পৃথিবী থেকে একদিনে সব মানুষ নিশ্চিহ্ন হলে কী হবে? বিজ্ঞানীরা সমাধান খুঁজে ফেললেন!

নয়াদিল্লি: আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন, আগামীকালই পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব শেষ হয়ে গেলে সারা বিশ্বের ভাষাগুলির কী হবে? আপনি ঠিকই অনুমান করছেন। আমাদের ভাষা, সাংস্কৃতি, মূল্যবোধও হয়তো এই গ্রহ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে! নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে মানুষের তৈরি সব কিছু।

কিন্তু অন্য গ্রহের কী হবে? আপনি কি কখনও এই সম্পর্কে চিন্তা করেছেন? আমরা কি মহাকাশে অন্য কোথাও আমাদের ভাষাগত ধন সংরক্ষণ করতে পারি?

সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) একটি জাপানি চন্দ্র অনুসন্ধান সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে। পৃথিবীতে থাকা ভাষাগুলোকে সংরক্ষণ করার চেষ্টা হচ্ছে চাঁদে।

আরও পড়ুন- মার্চ, এপ্রিল, মে…!গরমে এসি কিনছেন! গচ্ছা যাচ্ছে টাকা, ভারতে AC কেনার সঠিক সময়

Space.com-এর দেওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, জাপানি  ই-স্পেস মহাকাশে এবং চাঁদে মানুষের উপস্থিতি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে। ইউনেস্কোর সহায়তায় সংস্থাটি ২৭৫টি ভাষা এবং পৃথিবীতে উপস্থিত অন্যান্য সাংস্কৃতিক নিদর্শনগুলিকে সংরক্ষণের লক্ষ্যে চন্দ্রপৃষ্ঠে অভিযানের পরিকল্পনা করছে।

আপনিও হয়তো ভাবছেন, এটা কীভাবে সম্ভব? উত্তর হল- মেমরি ডেস্ক। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাকুটো-আর মিশন ২ চাঁদের পৃষ্ঠে একটি রোবোটিক ল্যান্ডার পাঠাবে। এই ল্যান্ডার পৃথিবীর স্যাটেলাইটে একটি মেমরি ডিস্ক সরবরাহ করবে, যা আমাদের পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্বের অবসান ঘটলেও মানবতার অস্তিত্বকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করবে।

ই-স্পেস তাদের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, ইউনেস্কো মানব সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করা ভাষাগত বৈচিত্র্য সংরক্ষণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। “চন্দ্রপৃষ্ঠে মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার উদ্দেশ্য মানব সংস্কৃতি সংরক্ষণ করা।”

আরও পড়ুন- OLED স্ক্রিন সহ নতুন iPad Air ও iPad Pro M4 লঞ্চ করল Apple! কবে থেকে সেল শুরু?

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “এই মিশন পূরণ করতে মেমরি ডিস্কে ইউনেস্কোর সংবিধানের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই সংবিধান বিশ্ব ঐক্য, ভাষাগত বৈচিত্র্য এবং সংস্কৃতির সংরক্ষণের গুরুত্ব প্রকাশ করে। ” উল্লেখ্য, হাকুটো-আর মিশন ২ এবছরই হবে বলে আশা করা হচ্ছে।