Lord Mountbatten Death: ‘ হ্যাঁ, আমি মাউন্টব্যাটেনকে খুন করেছি!’, ভারতের শেষ গভর্নরকে হত্যার ৪৪ বছর পর স্বীকারোক্তি এল প্রকাশ্যে, জানেন সে কে?

নয়াদিল্লি: ১৯৭৯ সালের অগাস্ট মাসে ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল লুই মাউন্টব্যাটেনকে হত্যা করা হয়। থমাস ম্যাকমোহন নন, এই হত্যার আসল কারিগর মাইকেল হেইস। ডেইলি মেইল-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই দাবি করেছেন মাইকেল হেইস স্বয়ং।

হেইস বলেন, তিনি আইরিশ রিপাবলিকান আর্মি (আইআরএ)-র প্রাক্তন কম্যান্ডার এবং থমাস ম্যাকমোহন কম্যান্ডিং অফিসার ছিলেন। উত্তর আয়ারল্যান্ডকে ইংল্যান্ডের অংশ হওয়ার তীব্র বিরোধিতা করেছিল আইআরএ। তাই ইংল্যান্ডকে কড়া বার্তা দিতেই মাউন্টব্যাটেনকে খুন করা হয়।

হেইস বর্তমানে ডাবলিনে একাই থাকেন। তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমি তাঁকে মেরেছি। ম্যাকমোহন নৌকায় তুলেছিলেন। আমি সবকিছুর পরিকল্পনা করেছিলাম। আমি কম্যান্ডার ইন চিফ ছিলাম।” এখানেই থামেননি হেইস। সঙ্গে আরও যোগ করেন, “আমি স্লিগোতে মাউন্টব্যাটেনকে হত্যা করি। এই কাজের পিছনে আমার কাছে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। তিনি আমাদের দেশে এসেছেন… দুর্ভিক্ষের কথা ভাবুন… আমরা কি সব ভুলে যাব? আমাদের দেশে এসে আমাদের লোককে হত্যা করেছে। আমরা পাল্টা লড়াই করেছি। পাল্টা আঘাত হেনেছি।”

আরও পড়ুন: মমতা প্রসঙ্গে অধীরকে প্রকাশ্যে ভর্ৎসনা…তাই কি কালি খাড়্গের পোস্টারে? এবার নতুন জল্পনা উস্কে দিল বিজেপি

মাউন্টব্যাটেনকে হত্যার অপরাধে আইআরএ-এর একমাত্র সদস্য হিসেবে থমাস ম্যাকমোহনকে দোষী সাব্যস্ত হন। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে গুড ফ্রাইডে চুক্তিতে ১৯ বছর কারাবন্দি থাকার পর ১৯৯৮ সালে মুক্তি পান ম্যাকমোহন।

হেইসের দাবি, তিনিই এই হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ হওয়ার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছিল। মাছ ধরার জাহাজে ৫০ পাউন্ডের বোমা লুকিয়ে রেখেছিলেন আরআরএ সন্ত্রাসীরা। সেই বোমা বিস্ফোরণেই মৃত্যু হয় মাউন্টব্যাটেনের।

প্রসঙ্গত, মাউন্টব্যাটেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নায়ক। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের খুড়তুতো ভাই। আয়ারল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিম উপকূলে ডোনেগাল উপসাগরে ছুটি কাটানোর সময় বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। তিনি প্রিন্স ফিলিপ এবং কিং চার্লসের পরামর্শদাতা ছিলেন। এই হামলায় মাউন্টব্যাটেনের নাবালক নাতি এবং নিকোলাস-সহ তিনজন নিহত হন। এঁদের মধ্যে এক কিশোরও ছিলেন।

আরও পড়ুন: রাহুল, স্মৃতি থেকে রাজনাথ! পঞ্চম দফায় উত্তরপ্রদেশে ভাগ্যপরীক্ষা হেভিওয়েটদের…কে করবে বাজিমাত? সেটাই দেখার

নিহত কিশোরদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে হেইস বলেন, “যুদ্ধে এমনটা হয়”। তাঁর কথায়, “হ্যাঁ আমি দুঃখিত। আমিও একজন পিতা। আমার পাষাণ হৃদয় নয়। আমি দুঃখ পেয়েছিলাম। কেঁদে ফেলেছিলাম। বাচ্চাদের নৌকোয় তোলার কথা ছিল না।”