্রান্ত এক মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং অগাস্টিন জর্জ মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, হিন্দু বিয়ে শুধুমাত্র নাচগান বা খাওয়াদাওয়ার অনুষ্ঠান নয়। পণ বা উপহারের জন্য চাপ সৃষ্টি করার কোনও রীতিও নয়, যা আইনত অপরাধ। হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী হিন্দু বিবাহের সংজ্ঞাও জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের দিনেই শাস্তি হার্দিকের, বাঁচলেন না রোহিত-বুমরাও, কী করেছিলেন?

সুপ্রিম কোর্টের এই বেঞ্চের নিয়ম অনুযায়ী, যত ক্ষণ না পর্যন্ত সমস্ত রীতি এবং সংস্কারের মাধ্যমে বিবাহের অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হচ্ছে তত ক্ষণ পর্যন্ত তাকে বিয়ে বলা যায় না। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, “যখন বিয়েতে সপ্তপদী অর্থা‍ৎ বর-কনে মিলে অগ্নিসাক্ষী করে সাত পাক ঘোরা হয়, তখনই বিয়ে সম্পন্ন হয়। যেই বিয়েতে নিয়ম এবং সংস্কার সঠিক ভাবে মানা হয় না তাকে হিন্দু বিবাহ হিসাবে মানা যায় না। শুধু তাই নয়।”

এখানেই না থেমে বিচারপতিরা জানিয়েছেন, ধর্মীয় সংস্কার এবং নিয়ম পালনের যথেষ্ট প্রমাণও রাখা উচিত, যাতে হিন্দু বিবাহ আইনে বিয়ে নিয়ে কোনও সন্দেহ না জন্মায়। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, হিন্দু বিবাহ আইনের সপ্তম অনুচ্ছেদ মতে, ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করে বিয়ে না হলে সেই বিয়ে বৈধ নয়।