আজকের যুগে চাপের কারণে চুল পড়ার ঘটনা দ্রুত বাড়ছে। সেটা শুধু এই দেশে নয়, গোটা বিশ্বেই৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, খারাপ জীবনযাত্রা এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি অতিরিক্ত চাপ মানুষ চুল হারিয়ে টেকো হয়ে যাচ্ছে৷ চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে আপনার টেকো হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না৷উত্তর প্রদেশের কানপুরের জিএসভিএম মেডিকেল কলেজের ডার্মাটোলজিস্ট ড. যুগল রাজপুত নিউজ18-কে জানিয়েছেন যে বেশি চাপ চুলের জন্য ক্ষতিকর। যদিও চাপের প্রভাব পুরো শরীরে পড়ে, তবে এতে চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে পারে। যখন আমরা চাপের মধ্যে থাকি, তখন শরীরে চাপের হরমোন হিসাবে পরিচিত করটিসলের মাত্রা বেড়ে যায়। এই হরমোনটি চুলের বৃদ্ধি প্রভাবিত করে এবং চুল পড়ার হার বাড়িয়ে দেয়। চাপের কারণে শরীরে ইনফ্লামেশনও বেড়ে যায়, যা গঞ্জাপনার কারণ হতে পারে। চুলকে স্বাস্থ্যকর রাখতে চাপ নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি।ডার্মাটোলজিস্ট বলেছেন যে চুল পড়ার একটি কারণ রাসায়নিকযুক্ত চুলের পণ্যও ব্যবহারও হতে পারে। আজকের যুগে অধিকাংশ মানুষ চুলের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবে ভুগছেন, যার ফলে চুল পড়া এবং অকালে চুল পেকে যাওয়া-এর ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। চুলকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি না মিললে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে এবং টাক পড়ার ঝুঁকি বাড়ে।কী ভাবে চুল উঠে যাওয়ার সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়? ডাক্তারের মতে, স্বাস্থ্যকর খাদ্য, উন্নত জীবনযাত্রা হল প্রধান দুটি ব্যাপার৷ এর বাইরে অফিসের প্রবল চাপ এববং তা সঠিকভাবে পরিচালনার মাধ্যমে চুলের সমস্যা অনেকাংশে কমানো যেতে পারে। চাপের কারণে মানসিক সমস্যা বৃদ্ধি পায়, যা চুল পড়ার সমস্যাকে আরও বাড়াতে পারে। তাই জীবনে বেশি চাপ না নেওয়াই ভালো৷বিশেষজ্ঞদের মতে, চাপ নিয়ন্ত্রণ করলে টাক পড়ার সমস্যা কমানো সম্ভব। টাকের সমস্যা একটি জটিল অবস্থা, যার মধ্যে চাপ একটি ফ্যাক্টর। যদি কেউ চুল উঠে যাওয়ায় টাক পড়ার সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে তাকে তার চাপের স্তর কমানো এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। যদি চুল পড়ার সমস্যা থাকে, তাহলে ডার্মাটোলজিস্টের সাথে পরামর্শ করা উচিত। অনেক সময় কিছু রোগ চুল পড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, সেক্ষেত্রে চিকিৎসা করলে এই সমস্যা থেকে থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব৷
