Tag Archives: CRPF

Chattisgarh: ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে সবথেকে বড় অভিযান নিরাপত্তাবাহিনীর, দান্তেওয়াড়ায় নিহত ৩১ মাওবাদী

রায়পুর: ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত সবথেকে বড় অপারেশনে মোট ৩১ জন মাওবাদীদের নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা আধিকারিকরা। শুক্রবার, এই অপারেশনে সাফল্য পাওয়া গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: ট্রেনের কোচের সাজেই রেস্তরাঁ! পুজোয় আড্ডা, পেটপুজোর ঠিকানা! কোথায় পাবেন

শুক্রবার, অবুজমাদ এলাকার নেন্দুর গ্রামের থুলথুলি এলাকায় বেলা ১ টায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলি যুদ্ধ শুরু হয়। মূলত, নারায়ণপুর-দান্তেওয়াড়া সীমান্ত অঞ্চলে এই গুলি যুদ্ধ শুরু হয়। সেনা এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী এই অপারেশনে অংশগ্রহণ করে। এই ঘটনায় মোট ৩১ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্তারের আই জি পি সুন্দররাজ।
এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, জেলা পুলিশের কিছু বাহিনী এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের নিয়েই এই অভিযান চালানো হয়। এই অভিযান শেষে ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-৪৭, একটি স্বয়ংক্রিয় এসএলআর পাওয়া গিয়েছে।

আরও পড়ুন: কাশী যেন এক টুকরো বাংলা, তৈরি হচ্ছে ইকো ফ্রেন্ডলি মা দুর্গা! দেখুন ছবি

এখনও পর্যন্ত ওই এলাকায় একের পর এক অভিযানে মোট ১৮৯ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশ এবং সেনার তরফ থেকে। এছাড়াও এই অভিযান শেষে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দাও সাই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডলে নিরাপত্তা বাহিনীর এই কৃতিত্বের প্রশংসা করেছেন তিনি।


এই প্রসঙ্গে তিনি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “নিরাপত্তাকর্মীদের এই কাজ সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি তাঁদের সাহসের প্রতি মুগ্ধ।”
তিনি আরও লেখেন, “মাওবাদীদের বিরুদ্ধে আমাদের এই লড়াই একদম শেষ পর্যন্ত গিয়ে তবেই থামবে। আমাদের ডবল ইঞ্জিনের সরকার এই লক্ষ্যে অবিচল।”

Kargil Vijay Diwas: কার্গিলের যুদ্ধক্ষেত্রের টাটকা অভিজ্ঞতা শোনালেন প্রাক্তন জ‌ওয়ান!

পূর্ব বর্ধমান: কার্গিল যুদ্ধের কথা কমবেশি সকলেরই মনে আছে। ১৯৯৯ সালের ২৬ জুলাই কারগিল যুদ্ধে জয়লাভ করেছিল ভারতবর্ষ। সেই থেকে আজও প্রতিবছর ২৬ জুলাই দিনটি কার্গিল দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। শেষ পর্যন্ত কার্গিল যুদ্ধে ভারত জয়লাভ করলেও, দেশের জন্য শহিদ হয়েছিলেন বহু জওয়ান। কারগিল যুদ্ধের ভয়াবহ সেই সব দৃশ্য আজও মনে আছে বর্ধমানের আধা সামরিক বাহিনীর প্রাক্তন জওয়ান পল্লব কুমার চট্টোপাধ্যায়ের। ২৬ জুলাই এলে আজও তিনি গর্ব অনুভব করেন। প্রত্যেকবছর ২৬ জুলাই তিনি স্যালুট দিয়ে সম্মান জানান নিজের স্মৃতি বিজড়িত সেই পোশাককে। নিজের বাড়িতেই গর্বের সঙ্গে পালন করেন কার্গিল বিজয় দিবস।

পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরের বাসিন্দা প্রাক্তন সিআরপিএফ জওয়ান পল্লব কুমার চট্টোপাধ্যায়। ১৯৮৮ সালে মধ্যপ্রদেশে সিআরপিএফ জওয়ান পদে যোগদান করেন। প্রত্যন্ত গ্রাম মোস্তফাপুরের বাসিন্দা পল্লব কুমার চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে কাটোয়া শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের স্টেডিয়াম পাড়ার বাসিন্দা তিনি। কারগিল যুদ্ধ চলাকালীন পল্লব’বাবুদের টিম দ্রাস এলাকায় পোস্টিং ছিল৷ তাঁর কাজ ছিল যুদ্ধে জখমদের সেবা করা। জখমদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভরতিকরা। শহিদ জওয়ানদের কফিনবন্দি করে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফেরত পাঠানো৷ যুদ্ধের প্রতিটা দৃশ্য, প্রতিটা মুহূর্ত তিনি চোখের সামনে থেকে প্রত্যক্ষ করেছেন। ২০০৯ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন পল্লববাবু। তবে আজ‌ওৎকারগিল বিজয় দিবসে তিনি পুরানো স্মৃতি মনে করে গর্ব অনুভব করেন। কার্গিল যুদ্ধের সেইসব ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা আজও স্পষ্ট মনে রয়েছে পল্লব চট্টোপাধ্যায়ের।

আর‌ও পড়ুন: গণপিটুনি ঠেকাতে পুলিশের প্রচার

তিনি বলেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই আমাদের দ্রাসে চলে যেতে হয়েছিল। দ্রাস থেকে মাত্র ৫ কিমি দুরেই কার্গিলের যুদ্ধক্ষেত্র। প্রতিনিয়ত গুলি, গোলা বর্ষনের আওয়াজে কানের পর্দা ছিঁড়ে যাওয়ার জোগাড় হয়েছিল। শত্রুপক্ষ মুর্হুমুর্হু মর্টার ছুঁড়ছে। তখন বাড়ির চিন্তা মাথাতেই নেই। এক্কেবারে নিজের মাতৃভূমি রক্ষার লড়াই প্রাণপনে লোড ছিলেন সবাই। একের পর এক সহযোদ্ধা জখম হচ্ছিল। তাঁদের রক্তে নিজের জামা ভিজেছে। তবুও তাঁদের সাহস জুগিয়ে গিয়েছেন। তবে শহিদদের কথা ভেবে মনের ভেতরটা হু হু করে সেদিন কেঁদেছে।

বর্তমানে পল্লববাবু অবসর নিলেও কার্গিল যুদ্ধ তাঁর কাছে যেন একটা স্মরণীয় মুহুর্ত হিসাবে রয়ে গিয়েছে। প্রতিবছর বিজয় দিবসে বাড়িতে কার্গিলের গল্প শোনানোটা এখন তাঁর রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে অবসর নিলেও আজও দেশের জন্য, শহিদ জওয়ানদের জন্য তিনি গর্ব অনুভব করেন। পুরানো সেই সমস্ত দৃশ্য আজও মনে গেঁথে রয়েছে তাঁর। যুদ্ধের ২৫ বছর পরেও তিনি এখনও ২৬ জুলাই স্যালুট জানান তাঁর সেই পোশাককে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Maoist attack: সুকমায় আইইডি বিস্ফোরণ মাওবাদীদের, নিহত দুই সিআরপিএফ জওয়ান

সুকমা: ছত্তীসগঢ়ের সুকমায় ফের মাওবাদী হানায় নিহত হলেন দুই সিআরপিএফ জওয়ান, আহত আরও অনেকে। দেশের মাওবাদী উপদ্রুত এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম ছত্তীসগঢ়ের সুকমা।

আরও পড়ুন: ক্যানের দুধ কিনলে এবার দিতে হবে জিএসটি! কিসের খরচ কমল, কিসেরই বা বাড়ল, শোনালেন অর্থমন্ত্রী

সূত্রের খবর, রবিবার বিস্পোরণের সময় একটি ট্রাকে করে যাচ্ছিলেন সিআরপিএফের জওয়ানরা। দুপুর ৩টে নাগাদ জগর গুণ্ডা থানা এলাকার সিলবের এবং টেকুলগুডেমের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কোবরা ২০১ ব্যাটেলিয়নের দুই জওয়ানের। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন কেরালার বিষ্ণু আর এবং উত্তরপ্রদেশের শৈলেন্দ্র।

বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পরেই সেখানে ছুটে যায় উদ্ধারকারী দল। আহত জওয়ানদের উদ্ধার করে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গত সপ্তাহেই ছত্তীসগঢ়ের মাড় অঞ্চলে মাওবাদী দমনে বড়সড় অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। সেই অভিযানে ৮ জন মাওবাদী নিহত হয়। শুধু তাই নয়, এক দিন আগেই সুকমায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে মাওবাদী শিবির থেকে জালনোট চক্রের হদিস পায়, সেখান থেকে টাকা ছাপার মেশিন, কালি, জালনোট উদ্ধার করে। সেই অভিযানে পুলিশের সঙ্গে ছিল, ডিস্টিক্ট রিজার্ভ গার্ড এবং সিআরপিএফ। তারপরেই রবিবার আইইডি বিস্ফোরণ ঘটাল মাওবাদীরা। এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন ছত্তীসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই।

