২০১৪ সালে বিচ্ছেদ হয় হৃতিক ও সুজানের

Hrithik Roshan-Sussanne Khan’s Divorce: এই কারণেই ভেঙেছিল হৃতিক-সুজানের বিয়ে! চমকে যাবেন অন্দরের কথা জানলে

মুম্বই: হৃতিক রোশন এবং সুজান খানের বিবাহবিচ্ছেদের জন্য মুম্বই দায়ী। এমনই চমকপ্রদ মন্তব্য করলেন অভিনেতা জায়েদ খান। ১৪ বছর দাম্পত্যজীবন কাটানোর পর ২০১৪ সালে বিচ্ছেদ হয় হৃতিক ও সুজানের। ভাই জায়েদের মতে, মুম্বইয়ের মতো শহরে বিয়ে টিকিয়ে রাখা কঠিন।

সম্প্রতি ইউটিউবার শুভজিৎ ঘোষকে একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দেন জায়েদ খান। সেখানেই সুজান এবং হৃতিকের বিচ্ছেদ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। জানতে চাওয়া হয়, বিচ্ছেদের পর পরিবারকে কোনওরকম ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছিল কি না। জবাবে হাসতে হাসতে জায়েদ বলেন, “গায়ের চামড়া মোটা হতে হবে।’’

জায়েদের কথায়, “এই ধরনের ঘটনা ঘটলে পরিবারের সমর্থন জরুরি। বিশেষ করে মানসিক সমর্থন। মানুষ আশা করে তাঁর যে কোনও সিদ্ধান্তে পরিবার যেন পাশে দাঁড়ায়। আমাদের পরিবার পাহাড়ের মতো। যাই ঘটুক না কেন সবাই এঁকে অন্যের পাশে দাঁড়ায়। এর বেশি কিছু বলার নেই। এই বিষয়গুলো পরিণত দৃষ্টিভঙ্গি সঙ্গে দেখা উচিত। যে কারও সঙ্গে ঘটতে পারে।’’

আরও পড়ুন : ছাতা তুলে ধরলেন ‘একদিনের রাজা’! ভাদ্র সংক্রান্তিতে পুরুলিয়ায় পালিত মানভূমের প্রাচীন রীতি

এরপরই ‘মুম্বই’ শহরের দিকে আঙুল তোলেন ‘ম্যায় হুঁ না’ খ্যাত অভিনেতা। জায়েদ বলেন, “আমাদের শহরকেই দেখুন। এমন একটা শহরে আমরা বাস করি যেখানে এক জায়গায় মন ধরে রাখা শক্ত। কত রকমের বিভ্রান্তি ফাঁদ পেতে রয়েছে। এই শহরে বিয়ে টিকিয়ে রাখা সত্যিই কঠিন। আমার পরিবারের কথা ছাড়ুন। আমাদের টলানো যাবে না।’’

হৃতিক-সুজানের বিবাহবিচ্ছেদ হলেও তাঁরা এখনও একে অপরের বন্ধু। দুই পরিবারের মধ্যেও ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। জায়েদ বলেন, “আমরা আধুনিক। কথায় বলে জলের চেয়ে রক্ত ঘন। দু’জন মানুষ একে অপরের থাকতে না-ই চাইতে পারে, তবে তাঁদের মধ্যেও কিছু মিল রয়েছে। তাঁরা বন্ধু হতেই পারে। সেটা বুঝতে হবে। পাশে দাঁড়াতে হবে। পরিবার, সন্তান আছে। দায়িত্ব নিতে হবে। আমার পরিবার খুব খোলা মনের। যতক্ষণ একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে সব ঠিক আছে। সন্তানদেরও এই শিক্ষাই দিই।’’

যাই ঘটুক, কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি করতে চান না জায়েদ। তিনি বলেন, “অন্যের খারাপ দিকগুলো নিয়ে কথা বলার কোনও যুক্তি নেই। সুখে থাকাটাই তো একমাত্র চাওয়া। হৃতিকের সঙ্গে আমার খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। মানুষ হিসাবে অসাধারণ। সাবা এবং আরসালানও খুব ভাল। আর কী চাই, জীবন এভাবেই এগিয়ে যাবে।’’