Tag Archives: Killing

Gangster Murder: একসঙ্গে মদ্যপানের পরই ঝামেলা, পরস্পরকে গুলি দুই গ্যাংস্টারের! মৃত ১

বাগপত: উত্তরপ্রদেশের বাগপতে নামকরা অপরাধী প্রবীণ ওরফে বাব্বুকে গুলি করে হত্যার একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। একই গ্রামের আর এক দুস্কৃতি জ্ঞানেন্দ্র ঢাকার সহযোগীরা বাবুকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: করবা চৌথে হাতে স্বামীর নাম লিখেছিলেন, তার হাতেই খুন হতে হল স্ত্রীকে! নদীর পাড়ে মিলল দেহ

বলা হচ্ছে, সোমবার রাতে কুখ্যাত এই দুষ্কৃতি একসঙ্গে বসে মদ্যপান করছিলেন। এ সময় কোনও বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর জ্ঞানেন্দ্র পিস্তল থেকে তিনটি গুলি করে হত্যা করে এবং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। বর্তমানে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে, এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করে।

বলা হচ্ছে, কুখ্যাত প্রবীণ ওরফে বাব্বু ও জ্ঞানেন্দ্রের মধ্যে গত ১০ বছর ধরে নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। সোমবার রাতে ফের এক খুনের ঘটনা ঘটেছে। খুনের পিছনে গ্যাং ওয়ার নাকি পুরনো শত্রুতা, সব দিক থেকেই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গ্রামবাসীরা জানান, সাবেক প্রধান জয়কুমারের বাড়িতে বসে মদ পান করছিলেন প্রবীণ ওরফে বাব্বু ও জ্ঞানেন্দ্র ঢাকা। এরপর জ্ঞানেন্দ্র বাবুকে পিস্তল দিয়ে গুলি করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। বর্তমানে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: দিনের পর দিন আত্মীয়ের লালসার শিকার, সহ্য করতে না পেরে চরম সিদ্ধান্ত শিক্ষিকার!

এই ঘটনার পিছনে নির্বাচনী দ্বন্দ্ব হতে পারে বলে গ্রামবাসীদের ধারণা। কারণ ১৯৯৬ সাল থেকে দীর্ঘদিন ধরেই প্রধান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই  দুষ্কৃতির মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল৷ এর আগেও হামলা হয়েছে। কিন্তু গতরাতে পুরনো শত্রুতার জের ধরে খুনের ঘটনায় আবারও নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে বাগপতের চন্দিনগর থানার পুলিশ নানা দিক থেকে তদন্ত করছে। পুলিশি তদন্তের পর হত্যার কারণ জানা যাবে। কিন্তু গুলির ঘটনায় আবারও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ঝিকৌলি গ্রামে।

নিহতদের বিরুদ্ধে ২০টির বেশি মামলা রয়েছে৷ নিহত প্রবীণ ওরফে বাবুর বিরুদ্ধে ২০টির বেশি মামলা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাবুর বিরুদ্ধে ৬ জনকে খুনের অভিযোগ রয়েছে। মদ চোরাচালান ও গুন্ডাবাজির ধারায় খুনের চেষ্টা ও অন্যান্য মামলা রয়েছে ৫টি। নিহত বাবু ও খুনি জ্ঞানেন্দ্রের মধ্যে পুরনো শত্রুতার জের ধরে অনেক খুনের ঘটনাও ঘটেছে। বাগপত পুলিশ অভিযুক্তের সম্পত্তি জব্দ করেছিল৷ কিন্তু এতকিছুর পরও এই দুষ্কৃতি এখনও গ্রামেই বাস করছেন।

Husband Murders Wife: করবা চৌথে হাতে স্বামীর নাম লিখেছিলেন, তার হাতেই খুন হতে হল স্ত্রীকে! নদীর পাড়ে মিলল দেহ

বিকানির: রাজস্থানে ভয়াবহ একটি ঘটনা এবার প্রকাশ্যে৷ বীকানার জেলার ছত্রগড় থানা এলাকায় তিন দিন আগে নদীর পাড়ে পাওয়া যায় এক মহিলার মৃতদেহ৷ এই ঘটনায় পুলিশ একটি বড় তথ্য খোলাসা করেছে। তাদের তরফে জানানো হয়েছে যে,  মহিলার হত্যা তার স্বামীই করেছে।

এখানেই শেষ নয়৷ খুন করার পর সেই মৃতদেহ লুকোতে মহিলার শাশুড়ি এবং তার পুত্র সাহায্যও করেছে। পুলিশ এই মামলায় মহিলার স্বামী এবং শাশুড়ি সহ তিনজনকে আটক করেছে। মহিলার হাতে করবা চৌথের দিন লাগানো মেহেদিতে তার স্বামীর নাম লেখা ছিল।

আরও পড়ুন: দিনের পর দিন আত্মীয়ের লালসার শিকার, সহ্য করতে না পেরে চরম সিদ্ধান্ত শিক্ষিকার!

