Tag Archives: Eastern Railway

Railway News: রোজ ট্রেনে চড়েন! কিন্তু জানেন কি, পূর্ব রেলের সদর দফতর আগে কোথায় ছিল? উত্তর দিতে গিয়ে হিমশিম অনেকেই

কলকাতা: আপনারা কি জানেন পূর্ব রেলের সদর দফতর আগে কোথায় ছিল ? ফেয়ারলি প্লেসে পূর্ব রেলের বড় বাড়িটা চেনেন না এরকম বাঙালি বোধহয়  খুব কমই আছেন।  ঔপনিবেশিক যুগ থেকে পূর্বরেলের সদর দফতর হিসেবে পরিচিত এই ভবনটি আজও ব্রিটিশ স্থাপত্যের নিদর্শন হিসেবে সমাদৃত।

পূর্ব রেলের সদর দফতর আগে কিন্তু এই ভবনটিতে ছিলনা।  ১৮৭৯ সালে তৎকালীন ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ের অফিস এই ফেয়ারলি প্লেসে স্থানান্তরিত হয়।  এই ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়েই পরবর্তীকালে ইস্টার্ন রেলওয়ে বা পূর্ব রেলওয়ে হিসেবে জনসাধারণের কাছে পরিচিত। এই নুতন ভবনে স্থানান্তরিত হওয়ার আগে থিয়েটার রোডের একটি ভবন থেকে পূর্ব রেলওয়ের সদর দফতরের কার্যকলাপ পরিচালনা করা হত।

আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

এই ফেয়ারলি প্লেস অঞ্চলের সর্বপ্রাচীন মানচিত্রে অবস্থিতি ১৭৯৪ সালে পাওয়া যায় , সেই  মানচিত্রে এখানে একটি নামবিহীন রাস্তার অস্তিত্ব আছে যা পুরোনো কেল্লার ঘাটকে সংযুক্ত করে।  ১৭৭৩ সালে ফোর্ট উইলিয়াম স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গেই তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার বর্তমান রাইটার্স বিল্ডিং এর পশ্চিমে অবস্থিত এই পুরনো কেল্লাটি পরিত্যাগ করে।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

এই ফোর্টের বা কেল্লার পাশ দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তাটি সেই সময় ফেয়ারলি প্লেস নামে পরিচিত হয়।  এই ফেয়ারলি প্লেসের নামকরণ ফেয়ারলি, গিলমোন এন্ড কোম্পানির এক স্বনামধন্য ব্যবসায়ী উইলিয়াম ফেয়ারলি-র নামানুসারে করা হয়েছে। এই ব্যবসায়িক সংগঠনটি লর্ড ওয়েলেসলির সময়কালে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির সেনাবিভাগের হাতি এবং উটগুলির খাদ্য সরবরাহ করতো। ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে দ্বারা ফেয়ারলি প্লেসের সদর দপ্তরের এই বাড়িটি অধিগ্রহণ করার আগে কলকাতার জাতীয় জাদুঘর (ন্যাশনাল মিউজিয়াম, কলিকাতা) এই ভবনটিতে কিছু সময়ের জন্য অবস্থিত ছিল।

ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ের এই ভবনটিকে অধিগ্রহণ করে এখানে একটি বুকিং অফিস খোলে যা ফেয়ারলি প্লেস বুকিং অফিস হিসেবে পরিচিত হয়। কিছু বছর বাদে ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে এই ভবনের লাগোয়া এক বিশাল অঞ্চল অধিগ্রহণ করে এবং এখানে ধীরে ধীরে বর্তমান বড়  ভবনটি নির্মাণ করা হয় যার মূল প্রবেশদ্বার অধুনা রাইটার্স বিল্ডিংয়ের দিকে অবস্থিত। তখন থেকেই ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ের সদর দফতর এবং তার উত্তরসূরি পূর্ব রেলের সদর দফতর হিসেবে এই ভবনটিকেই ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন অবশ্য ফেয়ারলি প্লেস বলতে এর সংশ্লিষ্ট রাস্তাটি নয়, বরং এই ভবনটিই জনমানসে পরিচিত।

