আরও খানিকটা এগিয়ে এল মৌসুমী বায়ু। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু আরও একটু এগিয়ে এসে উত্তরবঙ্গের মালদহ ও বিহারের কিছু অংশে পৌঁছল আজ, বৃহস্পতিবার।অবশেষে ইসলামপুর থেকে সরেছে মৌসুমী বায়ু। ৩১ মে থেকে একই জায়গায় থমকে ছিল। ২০ দিন পর স্থান বদল করল মৌসুমী বায়ু। মৌসুমী অক্ষরেখা অমরাবতি, রামপুর, কালাহান্দি, অন্যদিকে মালদহ, ভাগলপুর ও রক্সৌলের ওপর দিয়ে বিস্তৃত।আগামী তিন থেকে চার দিনে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের কিছু এলাকা, উত্তরবঙ্গের বাকি অংশে, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডের কিছু অংশে ও বিহারের আরও কিছু অংশে ঢুকবে মৌসুমী বায়ু।আজ, বৃহস্পতিবার অবশেষে হালকা বৃষ্টিতে ভিজেছে শহর কলকাতা-সহ আরও কয়েকটি জেলা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি এবং ৩০-৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বয়েছে কলকাতায়।কেবল কলকাতা নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি হয়েছে আজ সকাল থেকে।আগামী তিনদিন দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি কলকাতা-সহ সব জেলাতে। তাপমাত্রা সামান্য কমেছে এখনই। আরও কিছুটা কমতে পারে আগামী দু’দিনে।তবে তারই মাঝে রবিবারের পর বৃষ্টির পরিমাণ আবারও কমবে। ফের গরম ও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি ফিরতে পারে আগামী সপ্তাহে।গত পাঁচ বছরে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসতে এতদিন সময় লাগেনি। এটা রেকর্ড। তবে কখনও কখনও বেশ কিছুটা দেরি হয়েছে।২০১৯ সালে ১৬ জুন বর্ষায় এসেছিল উত্তরবঙ্গে। আর দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা এসেছিল ২০ জুন অর্থাৎ উত্তরবঙ্গের চারদিন পর বর্ষা ঢুকেছিল দক্ষিণবঙ্গে।২০২০ সালে ১২ জুন একই দিনে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা এসেছিল। ২০২১ সালে উত্তরবঙ্গের ৬ জুন এবং দক্ষিণবঙ্গে ১১ জুন অর্থাৎ পাঁচ দিন পরে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা এসেছিল।২০২২ সালে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসার পার্থক্য ছিল ১৫ দিন। ৩ জুন উত্তরবঙ্গে এলেও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসে ১৮ জুন।২০২৩ সালে অর্থাৎ গত বছর ১২ জুন উত্তরবঙ্গে এলেও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসে ১৯ জুন অর্থাৎ পার্থক্য ৭ দিনের।২০২৪ সালে ৩১ মে উত্তরবঙ্গে বর্ষা এলেও এখন পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসেনি। অর্থাৎ ২০ দিন পার হয়ে গেল।
