ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো৷

India Canada conflict: সংঘাত চরমে, কানাডার ছয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করল নয়াদিল্লি! ভারত ছাড়ার নির্দেশ

নয়াদিল্লি: কানাডার সঙ্গে ভারতের সংঘাত চরমে পৌঁছল৷ একটি খুনের মামলায় ভারতীয় কূটনীতিকদের স্বার্থ জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে কানাডা সরকার দাবি করার পরই কড়া পদক্ষেপ করল নয়াদিল্লি৷

কানাডা থেকে ভারতীয় হাই কমিশনারকে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি কানাডার রাষ্ট্রদূত সহ ছয় কূটনীতিককে অবিলম্বে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে নয়াদিল্লি৷ আগামী শনিবারের মধ্যেই কানাডার ওই ছয় কূটনীতিককে ভারত ছাড়তে হবে বলে বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে৷

পাল্টা পদক্ষেপ কানাডারও

নয়াদিল্লির এই কড়া পদক্ষেপের পরই পাল্টা জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের পক্ষ থেকেও ৬ ভারতীয় কূটনীতিককে কানাডা ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া বলে খবর৷

আরও পড়ুন: পর পর বুকে গুলি! বাবা সিদ্দিকিকে খুন করতে কত টাকা পেয়েছিল তিন আততায়ী?

ভারতের রাষ্ট্রদূত সহ অন্যান্য কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে একটি খুনের মামলায় যোগসাজশের প্রমাণ রয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর দাবি করে সেদেশের পুলিশ৷ এর পরই সোমবার তড়িঘড়ি কানাডার রাষ্ট্রদূতকে তলব করে বিদেশমন্ত্রক৷ কানাডা সরকারের পদক্ষেপে নয়াদিল্লি যে চরম ক্ষুব্ধ, সেই বার্তা দিয়ে কানাডার রাষ্ট্রদূত সহ ছয় কূটনীতিককে শনিবার, ১৯ অক্টোবরের মধ্যে দেশ ছাড়ার চিঠি ধরানো হয়৷

কানাডা ইস্যুতে কী বলল বিদেশমন্ত্রক?

বিদেশমন্ত্রকের প্রকাশ করা বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, বর্তমানে কানাডা সরকারের যা মনোভাব, তাতে সেদেশে ভারতীয় কূটনীতিকরা নিরাপদ নয় বলেই নয়াদিল্লি মনে করছে৷ সেই কারণেই তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে৷

সূত্রের খবর, বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে সোমবার কানাডার কূটনীতিকদের স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে এর পরে আরও কঠোর কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে ভারত৷ ভারতে বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থনে কানাডা সরকার অহেতুক নয়াদিল্লির উপরে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলেও বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে কানাডার প্রতিনিধিদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ কানাডা এবং ভারতের মধ্যে যে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল, সোমবারের পর তা আরও অনেকটাই বাড়ল৷

কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সঞ্জয় কুমার বর্মার বিরুদ্ধেই গুরুতর অভিযোগ আনে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ৷ ভারতীয় কূটনীতিকরা কানাডায় থেকে গুপ্তচর বৃত্তি করছেন বলেও অভিযোগ করে কানাডার পুলিশ৷ এর পরই কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় নয়াদিল্লি৷ বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যাঁর দিকে কানাডা সরকার আঙুল তুলছে সেই সঞ্জয়কুমার ভার্মা অতীতে জাপান এবং সুদানে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন৷ দক্ষ এবং সম্মানীয় একজন কূটনীতিক হিসেবেই সুনাম রয়েছে তাঁর৷ এ হেন একজন কূটনীতিকের বিরুদ্ধে কানাডা সরকারের তোলা অভিযোগ হাস্যকর এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলেও বিদেশনমন্ত্রক দাবি করেছে৷

শুধু তাই নয়, বিদেশমন্ত্রকের প্রকাশিত বিবৃতিতে সরাসরি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দিকেও আঙুল তোলা হয়েছে৷ জাস্টিন ট্রুডো সরকারের মন্ত্রিসভায় প্রকাশ্যে ভারতের বিরোধিতা করা বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপে যুক্ত ব্যক্তিরা জায়গা পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিদেশমন্ত্রক৷ ২০২০ সালে জাস্টিন ট্রুডো রাখঢাক না করেই ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলানোর চেষ্টা করেছিলেন বলেও অভিযোগ করেছে নয়াদিল্লি৷