Indian Railway: স্টেশনে বেড়ে চলেছে জবরদখল! হকারমুক্ত করতে হিমশিম খাচ্ছে রেল

জবরদখলের গেরোয় এবার রেলের অমৃত ভারত স্টেশন। একাধিক স্টেশনের কাজে বাধা এবার জবরদখল। তালিকা প্রস্তুত, প্রায় ৭০’টির কাছাকাছি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হকারমুক্ত করতে চায় রেল। রাজ্যের পদক্ষেপ দেখে আশাবাদী রেল। গুরুত্বপূর্ণ একাধিক স্টেশন জুড়ে বেড়ে চলেছে জবরদখল। সেই হকার উচ্ছেদে গিয়ে বারবার বাধার সম্মুখীন হয়েছে রেল।

এই অবস্থায় রাজ্যের উদ্যোগ দেখে পূর্ণ মাত্রায় প্ল্যাটফর্ম ফাঁকা করতে চায় রেল। তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে স্টেশন জুড়ে চলা জবরদখল উচ্ছেদে আরও বেশি করে ঝাঁপাচ্ছে রেল। রাজ্যের মনোভাব দেখে এই কাজে আশাবাদী রেল। গত এক বছরে স্টেশন জুড়ে চলা অবৈধ হকার উচ্ছেদে বারবার বাধার সম্মুখীন হয়েছে রেল। হাওড়া, শেওড়াফুলির ঘটনায় বারবার আক্রান্ত হয়েছেন রেল কর্মীরাও।

আরও পড়ুন: রূপকথার মতো সাফল‍্য! খ‍্যাতির শীর্ষে অভিনয়কে বিদায়, ইউপিএসসি পরীক্ষায় সফল হয়ে এখন আইএএস অফিসার, চেনেন অভিনেত্রীকে? র‍্যাঙ্ক জানলে মাথা ঘুরে যাবে

এবার প্ল্যাটফর্ম শুধুই যাত্রীদের এই ইস্যুকে সামনে রেখে স্টেশন জুড়ে জবরদখল সরাতে চায় রেল।স্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন ডিআরএম পদমর্যাদার আধিকারিকরাও। তবে এবার পূর্ণ উদ্যোমে সেই কাজ শুরু করতে চলেছে রেল। নজরে যে যে সব রেল স্টেশন -বিধাননগর, বেলঘড়িয়া, দমদম, ব্যারাকপুর, বারাসাত,নৈহাটি, শেওড়াফুলি, বালিগঞ্জ, যাদবপুর, ঢাকুরিয়া, বালি, চন্দননগর, শ্রীরামপুর, সোদপুর-সহ একাধিক স্টেশন।

হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশনের একাধিক স্টেশন আছে যেখানে প্ল্যাটফর্ম জুড়ে বসে রয়েছে জবরদখলকারী৷ বিভিন্ন স্টেশন থেকে তাদের সরাতে পারলেও আবার কয়েক মাসের মধ্যেই তারা পুনরায় সেখানে এসে বসে পড়ছে। এই অবস্থায় বিভিন্ন স্টেশনে হকার উচ্ছেদ অভিযান করতে গিয়ে বারবার সমস্যার মধ্যে তাদের পড়তে হচ্ছে।

আরও পড়ুন: সূর্য, বুধ, শুক্র ও মঙ্গল, ৪ বড় গ্রহের স্থান পরিবর্তন জুলাই মাসেই! সাফল‍্যের শিখরে এই ৩ রাশি, ব‍্যাঙ্ক ব‍্যালেন্স উপচে পড়বে, টাকার বৃষ্টি

ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার হাওড়া সঞ্জীব কুমার জানিয়েছেন, বহু জায়গায় অমৃত ভারত স্টেশনের কাজ হচ্ছে৷ প্ল্যাটফর্ম থেকে জবরদখলকারীদের সরাতে পারলেও বাধা হয়ে আছে পাশ্ববর্তী এলাকা। যার জেরে স্টেশনের কাজের নকশাতেও বদল করতে হচ্ছে।

আবার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার শিয়ালদহ দীপক নিগম জানাচ্ছেন, বহু জায়গায় জবরদখলকারীদের সরাতে গিয়ে মিলছে না সাহায্য। রাজ্যের সাহায্য না মেলায় তাদের বারবার কাজে বাধা আসছে। তিনি আশাবাদী জবরদখলকারীদের হঠাতে রাজ্য যে ভূমিকা নিয়েছে তা যথেষ্ট আশাবাদী৷ তিনি মনে করেন রেল এবার সাহায্য পাবে।

Eastern Railway: ক্রমশ বাড়ছে বিদ্যুতের বিল… এবার সাশ্রয়ের ভাবনায় রেলযাত্রীদের কাছে বিশেষ আবেদন পূর্বরেলের

কলকাতা: অস্বাভাবিক ভাবে বাড়ছে বিদ্যুতের বিল। তাই পূর্ব রেল রেলযাত্রীদের কাছে ট্রেনে অপ্রয়োজনীয় পাখা ও লাইট বন্ধ করে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার আবেদন জানিয়েছে।

ধরা যাক, আপনি লোকাল ট্রেনে চড়ে অন্তিম স্টেশনে নামছেন। সমস্ত যাত্রী প্লাটফর্মে নেমে পড়েছে, কিন্তু ট্রেনের ভিতরে ফ্যানও চলছে, আলো জ্বলছে। এর ফলে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে। সেক্ষেত্রে যাত্রীদের কাছে অনুরোধ করা হচ্ছে তাঁরা যেন, ট্রেন থেকে নামার সময় ফ্যানের সুইচ বন্ধ করে দেন। পূর্ব রেলওয়ের পক্ষ থেকে যাত্রীদের উদ্দেশ্যে অনুরোধ করা হচ্ছে, বিদ্যুৎ সংরক্ষণকে গুরুত্ব দিন। সমস্ত যাত্রীরা ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় বৈদ্যতিক শক্তির ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন থাকুন। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল সামগ্রিক বৈদ্যতিক শক্তির অপব্যবহার কমানো এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা।

আরও পড়ুন: শপথ নিয়ে রেয়াত-সায়ন্তিকার পাশেই স্পিকার বিমান, প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ার হুঁশিয়ারি

আরও পড়ুন: বুধবারও হচ্ছে না সায়ন্তিকা এবং রেয়াত হোসেনের শপথগ্রহণ, কবে হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা

বৈদ্যুতিক শক্তি সংরক্ষণের জন্য যাত্রীদের সতর্কীকরণ:

অপ্রয়োজনীয় লাইট বন্ধ রাখুন: দিনের বেলায় যখন প্রাকৃতিক আলো পর্যাপ্ত, তখন অপ্রয়োজনীয় লাইট বন্ধ রাখুন।

অতিরিক্ত পাখা বন্ধ রাখুন: অনেক সময় লক্ষ করা যায় যে  যাত্রীরা না থাকলেও ফ্যানগুলি চলছে। তাই যেখানে সম্ভব, সেখানে পাখা বন্ধ রাখুন ।

ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলির সচেতন ব্যবহার: ট্রেনে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করার সময় চার্জিং সম্পূর্ণ হয়ে গেলে চার্জার খুলে ফেলুন।

পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেছেন, “বৈদ্যুতিক শক্তি সংরক্ষণের জন্য যাত্রীদের ছোট ছোট, সচেতন পদক্ষেপের  মাধ্যমে একদিকে যেমন বৈদ্যুতিক শক্তির খরচ কমানো যাবে, তেমনই অপরদিকে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে ৷ “

Rail Police: শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় রেল লাইনের ধারে পড়ে রক্তাক্ত ব্যক্তি, দেখা নেই রেল পুলিশের!

