জবরদখলের গেরোয় এবার রেলের অমৃত ভারত স্টেশন। একাধিক স্টেশনের কাজে বাধা এবার জবরদখল। তালিকা প্রস্তুত, প্রায় ৭০’টির কাছাকাছি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হকারমুক্ত করতে চায় রেল। রাজ্যের পদক্ষেপ দেখে আশাবাদী রেল। গুরুত্বপূর্ণ একাধিক স্টেশন জুড়ে বেড়ে চলেছে জবরদখল। সেই হকার উচ্ছেদে গিয়ে বারবার বাধার সম্মুখীন হয়েছে রেল।
এই অবস্থায় রাজ্যের উদ্যোগ দেখে পূর্ণ মাত্রায় প্ল্যাটফর্ম ফাঁকা করতে চায় রেল। তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে স্টেশন জুড়ে চলা জবরদখল উচ্ছেদে আরও বেশি করে ঝাঁপাচ্ছে রেল। রাজ্যের মনোভাব দেখে এই কাজে আশাবাদী রেল। গত এক বছরে স্টেশন জুড়ে চলা অবৈধ হকার উচ্ছেদে বারবার বাধার সম্মুখীন হয়েছে রেল। হাওড়া, শেওড়াফুলির ঘটনায় বারবার আক্রান্ত হয়েছেন রেল কর্মীরাও।
এবার প্ল্যাটফর্ম শুধুই যাত্রীদের এই ইস্যুকে সামনে রেখে স্টেশন জুড়ে জবরদখল সরাতে চায় রেল।স্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন ডিআরএম পদমর্যাদার আধিকারিকরাও। তবে এবার পূর্ণ উদ্যোমে সেই কাজ শুরু করতে চলেছে রেল। নজরে যে যে সব রেল স্টেশন -বিধাননগর, বেলঘড়িয়া, দমদম, ব্যারাকপুর, বারাসাত,নৈহাটি, শেওড়াফুলি, বালিগঞ্জ, যাদবপুর, ঢাকুরিয়া, বালি, চন্দননগর, শ্রীরামপুর, সোদপুর-সহ একাধিক স্টেশন।
হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশনের একাধিক স্টেশন আছে যেখানে প্ল্যাটফর্ম জুড়ে বসে রয়েছে জবরদখলকারী৷ বিভিন্ন স্টেশন থেকে তাদের সরাতে পারলেও আবার কয়েক মাসের মধ্যেই তারা পুনরায় সেখানে এসে বসে পড়ছে। এই অবস্থায় বিভিন্ন স্টেশনে হকার উচ্ছেদ অভিযান করতে গিয়ে বারবার সমস্যার মধ্যে তাদের পড়তে হচ্ছে।
ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার হাওড়া সঞ্জীব কুমার জানিয়েছেন, বহু জায়গায় অমৃত ভারত স্টেশনের কাজ হচ্ছে৷ প্ল্যাটফর্ম থেকে জবরদখলকারীদের সরাতে পারলেও বাধা হয়ে আছে পাশ্ববর্তী এলাকা। যার জেরে স্টেশনের কাজের নকশাতেও বদল করতে হচ্ছে।
আবার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার শিয়ালদহ দীপক নিগম জানাচ্ছেন, বহু জায়গায় জবরদখলকারীদের সরাতে গিয়ে মিলছে না সাহায্য। রাজ্যের সাহায্য না মেলায় তাদের বারবার কাজে বাধা আসছে। তিনি আশাবাদী জবরদখলকারীদের হঠাতে রাজ্য যে ভূমিকা নিয়েছে তা যথেষ্ট আশাবাদী৷ তিনি মনে করেন রেল এবার সাহায্য পাবে।