বিশ্বকাপে কোনও ব্যবস্থাই নেই, কী করল আইসিসি

ICC T20 World Cup 2024: টি২০ বিশ্বকাপে চূড়ান্ত অব্যবস্থা, ক্রিকেটের গোড়ার জিনিসগুলিই ভুলে গেছে আইসিসি

নয়াদিল্লি:  টি২০ বিশ্বকাপের লিগ পর্ব শেষ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে খেলা হয়েছে ১৬টি ম্যাচ। টুর্নামেন্টের বাকি অংশ, সুপার এইট, সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। এবারের টি২০ বিশ্বকাপ আইসিসি-র স্বপ্নের প্রোজেক্ট ছিল। কিন্তু ফ্লোরিডার চারটি ম্যাচ তুলে দিল হাজার প্রশ্ন। কমপক্ষে ৩৫ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি।

নিউইয়র্কের অস্থায়ী স্টেডিয়াম নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে প্রচুর। পিচ এবং আউটফিল্ডকে তুলোধনা করছেন অনেকেই। ক্রিকেট সমালোচকদের একাংশ বলছেন, খেলার অযোগ্য। তারপরেও প্রচুর দর্শক হয়েছে। বিশেষ করে ভারত যেখানেই নেমেছে ভরে গিয়েছে গোটা স্টেডিয়াম। যেদিকেই চোখ যায়, শুধু নীল জার্সির ভিড়।

নিউইয়র্কের ভুলভ্রান্তি তবু মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু ফ্লোরিডা? এখানে ৪টি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে ৩টি ম্যাচ বাতিল হয়ে যায়। এরপরই প্রস্তুতি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠছে। জুনে এই অঞ্চলে প্রতি বছর ভালই বৃষ্টি হয়। এবারও হয়েছে। বৃষ্টিতে ধুয়ে গিয়েছে বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টের ম্যাচ। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে স্টেডিয়ামের অবকাঠামোগত সমস্যা। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, সব জেনেশুনেও কেন এখানে ম্যাচের আয়োজন করলেন কর্মকর্তারা?

আরও পড়ুন – Kapil Dev: অপরাজিত ১৭৫ রান! ১৯৮৩ বিশ্বকাপে ২২ গজে মহাকাব্য লেখেন কপিল, ভিডিও ফুটেজ নেই সেই ইনিংসের

ইউএসএ ক্রিকেট নয়। এই টুর্নামেন্টে তাদের কোনও ভূমিকা নেই বললেই চলে। আইসিসি সমস্ত শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল নিউইয়র্কে। আমেরিকার মাটিতে ক্রিকেট কেমন হতে চলেছে, দেখিয়ে দিতে চেয়েছিল গোটা বিশ্বকে। এই করতে গিয়ে মাঠের কভার রাখতেই ভুলে গিয়েছে তারা। এ এক আশ্চর্য। ছিল না উন্নত মানের জল নিষ্কাশন ব্যবস্থাও।

—- Polls module would be displayed here —-

‘নিউইয়র্ক শো’য়ের জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। কিন্তু কভারের পিছনে ১২০,০০০ মার্কিন ডলারের বেশি খরচ করতে পারেনি তারা। ঢাকতে পারেনি গোটা মাঠ। ২০২৩ বিশ্বকাপের প্রতিটা মাঠে সম্পূর্ণ কভারের ব্যবস্থা করেছিল বিসিসিআই। খরচ হয়েছিল ১ কোটি থেকে ১.৩ কোটি টাকা।

ভারত-কানাডা ম্যাচের দিন বৃষ্টি হয়নি। আগের দিন হয়েছে। তাতেই বেড়িয়ে পড়েছে মাঠের কঙ্কালসার চেহারা। বৃষ্টিতে ধুয়ে মাটি বেড়িয়ে পড়েছে। এখানে সেখানে গর্ত। বিশ্রী অবস্থা। একাধিকবার মাঠ পরিদর্শনে নামেন আম্পায়াররা। কিন্তু মাঠ আর ঠিক করা যায়নি। ম্যাচ বাতিল করতে হয়। সূত্র বলছে, “বৃষ্টির সময় মাঠ ফাঁকা ছিল। শুধু পিচ ঢাকা দেওয়া হয়। ফলে মাঠের অমন দশা হয়। খেলার জন্য উপযুক্ত ছিল না”।