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ত্রাতা হয়ে এগিয়ে এলেন স্থানীয়রা। কিন্তু যাদের দায়িত্ব পালনের কথা সেই রেল পুলিশের দেখা নেই। ট্রেনের ধাক্কায় জখম ব্যক্তির চিকিৎসার ক্ষেত্রে এমনই দৃশ্য দেখা গেল পূর্ব রেলের শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার দক্ষিণ বারাসত স্টেশন এলাকায়। এই ঘটনার পর সমালোচনার মুখে পড়েছে রেল পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রের খবর, দক্ষিণ বারাসত ও হোগলা স্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকায় রেল ট্র্যাকের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। ‌দেখে মনে হয়েছে, তিনি সম্ভবত লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর জখম হয়েছেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে রেল পুলিশের দেখা পাওয়া যায়নি। শেষে বাধ্য হয়ে স্থানীয়রাই ওই জখম ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। স্থানীয় যুবকেরা অভিযোগ করেন, রেল পুলিশকে খবর দিলে তারা আসেনি।

আর‌ও পড়ুন: কী এমন ঘটল! আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এই এলাকার বাসিন্দারা

এদিন দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার রেল লাইনের পাশে। স্থানীয়দের অনুমান, ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে অথবা ট্রেনের ধাক্কায় জখম হয়েছেন ওই ব্যক্তি। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে। এদিকে ওই ব্যক্তি সংজ্ঞাহীন থাকায় তাঁর পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। আঘাতের মাত্রা অত্যন্ত বেশি থাকায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু রেল পুলিশ না আসায় নিয়মের গ্যাঁড়াকলে পড়ে বাধ্য হয়ে পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালেই আপাতত চিকিৎসা চলছে তাঁর।

সুমন সাহা

Eastern Railway: রোদ উঠুক বা ঝড় বৃষ্টি, শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বেহাল দশা রেল যাত্রীদের

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার বারুইপুর স্টেশন থেকে শুরু করে বহডু, কল্যাণপুর, মথুরাপুর সহ সব স্টেশনেই ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সফর করেন যাত্রীরা। অধিকাংশ প্ল্যাটফর্মেই শেড বলতে রয়েছে একটি। ভরদুপুরের চড়া গরমে কিংবা বৃষ্টির সময় ওই শেডের নিচেই গাদাগাদি করে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করেন যাত্রীরা। রেল কর্তৃপক্ষের এই ব্যাপারে হেলদোল নেই। এমন অব্যবস্থার ফলে ক্রমশ ভোগান্তি বাড়ছে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার যাত্রীদের।

শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় অন্যতম ব্যস্ত স্টেশন হল বারুইপুর। এই স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এখানে চারটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এরমধ্যে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বড় শেড থাকলেও ৩ এবং ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে রয়েছে মাত্র একটি ছোট শেড। ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে লক্ষ্মীকান্তপুর, নামখানা যাওয়ার ট্রেন থাকে অধিকাংশ সময়। ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে সাধারণত বারুইপুর লোকাল বা আপ ট্রেন ছাড়ে। বৃষ্টি নামলে শেডের নিচে দাঁড়ানোর জন্য যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ফলে দুর্ঘটনাও ঘটে মাঝেমধ্যে। এক যাত্রীদের কথায়, এই স্টেশনে যাত্রীদের ভালমন্দের দিকে রেলের কোনও নজর নেই। বৈধ টিকিট থাকলেও বৃষ্টিতে ভিজে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।

আর‌ও পড়ুন: মালাবদল করে শুরু ফুটবল ম্যাচ!

