ঘন হচ্ছে বর্ষার মেঘ। ক্রমশ গতি বাড়াচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। ইতিমধ্যেই গুজরাত, মহারাষ্ট্রে অগ্রসর হয়েছে বর্ষা। গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে কবে শুরু বর্ষার ঝমঝমে বৃষ্টি? আইএমডি জানিয়ে দিল বিরাট আপডেট।টানা হিটওয়েভ শেষে অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তর ভারতের রাজ্যে রাজ্যে। রাজধানী দিল্লিতে ২৯শে জুন পর্যন্ত গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে জানাচ্ছে মৌসম ভবন। যার ফলে মাসের শেষটা ভেজা ভেজা থাকবে বলেই ইঙ্গিত আবহাওয়ার৷আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে গুজরাত এবং পার্শ্ববর্তী উত্তর আরব সাগরের আরও কিছু অংশ জুড়ে বর্ষার জন্য পরিস্থিতি অনুকূল থাকবে বলেই জানাচ্ছে আইএমডি।আবহাওয়া দফতরের মতে, 23 জুন, মৌসুমী বায়ু প্রায় পুরো মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ওড়িশা, গুজরাট, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের কিছু অংশে অগ্রসর হয়েছে।আগামী কয়েক দিনের মধ্যে, বিহার, ঝাড়খণ্ড, গুজরাটের অবশিষ্ট অংশ এবং পূর্ব উত্তরপ্রদেশের কিছু অংশ এবং রাজস্থানের কিছু অংশে অগ্রসর হওয়ার জন্য পরিস্থিতি অনুকূল রয়েছে।বর্ষা এখন পর্যন্ত যে রাজ্যগুলিতে পৌঁছেছে, দেখে নিন তালিকা : কেরালা, কর্ণাটক, গোয়া, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, বিহার, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম এবং সমস্ত উত্তর-পূর্ব রাজ্যের বেশিরভাগ অংশে।গত দুই মাস ধরে তীব্র তাপপ্রবাহের শেষে রবিবার বিকেলে রাজধানীর কিছু অংশে নতুন করে বৃষ্টিপাত হয়েছে, যার ফলে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে দিল্লিবাসীদের জন্য।আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, “মোটের উপর মেঘলা আকাশ থাকবে রাজধানী দিল্লিতে। সঙ্গে দমকা হাওয়া ও খুব হালকা বৃষ্টি ও বজ্রপাত সতর্কতা থাকছে।সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৪০ এবং ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকার সম্ভাবনা। আগে আবহাওয়া বিভাগ বলেছিল ৩০ জুন নাগাদ বর্ষা দিল্লি-এনসিআরে আঘাত হানবে বলে মনে করা হচ্ছে।দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর অগ্রসর: ১১ জুনের পর থেকে দক্ষিণ গুজরাতের কিছু অংশে বেশ কয়েকদিন ধরে বর্ষার কোনও অগ্রগতি না হওয়ার পরে, রবিবার দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু আরও কিছুটা অগ্রসর হয়েছে গুজরাত রাজ্যে।আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে গুজরাত এবং সংলগ্ন উত্তর আরব সাগরের আরও কিছু অংশ জুড়ে বর্ষার জন্য পরিস্থিতি অনুকূল থাকবে, এমনটাই আইএমডি তার পূর্বাভাসে জানিয়েছে।“দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু আরব সাগর, গুজরাত রাজ্যের আরও কিছু অংশে অগ্রসর হয়েছে। পৌঁছেছে মহারাষ্ট্রের অবশিষ্ট অংশ, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ের কিছু অংশ, ওড়িশার অবশিষ্ট অংশ এবং বিহার ও ঝাড়খণ্ডের কিছু অংশেও পৌঁছেছে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু।” এমনটাই আইএমডি তার আবহাওয়া বুলেটিনে জানিয়েছে।আইএমডি জানিয়েছে, “আগামী ৫ দিনের মধ্যে কোঙ্কন, গোয়া, মধ্য মহারাষ্ট্র, কর্ণাটকের উপকূলীয় অঞ্চলে বিচ্ছিন্ন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।২৪ জুন থেকে গুজরাত, তামিলনাড়ুর উপকূলীয় এলাকায়, কেরল, মাহে, সৌরাষ্ট্র, কচ্ছতে বৃষ্টি চলবে। ২৪ এবং ২৫ তারিখে তামিলনাড়ু এবং ২৬ এবং ২৭ তারিখে উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ২৭ তারিখে মাহেতে বিচ্ছিন্ন ভারী বৃষ্টিপাত সতর্কতা রয়েছে।আবহাওয়া বিভাগ দক্ষিণ অভ্যন্তরীণ কর্ণাটক, কোঙ্কন এবং গোয়া এবং উপকূলীয় কর্ণাটকের জন্যও লাল সতর্কতা জারি করেছে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, মধ্যপ্রদেশ, উপ-হিমালয় পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমের জন্যও কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।তবে মৌসম ভবনের পূর্বাভাস বলছে, জুলাই মাসের শুরুতে বৃষ্টির খরা কাটতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গে। জুনের শেষ ও জুলাই মাসের শুরুতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে। এমনটাই সম্ভাবনা দেখছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।হাওয়া অফিসের ইঙ্গিত, “দেরিতে বর্ষা দক্ষিণবঙ্গে এবং বর্ষা এলেও বৃষ্টি না হওয়ায় জুন মাসে বৃষ্টির ঘাটতি থাকবে বলেই অনুমান আবহাওয়াবিদদের। বর্ষা এলেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিতে বিরতি। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। খুব হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে।