পুলিশ সুপার কাওেন্দ্র সিং সাগর জানিয়েছেন যে তিন দিন আগে মহিলার মৃতদেহ ছত্রগড় এলাকায় আইজিএনপির নদীর কাছে পাওয়া যায়। মহিলার নাম নক্ষত্র কৌর বলে জানা গিয়েছে। তিনি অনুপগড়ের বাসিন্দা জগজিৎ সিংয়ের সঙ্গে প্রেম করে বিয়েটি করেছিলেন। এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। তবে পারিবারিক কলহের কারণে  এই বিয়েও সফল হয়নি। সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণেই  জগজিৎ সিং তার স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পুলিশ হত্যার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত চালাচ্ছে।

সিসিটিভি ফুটেজে উঠে এসেছে হত্যার সত্যতা – এএসপি গ্রামীণ কৈলাশ সান্ধু জানিয়েছেন যে পুরো ঘটনার তদন্তের সময় একটি সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে। সেখানে একটি ট্রাক্টর দেখা যাচ্ছে। সেই ট্রাক্টর দিয়েই মহিলার মৃতদেহ নিয়ে আসা হয়েছিল। খাজুবালারপুলিশ অমরজিত চাওলা ও তার টিম যখন তদন্ত শুরু করে, জানা যায় যে মহিলা পাঞ্জাবের বাসিন্দা ছিলেন। তারা এই ব্যাপারে নিশ্চিত হন যে, হত্যার ঘটনা অন্য কোথাও ঘটেছিল এবং পরে মৃতদেহ এখানে এনে ফেলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ফুচকার স্বাদ বাড়াতে ইউরিয়া হারপিকের ব্যবহার! এই রাজ্যে নির্বাসিত হতে পারে ফুচকা

অভিযুক্ত জগজিৎ সিং স্ত্রীকে হত্যা পর তার মায়ের এবং আরও একজনের সহযোগিতায় মৃতদেহ লুকোনোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে তারা পুরোপুরি সফল হতে পারেননি। তারা সম্ভবত মৃতদেহটি নদীতে ভাসিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাড়াহুড়োয় তারা মৃতদেহটি  নদীর পাড়েই রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ মহিলার স্বামী এবং তার শাশুড়ি সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মহিলার হাতে মেহেদিতে “জেএস” লেখা ছিল।

Man murders wife with a Pan: সবজি কম কেন? প্যান দিয়ে বউকে পিটিয়ে হত্যা স্বামীর!

সাহারানপুর: উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের নাকুর শহরের মহল্লা জোগিয়ানে সোমবার একটি হৃদয় বিদারক ঘটনা প্রকাশ্যে৷ সামান্য বিবাদের পর, এক স্বামী তার স্ত্রীকে প্যান দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

ব্যাপারটা ঠিক কী? জানা গিয়েছে,  দুপুরের খাবারে শাক-সবজি না থাকায় স্ত্রী শাহনাজের সঙ্গে প্রথমে প্রবল ঝগড়া শুরু হয় মহল্লা জোগিয়ানের বাসিন্দা ইবান আলীর। এই সময় ক্ষিপ্ত হয়ে ইবান তার স্ত্রী শাহনাজকে প্যান দিয়ে মাথায় কয়েকবার সজোড়ে আঘাত করে৷ এরপরেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন৷ রক্তে ভেসে যাচ্ছিল ঘর।

আরও পড়ুন:  ‘না নিজে বিয়ে করছিল, না আমায় করতে দিচ্ছিল’, কাণপুর হত্যাকাণ্ডে বিষ্ফোরক অভিযোগ জিম ট্রেনারের!

ঘটনাটি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে শেহনাজের মাথা থেকে গলগল করে রক্ত ​​বেরোচ্ছিল। এই সময় শেহনাজের দুই মেয়ে সোনম ও আলেয়া মাকে বাঁচাতে চিৎকার করে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে৷ তাদের চিৎকারে দ্রুত প্রতিবেশীরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও লাভ হয়নি৷ শেহনাজের মৃত্যু হয়।

প্রতিবেশীরা পুরো ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত স্বামী ইবানকে আটক করে। এরিয়া অফিসার (সিও) এসএন বৈভব পান্ডে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন, পরিদর্শন করেছেন এবং তদন্তের জন্য ফরেনসিক দলকে ডেকেছেন। পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায়।

আরও পড়ুন: ৮ কোটির জন্য স্বামীকে খুন করল স্ত্রী, দেহ পুঁতল ৮০০ কিমি দূরে কফি বাগানে!