এছাড়া শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার আরও একটি বড় স্টেশন বহুডু। জয়নগরের মোয়ার জন্য বহুডুর নাম জগৎজোড়া। এই বহডুতেই বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের পৈতৃক ভিটে। এই স্টেশনে দু’টি প্ল্যাটফর্ম থাকলেও মাত্র একটি করে শেড রয়েছে। ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যেখানে শেডটি রয়েছে, সেখানে পৌঁছতেই যাত্রীদের অনেকটা সময় লেগে যায়। তাঁদের বক্তব্য, শুধু শেড নয়, পানীয় জলও সব সময় মেলে না। অন্যান্য স্টেশনেও কমবেশি এই সমস্যাগুলো বজায় আছে। এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখছি।

সুমন সাহা

Indian Railway: বাংলা-বিহার রেলপথে আরও বাড়বে গতি, বাড়ছে স্বাচ্ছন্দ্য

চিফ কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি (সিসিআরএস)  আরারিয়া-গলগলিয়া নতুন লাইন প্রকল্পের পাওয়াখালি ও ঠাকুরগঞ্জ স্টেশনের মধ্যে নতুনভাবে স্থাপন করা ২৩.২৪২ কিমি রেলওয়ে লাইনের সতর্কতামূলক পরিদর্শন সম্পন্ন করে সেকশনটি কমিশনিঙের জন্য তার অনুমোদন প্রদান করেছে।

সম্পূর্ণ প্রকল্পটি উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের কাটিহার ডিভিশনের অধীনে। চিকেন নেক অংশে বর্তমানের রেলওয়ে নেটওয়ার্ককে অধিক শক্তিশালী করা এবং ওই অংশটিতে সমগ্র রেলওয়ের পরিচালনগত দক্ষতা উন্নত করার মূল লক্ষ্যে নবনির্মিত ব্রডগজ লাইনটি খোলা হয়েছে। নতুন করে স্থাপিত রেলওয়ে লাইনটি এই রুট দিয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চলে আরও বেশি পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেনের চলাচলে সহায় করবে।

আরও পড়ুন: ছাতা রাখুন সঙ্গে, সাত সকালেই আকাশ কালো করে ধেয়ে আসছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি! সঙ্গী ঝোড়ো হাওয়া, দক্ষিণের দুই জেলায় প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা

আরারিয়া-গলগলিয়া নতুন লাইন প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ১১০.৭৫ কিলোমিটার, যার মধ্যে কাদোগাঁও, ভোগদাবার হল্ট হয়ে পাওয়াখালি স্টেশন থেকে ঠাকুরগঞ্জ স্টেশন পর্যন্ত ২৩.২৪২ কিলোমিটার রেলওয়ে লাইন খোলা হয়েছে। নতুন রেলওয়ে লাইনটিতে বিহারের পূর্ব অংশকে আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি সেকশনটির যানজট কমাতে এবং পাওয়াখালি-ঠাকুরগঞ্জ সেকশনে ট্রেনের সুগম চলাচলে সাহায্য করবে। এই প্রকল্পটি নিকটবর্তী অঞ্চলগুলিতে বিশাল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।

এছাড়াও এই লাইনটি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে অনেক বেশি ট্রেন চলাচল করার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে, যার ফলে ওই অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক বিকাশ ঘটবে। এই প্রকল্পটি ইন্ধন সঞ্চয় ও পরিবহণ ব্যয় হ্রাসের পাশাপাশি ভ্রমণের সময় হ্রাস করে নিকটবর্তী অঞ্চলগুলির অর্থনৈতিক দৃশ্যপটের উন্নতি করবে। পণ্যসামগ্রীর পরিবহণ ব্যয়ও সাশ্রয়ী হবে।

যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধার মধ্যে পাওয়াখালি ও ঠাকুরগঞ্জ উভয় স্টেশনেই ৩-মিটার প্রশস্ত নতুন ফুট ওভার ব্রিজ, ওয়েটিং হল ও নতুন প্যাসেঞ্জার প্ল্যাটফর্ম শেড নির্মাণ করা হয়েছে এবং পাওয়াখালিতে ৩টি পুরুষ ও ২টি মহিলা শৌচালয় এবং ঠাকুরগঞ্জে ২টি পুরুষ ও ২টি মহিলা শৌচালয় নির্মাণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘পাতালেই’ শেষ ছোট্ট প্রাণ, ১৭ ঘণ্টার নিস্ফল চেষ্টা! ৫০০ ফুট বোরওয়েলে কীভাবে পড়ে গেল দেড় বছরের শিশুকন‍্যা? গুজরাতে মর্মান্তিক কাণ্ড

অতিরিক্তভাবে স্টেশনগুলিতে যাত্রীদের জন্য পানীয় জলের সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। ট্রেনে যাত্রীদের বোর্ডিং ও ডি-বোর্ডিং-এর জন্য প্ল্যাটফর্মের উচ্চতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।এই সেকশনে ০১টি গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ, ০৮টি মেজর ব্রিজ ও ০১টি মেজর রোড আন্ডার ব্রিজ এবং ৪৩টি মাইনোর ব্রিজ রয়েছে।

Eastern Railway: সাবধান! বিনা টিকিটে ট্রেনে চড়ছেন? পাশেই সহযাত্রী হিসাবে বসে আছেন টিকিট পরীক্ষক, ধরা পড়লেই…

বিনা টিকিটে রেল যাত্রীদের যাতায়াত করা আটকানো যাচ্ছে না। এক শ্রেণীর যাত্রীদের মধ্যে বিনা টিকিটে যাতায়াত করার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। এবার এই অবস্থা আটকাতে কড়া হচ্ছে রেল। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এবার সারপ্রাইজ টিকিট চেকিং স্পেশ্যাল নামতে চলেছে।

পূর্ব রেলের তরফে মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, যাঁরা রোজ বিনা টিকিটে যাতায়াত করা অভ্যেস করে ফেলেছেন তাঁদের এবার সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে। এবার হয়ত টিকিট চেক করতে হঠাৎ হঠাই ট্রেন রুটের মাঝপথে যে কোনও স্টেশন থেকেই উঠে পড়বে টিকিট চেকিং স্কোয়াড। সেটা কোনও জাংশন বা বড় স্টেশন নাও হলে পারে। যে কোনও সময়, যে কোনও রুটেই উঠে পড়তে পারে রেলের এই টিকিট চেকারের দল। তারপর বিনা টিকিটের যাত্রা করছেন এমন কেউ ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন-   গরমে গোলাপ গাছ শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে? এই ৬ জিনিস ‘ধন্বন্তরি’! গোড়ায় দিলেই থোকা থোকা ফুলে ভরবে গাছ, গ্যারান্টি!

রেলের তরফে সতর্ক করে বলা হয়েছে, টিকিট না কাটলে যে কোনও দিন , সকলের সামনে বেইজ্জত হয়ে যেতে পারেন। জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্রর কথায় এই স্কোয়াড সন্ধেয় হঠাৎ উঠে পড়তে পারেন তালদি থেকে বা আরামবাগ থেকে বা আর যে কোনও স্টেশন থেকে। এমন একটা লোকেশন থেকে হয়ত স্কোয়াড উঠে পড়বে, যেখান থেকে কেউ আশাই করেননি টিকিট চেকিং হবে। সেই সময় সকলের সামনে মাথা হেঁট হয়ে যেতে পারে বিনা টিকিটের যাত্রীদের।

আরও পড়ুন-   বলুন তো, পৃথিবীর কোন দেশে Jeans পরা নিষেধ? ৯০% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তর, নাম শুনলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি!