Lok Sabha Elections 2024: নির্বাচন শেষ হলেও রাজ্যে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, হিংসা ঠেকাতে সিদ্ধান্ত কমিশনের

কলকাতা: নির্বাচন শেষ হলেই চলে যাবে না কেন্দ্রীয় বাহিনী, বরং রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে ভোটের ফল বেরোনোর পরেও। ভোট পরবর্তী হিংসা ঠেকাতে সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের।

আরও পড়ুন: চরম নৃশংস ঘটনা! রাতের খাবার না বেড়ে দেওয়ায় স্ত্রীর মাথা কেটে চামড়া ছাড়িয়ে নিল যুবক

১ জুন  অর্থাৎ শনিবার রাজ্যে শেষ দফা লোকসভা নির্বাচন। সেই দিন রাজ্যের ৯টি আসনে ভোটগ্রহণ হতে চলেছে। নিরাপত্তার জন্য নির্বাচন কমিশন ৯৬৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ৩৩০০০ রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করবে। শুধু কলকাতা পুলিশ এলাকাতেই মোতায়েন করা হবে ২৪৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ১১০০০ রাজ্য পুলিশ। শুধু তাই নয়, ভোট মিটলে এমনকী ফল ঘোষণার পরেও রাজ্যে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন ফলাফল ২০২৪, লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ রেজাল্ট

আরও পড়ুন: বিশ্বের উচ্চতম কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শনিবার, জানেন কত জন ভোটার?

অতীতে দেখা গিয়েছে ভোট মিটলে বা ভোটের ফল বেরোনোর পরে রাজ্যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে এর আগে বিভিন্ন দলের মধ্যে চাপানউতর ঘটেছে। এ বার যাতে সেই ঘটনা না ঘটে, সেই জন্য ভোট মিটলেও কিছু সময়ের জন্য রাজ্যে থাকবে ৪০০ কোম্পানি আধা সেনা। আগামী ৬ ই জুন পর্যন্ত বাংলায় থাকবে ৪০০ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী। ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিককে। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা আটকানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলেই নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। এ ছাড়া রাজ্যে আসা বাকি আধা সেনা ভোট শেষ হলেই, অর্থাৎ ১ জুনের পরেই ফিরে যাবে।

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ বুথ ফেরত সমীক্ষা

Naxal Attack: ‘নকশাল কাকু, আমার বাবাকে ফিরিয়ে দাও প্লিজ’, কাঁদতে কাঁদতে বলছে ৫ বছরের মেয়েটা

#জম্মু: নকশাল, মাওবাদী মানে কী, পাঁচ বছরের ছোট্ট মেয়েটা বোঝে না৷ কিন্তু সে এটুকু বুঝেছে, নকশালরাই তার বাবাকে আটকে রেখেছে৷ ছত্তীসগড়ের বিজাপুরে মাওবাদী হামলার পর অপহৃত সিআরপিএফ জওয়ান রাকেশ্বর সিং মানহসের পাঁচ বছরের ‘ছোট্ট পরী’ এ দিন সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে বাবাকে ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছে৷ ছোট্ট মেয়েটির কান্নাভেজা গলার কথাগুলো যে কাউকে নাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট৷

রাঘবি নামে পাঁচ বছরের ওই শিশুকন্যা নকশাল কাকুদের উদ্দেশে বলেছে, ‘পাপার পরী পাপাকে খুব মিস করছে৷ আমি আমার বাবাকে খুব ভালবাসি৷ প্লিজ নকশাল আঙ্কেল, আমার বাবাকে বাড়ি পাঠিয়ে দাও!’

পাঁচ বছরের মেয়েটা যখন এই কথাগুলি বলছে, তার দু’ চোখ বেয়ে জলের ধারা নেমে আসছে৷ ছোট্ট মেয়েটার চোখে জল দেখে পরিবারের বাকিরাও কান্নায় ভেঙে পড়েছে৷ উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের কর্মীদেরও হয়তো কারও কারও চোখের পাতা চিক চিক করে উঠেছে৷ কিন্তু যাদের উদ্দেশে তার এই আবেদন, তাদের মন কি ভিজবে?

