কলকাতা Hollong Tourist Lodge: ফের ‘স্বমহিমায়’ ফিরছে হলং বাংলো! কবে থেকে থাকতে পারবেন পর্যটকরা? সামনে এল বড় খবর Gallery July 26, 2024 Bangla Digital Desk মাস খানেক আগে এক বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় হলং বনবাংলো। রাজ্য পর্যটন দফতরের অধীনে থাকা আইকনিক এই বনবাংলো রাজ্য তো বটেই, রাজ্যের বাইরের পর্যটকদের কাছে ছিল এক আকর্ষণের জায়গা। সেই বন বাংলোকেই ফের একবার স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনার পথে রাজ্য সরকার। ১৯৬৭ সালে মাদারিহাটে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের মধ্যে তৈরি করা হয়েছিল হলং বন বাংলো। তৈরির পর থেকেই পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই বাংলো। গত ১৯ জুন এক ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায় এই বনবাংলো। ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত এই বনবাংলোর অগ্নিকাণ্ডের খবরে শুধু পর্যটকরাই নন, শোকাহত হন বন দফতর ও পর্যটন দফতরের আধিকারিকরাও। বন দফতরের পক্ষ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই সঙ্গে এই বনবাংলোকে পুনরায় নিজের জায়গায় ফিরিয়ে আনার বিষয়েও আলোচনা শুরু হয় দফতরের অন্দরেই। সূত্রের খবর, এই বনবাংলোকে আবার স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সবকিছু আগের মতো করেই করা হবে। তবে যা কিছুই হোক না কেন, তা হবে বন দফতর ও পরিবেশ দফতরের আইন মেনেই। এই বিষয়ে বন দফতরের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা জানান, “আমরা সব রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জমা দিয়েছি। আমরাও চাই ওই বাংলো তার পুরনো অবস্থাতেই ফিরে আসুক। মুখ্যমন্ত্রীও এই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। তিনি যেভাবে আমাদের নির্দেশ দেবেন, আমরা সেভাবেই সব করব।” কবে নাগাদ ফের এই বনবাংলো আবার পর্যটকদের জন্য স্বমহিমায় ফিরে আসবে? এই প্রশ্নের জবাবে বনমন্ত্রী জানান, “আমরা প্রস্তুত আছি। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিলেই কাজ শুরু করা হবে। পুজোর আগেই ফের এই বাংলো খুলে দেওয়া যাবে কি না বলা যাচ্ছে না, তবে আমরা সব রকম চেষ্টায় আছি।” এদিকে ঐতিহ্যবাহী এই হলং বনবাংলোর দায়িত্ব পূর্বের মতো পর্যটন দফতরের হাতেই থাকবে নাকি বন দফতরের হাতে আসবে, সে বিষয়ে কিছু গুঞ্জন শুরু হয়েছে। একদিকে পর্যটন দফতর হলং বনবাংলো তাদের হাত থেকে ছাড়তে চাইছে না, আবার উল্টোদিকে বন দফতরের কর্তাদের বক্তব্য, যেহেতু পুরো বিষয়টি বন দফতরকেই দেখাশোনা করতে হয়, তাই এই ঐতিহ্যবাহী বনবাংলোর দায়িত্ব বন দফতরের হাতেই থাকা উচিত। শেষ সিদ্ধান্ত অবশ্য নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।