#নয়াদিল্লি: ভারতের ঐতিহাসিক দিন। এই প্রথম বার ভারতের সিআরপিএফ অর্থাৎ সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের অ্যান্টি-নক্সাল কম্যান্ডো ব্যাটেলিয়ান (CoBRA)-এ মহিলাদের নিয়োগ করা হল। দীর্ঘ ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে পরবর্তীতে তাঁদের তৈরি করে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় নিয়োগ করা হবে। সিআরপিএফ (CRPF) সূত্রে খবর, ৮৮ তম মহিলা ব্যাটেলিয়ান উত্থান দিবসেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিআরপিএফ তার সোশ্যাল মিডিয়াতেও শেয়ার করেছে মহিলা কোবরা ব্যাটেলিয়ানের ছবি।
অল মহিলা ব্রাস ব্যান্ডের মাধ্যমে তাঁদের প্রত্যেককে এদিন স্বাগত জানানো হয়। এটিই হবে প্রথম মহিলাদের ব্রাস ব্যান্ড। সিআরপিএফের প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘সিআরপিএফ এর এই মহিলা আধিকারিকেরা দীর্ঘ ট্রেনিংয়ের মধ্যে দিয়ে যাবেন। সঙ্গীত ও বাদ্যযন্ত্রেরও ট্রেনিং দেওয়া হবে তাঁদের। এই মহিলা আধিকারিকদের প্রত্যেকেই পাইপ ব্যান্ড প্রাপ্ত।’ ভারতে মহিলাদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এটি হতে চলেছে একটি ঐতিহাসিক দিন। এটি নজির তৈরি করবে গোটা বিশ্বজুড়ে, মনে করে সিআরপিএফ। গোটা বিশ্বে এটিই প্রথম মহিলা কোবরা ব্যাটেলিয়ান।
History in making: The first batch of CRPF Women Warriors joins the elite CoBRA. The batch will undergo strenuous @CoBRASECTORHQ pre-induction training and will then be posted in LWE areas alongside their male counterparts.
Congratulations to the new entrants.#Narishakti pic.twitter.com/wshaOW2gAe
— ??CRPF?? (@crpfindia) February 6, 2021
সিআরপিএফের ডিরেক্টর জেনারেল এপি মাহেশ্বরীর দাবি, ‘মহিলা যোদ্ধা তৈরির ক্ষেত্রে ভারতের এই সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক। শুধু দেশেই নয়, ইউ এন শান্তিচুক্তি মিশনেও কাজ করবেন তাঁরা। লিঙ্গ নিরপেক্ষতার ক্ষেত্রেও এটি উদাহরণ স্বরূপ। মহিলাদের দ্বারা তৈরি এই পরিবার গোটা দেশের কাজে লাগবে।’ আগামী তিন মাস ধরে ৬টি মহিলা সিআরপিএফ ব্যাটেলিয়ান থেকে যোগ দেওয়া প্রায় ৩৪ জন মহিলাকে এই ট্রেনিং দেওয়া হবে। শারীরিক ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশেষ অস্ত্রচালনা এবং সামরিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও তৈরি হবে তাঁদের। পাশাপাশি সীমান্তে ও মাওবাদী এলাকায় বোমা ও জঙ্গলে বেঁচে থাকার নানা টিপস রপ্ত করতে হবে তাঁদের।
এই ট্রেনিং শেষ হওয়ার পর পুরুষ জওয়ানদের সঙ্গেই বিভিন্ন মাওবাদী এলাকায় পোস্টিং হবে মহিলা কম্যান্ডোদের। ৮৮ মহিলা ব্যাটেলিয়ান ইতিমধ্যেই ৩৪ বছর ধরে দেশসেবায় নিয়োজিত রয়েছে। দেশ ও বিদেশের মাটিতেও ইউ এন শান্তিচুক্তির মিশনেও কাজ করেছেন তাঁরা। নিজেদের ডিউটিতে থাকার সময় সাত মহিলা কম্যান্ডো মৃত্যুবরণও করেছেন। এঁদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের কাজে বীরত্বের জন্য সর্বোচ্চসম্মান অশোক-চক্রে ভূষিত হয়েছেন।