দেশ IMD Weather Alert: বর্ষা ফিরছে কবে…? ‘তারিখ’ জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস! বর্ষার পিছু পিছু আসছে নতুন ‘অশনি’! বিরাট সতর্কবাণী আইএমডি-র Gallery September 22, 2024 Bangla Digital Desk শুরু থেকেই বর্ষা দাপিয়ে ব্যাটিং করেছে ২০২৪ এর মরশুমে। বর্ষার বৃষ্টি রেকর্ড ভেঙেছে রাজধানী দিল্লি-সহ দেশের সমস্ত অংশেই। এখন বর্ষা প্রত্যাহার পর্ব শুরু হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পশ্চিম রাজস্থান থেকে বর্ষা প্রত্যাহার শুরু হবে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে। এই সময়ে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, বাংলায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া দফতর এও জানিয়েছে, এ বছর সারা দেশে টানা বৃষ্টির কারণে শীত শুরু হবে। শুধু তাই নয় লা নিনার প্রভাবে দেশে হঠাৎ করেই আবহাওয়ার অবনতি হতে পারে বর্ষা যেতে না যেতেই। এ কারণে এ বছর শীতের প্রবল কাঁপুনির সম্ভাবনা বেশি। এই বছর বর্ষায় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে দিল্লি-সহ সারা দেশের রাজ্যগুলিতে। শুধুমাত্র সেপ্টেম্বরেই দিল্লিতে ১০০০ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। কিন্তু, ততক্ষণে উত্তর ভারত থেকে বিদায় নিয়েছে বর্ষা। এখন প্রশ্ন বর্ষা কি আদৌ ফিরছে এই মাসেই? কবে ফিরবে বর্ষা? কারণ বর্ষা প্রত্যাহারের সময় যে পথ দিয়ে যায়, সেখানেই প্রবল বৃষ্টি হয়। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যে এই মরশুমে পশ্চিম রাজস্থান এবং বঙ্গোপসাগর থেকে বর্ষার প্রত্যাহার ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে নির্ধারিত হয়েছে। ইন্ডিয়ান মেটিওরোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট (আইএমডি) দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রস্থানের তারিখ নির্ধারণ করে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে পশ্চিম রাজস্থান এবং থেকে বর্ষা ফিরে আসতে শুরু করবে। আবার ওই একইসময়ে রাজস্থান ও বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত সঞ্চালনের কথাও পূর্বাভাসে জানিয়েছে আইএমডি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজস্থানে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলেও বৃষ্টি হতে পারে। তবে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। উপদ্বীপ ভারতে আজ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পশ্চিম রাজস্থান, বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন থাইল্যান্ডের কাছে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে। এর কারণে উপদ্বীপ ভারতের রাজ্য এবং পূর্ব উপকূলীয় রাজ্যগুলিতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। অন্ধ্র প্রদেশ, তেলঙ্গানা, অভ্যন্তরীণ কর্ণাটক, তামিলনাড়ু এবং ওড়িশায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও উত্তর-পূর্ব রাজ্যে আবহাওয়া ভেজা থাকতে পারে। এই রাজ্যগুলিতেও বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। লা নিনার প্রভাবে এ বছর প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়বে। সারাদেশে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। লা নিনার প্রভাবের কারণে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জেট স্রোত রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশ জুড়ে উত্তর ভারতের সমভূমিতে তাপমাত্রা ব্যাপক কমিয়ে আনে। আবার এই লা নিনার কারণেই, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু খুব শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং সারা দেশে গড় বৃষ্টিপাত বেশি হয়। এটি শীতের প্রকোপ বাড়িয়ে দেয় বলে মনে করা হয়। তবে এটি আবহাওয়ার উপর নির্ভর করবে। এদিকে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। জোড়া ঘূর্ণাবর্ত তৈরি। দুই ঘূর্ণাবর্ত কে সংযোগ করেছে ‘শিয়ার জোন’। সোমবার নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা। রবিবার অবশ্য থাকবে পরিস্কার আকাশ। কখনও আংশিক মেঘলা আকাশ। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়বে। দার্জিলিং থেকে সিকিমের পার্বত্য এলাকায় গরম ও অস্বস্তি দুটোই বাড়বে। সোমবার নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির আশঙ্কা। সোমবার থেকে বুধবার ওড়িশা সংলগ্ন এবং উপকূলের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। বুধবার দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। কলকাতাপরিষ্কার আকাশ। বেলাতে আংশিক মেঘলা আকাশ। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ওপরে। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকার কারণে অস্বস্তি বেশি হবে। শনিবার বিকেলের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দু এক পশলা হালকা মাঝারি বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। সেই সম্ভাবনা রবিবার ও সোমবার একটু বেশি থাকবে।