ছোটবেলা থেকেই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছিলেন

Inspiration: দোকান উঠে যাওয়ার পর ৩২ বছর ধরে ভিক্ষাবৃত্তিই পেশা, নিজের বাড়ি বানালেন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এই ভিক্ষাজীবী

ভোপাল : নানা মানুষের জীবন সংগ্রামের অনেক গল্প আমরা শুনে থাকি। কিন্তু আজ এমন এক ব্যক্তির গল্প শোনাব, তাঁর গল্প শুনলে মনটাই ভাল হয়ে যাবে। অনেকেই অবশ্য অনুপ্রেরণাও পাবেন। আসলে এই গল্পটা কোনও ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ারের নয়, বরং একজন ভিক্ষুকের। ভিক্ষাজীবী গণেশ মর্সকোলে Local 18-কে বলেছেন যে, তিনি মধ্যপ্রদেশের সিওনি জেলার বাসিন্দা। আর ছোটবেলা থেকেই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছিলেন।

নিজের শহরেই দোকান চালিয়ে দিন গুজরান করছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, তাঁর দোকানে ক্রেতারা নগদ দাম না দিয়ে ধারেই জিনিসপত্র কিনত। যার ফলে সেই ধারকর্জ প্রচুর জমে গিয়েছিল। এরপরে তিনি ১৯৯২ সালে ভোপালে আসেন। এখানে নিউমার্কেটের খেদাপতি হনুমান মন্দিরের সামনে ভিক্ষা করতে শুরু করেন। কারণ তাঁর অবস্থা এমন ছিল যে, তিনি অন্য কোনও কাজ পাচ্ছিলেন না। এরপর এক ধর্মীয় গুরুর শরণাপন্ন হন গণেশ।

গণেশের বক্তব্য, যখন তিনি ভোপালে ছিলেন, তখন তিনি কাজ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। তারপর এক ধর্মীয় গুরুর কাছে কাজ চাওয়ায় তাঁকে শুনতে হয় যে, ‘এমন অবস্থায় কাজ দেবে কে?’ এর পর সেই গুরুই তাঁকে খেদাপতি হনুমান মন্দিরের সামনে বসিয়ে বলেছিলেন যে, এখানে বসলেই সব মিলবে। তারপর থেকে এখানে বসে রয়েছেন। বিগত ৩২ বছর ধরে ভিক্ষাবৃত্তিই করছেন। আর হনুমানজীর কৃপায় দিব্যি সংসারও চলে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন : সস্তায় কাতলা মাছের ভিন্দালু, মোরগ পোলাও থেকে নবরত্ন বিরিয়ানি! পুজোয় হাজির হবে আপনার বাড়ির টেবিলে

বিগত প্রায় ৩২ বছর ধরে ভোপালে বসবাস গণেশের। এখানে তাঁর একটি বাড়িও রয়েছে। ছেলেমেয়েরা বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা করেছে। বাড়িটি করার গল্পও ভাগ করে নিলেন গণেশ। তাঁর কথায়, “এর জন্য মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে ধন্যবাদ। তাঁর শাসনকালে আমার নিজের বাড়ির স্বপ্নপূরণ হয়েছে।” গণেশ আরও বলেন যে, ১৯৯২ সালে তিনি সারা দিনে সাকুল্যে ২০ টাকা ভিক্ষা পেতেন। আর আজ প্রতিদিন তিনি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা উপার্জন করেন। আর এই পরিবর্তনের জন্য ভগবান পবনপুত্র হনুমানের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ গণেশ।