শনিবার ছত্তীসগড়ের বিজাপুরে মাওবাদী হামলায় নিহত হন ২৩ জন সিআরপিএফ জওয়ান৷ এখনও খোঁজ নেই জম্মুর বাসিন্দা রাকেশ্বর সিং মানহসের৷ মনে করা হচ্ছে তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে মাওবাদীরা৷ ফলে নিখোঁজ জওয়ানের বাড়ির আর সবার মতো ছোট্ট মেয়েটাও বাবার ফিরে আসার খবরের অপেক্ষায় রয়েছে৷ ওই নিখোঁজ জওয়ানের মেয়েই শুধু নয়, তাঁর ৭ বছর বয়সি ভাইপোও সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের কাছে তার কাকুর খোঁজ জানতে চেয়েছে৷

এই দুঃসংবাদ আসার পরই রাকেশ্বরের বাড়িতে চলে এসেছেন তাঁর আত্মীয়রা৷ চিন্তায় ঘুম উড়েছে প্রত্যেকের৷ আগামী ১৫ এপ্রিলই পারিবারিক একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাড়িতে আসার কথা ছিল নিখোঁজ জওয়ানের৷

রাকেশ্বর নামে ওই জওয়ানের স্ত্রী মিনু বলেন, ‘পাঁচ দিন আগে ফোনে আমার স্বামীর সঙ্গে কথা হয়৷ উনি জানিয়েছিলেন একটা অভিযানে যাচ্ছেন, ফিরে এসে ফোন করবেন৷ যখন টেলিভিশনে এই হামলার খবর জানতে পারলাম, দুশ্চিন্তায় বার বার ওকে ফোন করছিলাম৷ কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি৷’

স্বামীকে ফোনে না পেয়ে তাঁর এক সহকর্মীকে ফোন করেন মিনু৷ তিনি তখন জানান, রাকেশ্বর অভিযানে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন৷ মিনুর দাবি, এর পর সোমবার বিকেলে বিজাপুর থেকে স্থানীয় সাংবাদিক বলে পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করেন৷ ওই ব্যক্তি রাকেশ্বরের স্ত্রীকে বলেন, তিনি যেন তাঁর স্বামীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়ে মাওবাদীদের কাছে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে অনুরোধ করেন৷

মিনু বলেন, ‘ওই ব্যক্তি আমাকে বলেন যে আমার স্বামীকে মাওবাদীরা অপহরণ করেছে এবং আমি যেন ভিডিও রেকর্ড করে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি৷ আমি ভিডিও রেকর্ড করে ওই ব্যক্তিকে পাঠিয়েও দিয়েছি৷ কিন্তু বিজাপুরে থাকা কেউ কী ভাবে আমার ফোন নম্বর পেলেন, এটা আমি বুঝতে পারছি না৷ এই বিষয়টির তদন্ত হওয়া উচিত৷’

মিনু আশাবাদী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁর স্বামীকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবেন৷ তাঁর কথায়, ‘পাকিস্তান থেকে উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ আমি আশাবাদী আমার স্বামীকেও নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবেন তিনি৷’ মিনু অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে এখনও পুরোপুরি বুঝতে পারছে না ঠিক কী হয়েছে৷ কিন্তু বাবার জন্য আশঙ্কায় একটানা কেঁদে চলেছে সে৷ মিনু বলেন, ‘ঠিক কী হয়েছে সেটা তো ওর পক্ষে বোঝা কঠিন৷ কিন্তু এত মানুষ বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করছে দেখে ও সমানে কেঁদে চলেছে আর প্রত্যেককে অনুরোধ করছে যাতে ওর বাবাকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়৷’

নিখোঁজ জওয়ানের ৭৫ বছর বয়সি মা-ও আশাবাদী, মাওবাদীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁর ছেলেকে নিরাপদে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে সরকার৷ সন্তানের জন্য চিন্তায় কাতর বৃদ্ধা বলেন, ‘আমার স্বামীও সিআরপিএফ-এ ছিলেন৷ তিনি দেশের জন্য শহিদ হয়েছিলেন৷ আমরা আশাবাদী আমার ছেলেকে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার চেষ্টার ত্রুটি রাখবে না৷’

সিআরপিএফ-এর তরফে নিখোঁজ জওয়ানদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারও নিখোঁজ জওয়ানদের ফেরাতে সবরকম চেষ্টা করবে বলে দাবি করা হয়েছে৷