মেয়েদের সামনে অভিযুক্ত ইবান যখন তার স্ত্রীকে হত্যা করে, তখন তার দুই মেয়েও সেখানে উপস্থিত ছিল। বাবাকে প্যান দিয়ে আক্রমণ করতে দেখে দুই মেয়েই কাঁদতে থাকে। তারা দুজনই প্রতিবেশীদের সাহায্যের জন্য ডাকেন। তিনি যখন সাহায্য নিয়ে আসেন, তখন পুরো ঘর রক্তে ভরে গিয়েছিল এবং শেহনাজ প্রাণ হারিয়েছেন।

Kanpur Murder Case: ‘না নিজে বিয়ে করছিল, না আমায় করতে দিচ্ছিল’, কাণপুর হত্যাকাণ্ডে বিষ্ফোরক অভিযোগ জিম ট্রেনারের!

কানপুর: উত্তর প্রদেশের কানপুরে ব্যবসায়ী রাহুল গুপ্তার স্ত্রী একতা গুপ্তার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার জিম ট্রেনার বিমল সোনির বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে অভিযুক্ত বিমল সোনি জানিয়েছে যে, তার সঙ্গ একতা গুপ্তার সম্পর্ক ছিল৷ কিন্তু একতা তাকে বিয়ে করতে চাইছিল না। শুধু তাই নয়, অন্য কারও সঙ্গে বিমলকে বিয়েও করতে দিচ্ছিল না। এর মধ্যে একতার বিয়ে ঠিক হয়ে যায়৷ এরপরই সে মহিলাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

আরও পড়ুন: ৮ কোটির জন্য স্বামীকে খুন করল স্ত্রী, দেহ পুঁতল ৮০০ কিমি দূরে কফি বাগানে!

একতা গুপ্তা জুন মাসে ২০ দিনের জন্য বাড়ি আসেনি। ২৪ জুন, তিনি সকাল ৬টায় বাড়ি থেকে জিমের উদ্দেশ্যে বের হন। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছে৷ সেখানে দেখা গিয়েছে, জিমের বাইরে পার্কিংয়ে একতা বিমলের গাড়িতে বসে আছেন। অভিযুক্ত জানিয়েছে, গাড়িতেই তার সঙ্গে একতার ঝগড়া হয়। পরে, তিনি একতার মুখে ঘুষি মারেন৷ সে অজ্ঞান হয়ে যায়। এরপর তিনি দড়ি এবং দোপাট্টা দিয়ে গলা টিপে হত্যা করেন।

একতা বাড়ি না ফিরলে তার স্বামী রাহুল  জিম ট্রেনার বিমল সোনির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন যে, সে স্ত্রীকে অপহরণ করেছে। তখন থেকেই পুলিশ বিমলের খোঁজে ছিল। শনিবার সন্ধ্যায় রায়পুরওয়া থানার এলাকায় পুলিশ বিমল সোনিকে গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি ক্রমাগত বক্তব্য পরিবর্তন করতে থাকেন। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে বলেন যে, তিনি একতার মৃতদেহ গঙ্গায় ফেলে দিয়েছেন। পুলিশ তাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায়, কিন্তু মৃতদেহ উদ্ধার করতে পারেনি। পরে পুলিশ জোর করে প্রশ্ন করলে তিনি জানান যে তিনি ডিএম ক্যাম্পাসের অফিসার্স ক্লাবের কাছে মৃতদেহ পোঁতা রয়েছে। এর পর পুলিশ রবিবার একতার কঙ্কাল উদ্ধার করে, তখনও তার গলায় দড়ি এবং দোপাট্টা আটকানো ছিল।

আরও পড়ুন: বিয়ের ৬ মাস পর চাকরিতে যোগ, ১৮ দিনের মধ্যে স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ পেল স্ত্রী

রবিবারই অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করা হয়, যেখানে তাকে বিচারিক হেফাজতে জেলে পাঠানো হয়। তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, তিনি কীভাবে ডিএম ক্যাম্পাসে মৃতদেহ নিয়ে গেলেন। শুধু তাই নয়, তিনি কিভাবে গর্ত খুঁড়ে মৃতদেহ পুঁতলেন। পুলিশ এই পুরো বিষয়টির গভীর তদন্ত করছে। তারা জানার চেষ্টা করছে, এই ঘটনার পেছনে আর কেউ জড়িত ছিল কিনা৷ কারণ জিম ট্রেনার ডিএম ক্যাম্পাসে অনেককে প্রশিক্ষণ দিত, যার ফলে তার কাছে সেই ক্যাম্পাসের বাংলোর চাবি ছিল। এই সুযোগ নিয়ে তিনি মৃতদেহ বাংলোর মধ্যে নিয়ে গিয়েছিলেন।