কার লোন নিতে সমস্যা? আইটিআর থাকা সত্ত্বেও ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট চাইছে? কী করা উচিত দেখুন

কলকাতা: যে কোনও ধরনের লোন নিতে গেলেই কাগজপত্র প্রয়োজন। লোন শোধের গ্যারান্টি না থাকলে ব্যাঙ্ক ঋণ দেবে না। সোজা হিসেব। কার লোনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

কিন্তু অনেক সময় ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ দেওয়ার নামে বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র চাইতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে হোম লোনের জন্য কী কী কাগজপত্র লাগবে জেনে রাখা উচিত।

সঙ্গে এটাও জেনে রাখা দরকার যে সমস্ত ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের দুটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে। একটি হল বেতনভোগী গ্রাহক এবং অন্যটি সেলফ এমপ্লয়েড বা স্বনিযুক্ত গ্রাহক। সেলফ এমপ্লয়েড বিভাগের আবার ফার্ম বা কোম্পানির ভিত্তিতে বিভিন্ন ক্যাটেগরি রয়েছে।

আরও পড়ুন- কৃষক আন্দোলন ঘিরে ফের ধুন্ধুমার! কাঁদানে গ্যাস পেরিয়ে ব্যারিকেড ভাঙলেন কৃষকরা

বেতনভোগী এবং সেলফ এমপ্লয়েডদের তিনটি নথি দেখাতে হয়: এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বেতনভোগী ব্যক্তি ঋণ চাইলে ব্যাঙ্ক ৩টি নথি দেখতে চায়। পরিচয় এবং ঠিকানার প্রমাণ।

এর জন্য, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার আইডি কার্ড, নারেগা-র জব কার্ড, জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধকের জারি করা চিঠি যেখানে নাম এবং ঠিকানা উভয়ই লেখা আছে, বা আধার কার্ড দেখানো যায়। দ্বিতীয় নথি হল, আয়ের প্রমাণপত্র। এর জন্য স্যালারি স্লিপ বা ফর্ম ১৬ দেওয়া যায়। তৃতীয় নথি হিসেবে ৬ মাসের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট চাওয়া হয়।

সেলফ এমপ্লয়েডদের ক্ষেত্রেও তিনটি নথি চাওয়া হয়। প্রথম, আয়ের প্রমাণপত্র। গত ২ বছরে কোম্পানির লাভ-ক্ষতির হিসেব। এবং বিগত ২ বছরের কোম্পানির আইটিআর। তিনটিরি প্রয়োজন। দ্বিতীয়, ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে টেলিফোন বিল, বিদ্যুৎ বিল, দোকান ও সংস্থার সার্টিফিকেট, এসএসআই নিবন্ধিত সার্টিফিকেট, সেলস ট্যাক্স সার্টিফিকেট দেওয়া যায়। তৃতীয়, বিগত ৬ মাসের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট।

ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টের সঙ্গে আইটিআর কেন: এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, ব্যাঙ্কবাজারডটকমের সিইও আদিল শেঠি। তিনি বলেন, ৬ মাসের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট এবং আইটিআর চাওয়ার নির্দিষ্ট কারণ আছে।

আরও পড়ুন- বুক করেছিলেন হোটেল রুম,আসছিল খটখট আওয়াজ,সামনে গিয়ে দেখতেই অজ্ঞান হওয়ার জো

ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট থেকে ঋণগ্রহীতার আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়। বোঝা যায়, প্রতি মাসে তাঁর হাতে কত টাকা আসছে। স্টেটমেন্টে যদি ওভারড্রাফট ব্যবহার করতে দেখা যায়, অনেক চেক রিটার্ন আসে, অস্বাভাবিক কেনাকাটা করতে দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে সেই ব্যক্তির আর্থিক ব্যবস্থাপনা ভাল নয়।

এইটিআর থেকে সেই ব্যক্তির দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা যায়। তিনি সরকারকে নিজের আয় সম্পর্কে যা বলেছেন তা তাঁর বেতন বা উপার্জনের সঙ্গে মিলছে কি না দেখা হয়। এ থেকে ব্যক্তির আর্থিক অবস্থার পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়।