জম্মুতে সিআরপিএফ-এর সদর দফতরের কম্যান্ড্যান্ট পি সি গুপ্তা নিখোঁজ জওয়ানের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বলেন, ‘আমি এখানে এসে নিখোঁজ জওয়ানের পরিবারকে আশ্বস্ত করেছি যে আমরা এবং কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের পাশেই রয়েছি৷ আমরা আমাদের সাহসী জওয়ানদের এই অভিযানে হারিয়েছি৷ তবে আমরা এই পরিবারকে আশ্বস্ত করছি যে তাঁরা তাঁদের ছেলেকে ফিরে পাবে৷’

ঐতিহাসিক দিন, CRPF-এর কোবরা বাহিনীতে এবার মহিলা কম্যান্ডো

#নয়াদিল্লি: ভারতের ঐতিহাসিক দিন। এই প্রথম বার ভারতের সিআরপিএফ অর্থাৎ সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের অ্যান্টি-নক্সাল কম্যান্ডো ব্যাটেলিয়ান (CoBRA)-এ মহিলাদের নিয়োগ করা হল। দীর্ঘ ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে পরবর্তীতে তাঁদের তৈরি করে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় নিয়োগ করা হবে। সিআরপিএফ (CRPF) সূত্রে খবর, ৮৮ তম মহিলা ব্যাটেলিয়ান উত্থান দিবসেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিআরপিএফ তার সোশ্যাল মিডিয়াতেও শেয়ার করেছে মহিলা কোবরা ব্যাটেলিয়ানের ছবি।

অল মহিলা ব্রাস ব্যান্ডের মাধ্যমে তাঁদের প্রত্যেককে এদিন স্বাগত জানানো হয়। এটিই হবে প্রথম মহিলাদের ব্রাস ব্যান্ড। সিআরপিএফের প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘সিআরপিএফ এর এই মহিলা আধিকারিকেরা দীর্ঘ ট্রেনিংয়ের মধ্যে দিয়ে যাবেন। সঙ্গীত ও বাদ্যযন্ত্রেরও ট্রেনিং দেওয়া হবে তাঁদের। এই মহিলা আধিকারিকদের প্রত্যেকেই পাইপ ব্যান্ড প্রাপ্ত।’ ভারতে মহিলাদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এটি হতে চলেছে একটি ঐতিহাসিক দিন। এটি নজির তৈরি করবে গোটা বিশ্বজুড়ে, মনে করে সিআরপিএফ। গোটা বিশ্বে এটিই প্রথম মহিলা কোবরা ব্যাটেলিয়ান।

সিআরপিএফের ডিরেক্টর জেনারেল এপি মাহেশ্বরীর দাবি, ‘মহিলা যোদ্ধা তৈরির ক্ষেত্রে ভারতের এই সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক। শুধু দেশেই নয়, ইউ এন শান্তিচুক্তি মিশনেও কাজ করবেন তাঁরা। লিঙ্গ নিরপেক্ষতার ক্ষেত্রেও এটি উদাহরণ স্বরূপ। মহিলাদের দ্বারা তৈরি এই পরিবার গোটা দেশের কাজে লাগবে।’ আগামী তিন মাস ধরে ৬টি মহিলা সিআরপিএফ ব্যাটেলিয়ান থেকে যোগ দেওয়া প্রায় ৩৪ জন মহিলাকে এই ট্রেনিং দেওয়া হবে। শারীরিক ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশেষ অস্ত্রচালনা এবং সামরিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও তৈরি হবে তাঁদের। পাশাপাশি সীমান্তে ও মাওবাদী এলাকায় বোমা ও জঙ্গলে বেঁচে থাকার নানা টিপস রপ্ত করতে হবে তাঁদের।

এই ট্রেনিং শেষ হওয়ার পর পুরুষ জওয়ানদের সঙ্গেই বিভিন্ন মাওবাদী এলাকায় পোস্টিং হবে মহিলা কম্যান্ডোদের। ৮৮ মহিলা ব্যাটেলিয়ান ইতিমধ্যেই ৩৪ বছর ধরে দেশসেবায় নিয়োজিত রয়েছে। দেশ ও বিদেশের মাটিতেও ইউ এন শান্তিচুক্তির মিশনেও কাজ করেছেন তাঁরা। নিজেদের ডিউটিতে থাকার সময় সাত মহিলা কম্যান্ডো মৃত্যুবরণও করেছেন। এঁদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের কাজে বীরত্বের জন্য সর্বোচ্চসম্মান অশোক-চক্রে ভূষিত হয়েছেন।