বিকানির: রাজস্থানে ভয়াবহ একটি ঘটনা এবার প্রকাশ্যে৷ বীকানার জেলার ছত্রগড় থানা এলাকায় তিন দিন আগে নদীর পাড়ে পাওয়া যায় এক মহিলার মৃতদেহ৷ এই ঘটনায় পুলিশ একটি বড় তথ্য খোলাসা করেছে। তাদের তরফে জানানো হয়েছে যে, মহিলার হত্যা তার স্বামীই করেছে।
এখানেই শেষ নয়৷ খুন করার পর সেই মৃতদেহ লুকোতে মহিলার শাশুড়ি এবং তার পুত্র সাহায্যও করেছে। পুলিশ এই মামলায় মহিলার স্বামী এবং শাশুড়ি সহ তিনজনকে আটক করেছে। মহিলার হাতে করবা চৌথের দিন লাগানো মেহেদিতে তার স্বামীর নাম লেখা ছিল।
আরও পড়ুন: দিনের পর দিন আত্মীয়ের লালসার শিকার, সহ্য করতে না পেরে চরম সিদ্ধান্ত শিক্ষিকার!
পুলিশ সুপার কাওেন্দ্র সিং সাগর জানিয়েছেন যে তিন দিন আগে মহিলার মৃতদেহ ছত্রগড় এলাকায় আইজিএনপির নদীর কাছে পাওয়া যায়। মহিলার নাম নক্ষত্র কৌর বলে জানা গিয়েছে। তিনি অনুপগড়ের বাসিন্দা জগজিৎ সিংয়ের সঙ্গে প্রেম করে বিয়েটি করেছিলেন। এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। তবে পারিবারিক কলহের কারণে এই বিয়েও সফল হয়নি। সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণেই জগজিৎ সিং তার স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পুলিশ হত্যার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত চালাচ্ছে।
সিসিটিভি ফুটেজে উঠে এসেছে হত্যার সত্যতা – এএসপি গ্রামীণ কৈলাশ সান্ধু জানিয়েছেন যে পুরো ঘটনার তদন্তের সময় একটি সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে। সেখানে একটি ট্রাক্টর দেখা যাচ্ছে। সেই ট্রাক্টর দিয়েই মহিলার মৃতদেহ নিয়ে আসা হয়েছিল। খাজুবালারপুলিশ অমরজিত চাওলা ও তার টিম যখন তদন্ত শুরু করে, জানা যায় যে মহিলা পাঞ্জাবের বাসিন্দা ছিলেন। তারা এই ব্যাপারে নিশ্চিত হন যে, হত্যার ঘটনা অন্য কোথাও ঘটেছিল এবং পরে মৃতদেহ এখানে এনে ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফুচকার স্বাদ বাড়াতে ইউরিয়া হারপিকের ব্যবহার! এই রাজ্যে নির্বাসিত হতে পারে ফুচকা
অভিযুক্ত জগজিৎ সিং স্ত্রীকে হত্যা পর তার মায়ের এবং আরও একজনের সহযোগিতায় মৃতদেহ লুকোনোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে তারা পুরোপুরি সফল হতে পারেননি। তারা সম্ভবত মৃতদেহটি নদীতে ভাসিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাড়াহুড়োয় তারা মৃতদেহটি নদীর পাড়েই রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ মহিলার স্বামী এবং তার শাশুড়ি সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মহিলার হাতে মেহেদিতে “জেএস” লেখা ছিল।