ATAGS : ইতিহাসে প্রথমবার দেশীয় প্রযুক্তির কামান দিয়ে স্বাধীনতা দিবসে গান স্যালুট ! গর্বিত মোদি

#নয়াদিল্লি: শুধু কথার কথা নয়, ভারী অস্ত্র তৈরি করার ক্ষেত্রে ভারতীয় প্রযুক্তি কতখানি এগিয়ে গিয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া গেল স্বাধীনতা দিবসের সকালে। ভারতের গর্ব, শত্রুদের মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে নতুন কামান আত্যগস (ATAGS)। ভারতের স্বাধীনতা দিবসে এই প্রথমবার তোপধ্বনি (‘গান স্যালুট’) দেওয়া হল দেশে তৈরি হাউইৎজার কামানে।

আরও পড়ুন – East Bengal : বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর হাতে উদ্বোধন ইস্টবেঙ্গলের সংগ্রহশালা, চমক পঞ্চপান্ডবের মূর্তি

সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই আধুনিক অস্ত্র তৈরি করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও)। ক্ষমতায় এসেই প্রতিরক্ষা খাতে ‘আত্মনির্ভর’ হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার ধারাবাহিকতায় এটি হল। সোমবার ভারতের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস। দেশজুড়ে উৎসবের মেজাজে পালিত হচ্ছে মোদি সরকারের ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিনই প্রথম দেশে তৈরি কামানে দেওয়া হয় তোপধ্বনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ৭৫ বছর ধরে যে শব্দ শোনার জন্য দেশবাসী অপেক্ষা করেছিল, সেই শব্দ এতদিন পর শোনা গেল। এই প্রথম লালকেল্লায় দেশে তৈরি কামান দিয়ে তোপধ্বনি দেওয়া হয়েছে। মোদি জানান, আত্মনির্ভর ভারতের দিকে পদক্ষেপ নিয়ে প্রায় ৩০০টি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি বন্ধ করা হয়েছে। সেগুলো এখন দেশেই তৈরি করা হচ্ছে।

লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর জাতীয় সংগীত শুরু করে সামরিক ব্যান্ড। সেই সময় সেনার আর্টিলারি রেজিমেন্টের কামান থেকে ২১টি তোপধ্বনি দেওয়া হয়। ভারতে এতদিন পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানে বিদেশি কামান ব্যবহার করা হত। ব্রিটিশ ২৫ পাউন্ডর কামান ছিল এতদিন।
দেশটির ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে অ্যাডভানসড টাউড আর্টিলারি গান সিস্টেম নামের দেশীয় কামানে দেওয়া হল গান স্যালুট।

পর্যবেক্ষকদের ধারণা, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার পথে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা এই তোপধ্বনি। এটিএজিএস কামানটি ১৫৫ মিলিমিটারের গোলা ছুঁড়তে সক্ষম। প্রায় ৪৮ কিলোমিটার এর পাল্লা। ৫২ ক্যালিবার গোলা মারতে পারে। এতে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় ‘কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম’।

রাতের অন্ধকারেও শত্রুঘাঁটিতে অগ্নিবৃষ্টি করতে সক্ষম এই হাউৎজারটি। এখনও অবশ্য কিছু পরীক্ষামূলক ব্যবস্থা বাকি রয়েছে। তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হবে সেনাবাহিনীর হাতে।