বড়দিনের বিজ্ঞাপনে দাদু-নাতনির বন্ডিং, কেঁদে ফেললেন মাহিন্দ্রা চেয়ারম্যান!

#কলকাতা: বিজ্ঞাপন দেখে কেঁদে ফেললেন মাহিন্দ্রা (Mahindra) গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা (Anand Mahindra)। নিজেই সেই কথা জানালেন সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে। একটি ক্রিসমাস বিজ্ঞাপনের ভিডিও দেখেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে জানিয়েছেন এই ব্যবসায়ী।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ অ্যাক্টিভ মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ। মাঝেমধ্যেই নানা ভিডিও, ছবি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে শেয়ার করেন তিনি। কখনও সমাজের নানা দিক তুলে ধরেন তার মধ্যে দিয়ে, কখনও ব্যক্তিগত অনুভূতি, ভালোলাগার কথা জানান। সম্প্রতি এমনই একটা ভিডিও শেয়ার করেন তিনি। যা ছিল একটি ক্রিসমাস বিজ্ঞাপন (Christmas Ad)। বিজ্ঞাপনটি দেখেই কেঁদে ফেলেছিলেন বলে জানান তিনি। প্রায় তিন মিনিটের ওই ভিডিওটি এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

DadsWithDaughters নামে একটি ট্যুইটার (Twitter) অ্যাকাউন্ট থেকে আসল ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। যাতে দেখা যায় এক বৃদ্ধ একটি লোহার বল তোলার চেষ্টা করছেন। একটি ছবি সামনে রেখে রোজ তিনি ওই বলটি তোলার চেষ্টা করেন কিন্তু বয়সের ভারে তা তুলতে পারেন না। কিন্তু চেষ্টা চালিয়ে যান। দিন-রাত সব সময়েই প্র্যাকটিস চলে তাঁর।

পরে একদিন ধীরে ধীরে ওই লোহার বল তুলতে তিনি সক্ষম হন। তার পরও চলে প্র্যাক্টিস। এর পর ভিডিওটিতে দেখা যায় একটি ক্রিসমাস পার্টিতে (Christmas Party) গিয়েছেন তিনি। বোঝা যায়, সেটি তাঁর মেয়ের আয়োজন করা পার্টি। সেখানে গিয়ে একটি গিফট বক্স তিনি তাঁর নাতনির হাতে তুলে দেন। ছোট্ট মেয়েটি ওই গিফট বক্সটি খুলে দেখেন তাতে একটি স্টার রয়েছে। এ বার সেই স্টারটি ক্রিসমাস ট্রির (Christmas Tree) মাথায় লাগাতে তাকে সাহায্য করেন দাদু।

ভিডিওটির শেষের দিকে বোঝা যায়, এত কষ্ট করে কেন তিনি এত দিন ওই লোহার বল তোলার চেষ্টা করছিলেন- যাতে তিনি ক্রিসমাসের দিন তাঁর নাতনিকে কোলে নিতে পারেন!

এই ভিডিওটিই মন ভারী করে দেয় আনন্দ মাহিন্দ্রার। তিনি ভিডিওটি শেয়ার করে তার ক্যাপশনে লেখেন, সকাল সকাল কাঁদিয়ে দিলেন, আমার নাতনি নেই তবে, এই বয়সের নাতি আছে!

তাঁর এই পোস্টের পরই সকলে ভিডিওটি নিয়ে একাধিক কমেন্ট করতে থাকেন। কেউ লেখেন অ্যাডোরেবল (adorable)। কেউ লেখেন, লাভলি (lovely)। বহু মানুষ শেয়ার করেন ভিডিওটি। প্রচুর মানুষ লাভ রিয়্যাক্টও করেন।

ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল হয়। অনেকেই নিজের দাদুর সঙ্গে মিল খুঁজে পান। অনেকে আবার নিজের দাদুর কথা শেয়ারও করেন।