সেই সঙ্গে রেলওয়ের আর্জি, রেল-ভাড়া তো অন্যান্য যানের থেকে অনেক কম। ৫ থেকে ১০ টাকার টিকিট কেটে দীর্ঘ পথ যাত্রা করাই যায়। তাই ,সেই টিকিটও কাটতে চান না বহু মানুষ। কৌশিক মিত্রর কথায়, এতে করে রেল যে বিশাল লাভ করবে এমন নয়, কিন্তু এটা একটু বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা যে, বাসের থেকে রেলের ভাড়া অনেক কম, তাছাড়াও রেল টিকিট কাটার অনেক ব্যবস্থা করেছে। তাই একটু সচেতন হয়ে টিকিট কেটে নেওয়াই ন্যায্য কাজ।

Indian Railway Cyclone Remal Update: মারাত্মক শক্তিশালী! ভয়ঙ্কর শক্তি নিয়ে ক্রমশ এগোচ্ছে তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘Remal’! কলকাতায় বৃষ্টি শুরু, বিরাট সতর্কতা পূর্ব রেলের

২৬ মে,২০২৪ তারিখে পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানতে পারে এমন ঝড় “রিমল” এর প্রস্তুতি হিসাবে পূর্ব রেলের সমস্ত বিভাগ প্রাথমিক নির্দেশিকাগুলি সতর্কতার সঙ্গে অনুসরণ করছে এবং নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি শুরু করেছে৷

(১) পূর্ব রেলের সমস্ত বিভাগ যেমন হাওড়া, শিয়ালদহ, মালদা এবং আসানসোল পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানা ঝড় / টর্নেডোর আগের ক্ষেত্রে যেমন সুরক্ষা প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়েছিল, তেমন-ই সুরক্ষা প্রোটোকল অনুসরণ করেছে।

(২) 25/5/2024 তারিখে 8:00 টা থেকে 27/5/2024 তারিখে এ সকাল 8:00 টা পর্যন্ত ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল, এসএন্ডটি বিভাগ, নিরাপত্তা ও অপারেটিং বিভাগের কর্মকর্তাদের দ্বারা জরুরী নিয়ন্ত্রণ ও বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ সার্বক্ষণিক পরিচালনা করা। কন্ট্রোল রুমের আধিকারিকরা সময়ে সময়ে কোনও অস্বাভাবিকতা এবং ঝড়ের আপডেট ডিআরএম, এডিআরএম এবং অন্যান্য সিনিয়র অফিসারদের কাছে পৌঁছে দেবেন।

(৩) ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বাণিজ্যিক বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে স্টেশনের ভিতরে এবং বাইরের সমস্ত বিজ্ঞাপন বোর্ড পরীক্ষা করা হবে এবং সেগুলিকে আরও বেশি মজবুত করা হবে (যেখানেই প্রয়োজন)।

৪) প্ল্যাটফর্ম শেডগুলি পরীক্ষা করা হবে এবং উচ্চ গতির ঝড় সহ্য করার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(৫) ২৫/৫/২০২৪ তারিখ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের যথা ট্র্যাক, ব্রিজ, এফওবি (ফুট ওভারব্রিজ) ইত্যাদি রক্ষার জন্য পেট্রোলিং এবং স্টাফ মোতায়েন করা।

(৬) ওয়াগনে লোড করা ইঞ্জিনিয়ারিং উপকরণগুলি যেমন ট্র্যাক ও আনুষঙ্গিক উপকরণগুলি প্রয়োজন অনুযায়ী স্থাপন করা হবে এবং এই ওয়াগন গুলি চলাচলের জন্য ডিজেল লোকো গুলিকে সর্বদা তৈরি থাকতে হবে।

আরও পড়ুন- চরম আর্থিক অনটন! দিনে মাত্র ৫০ টাকা আয়, খরচ বাঁচাতে যা করতেন নায়িকা…! বিখ্যাত পরিচালকের মেয়ের রোজগার শুনলে আঁতকে উঠবেন

(৭) জরুরী পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে ফিল্ড অফিসার এবং সুপারভাইজারদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ডিআরএম কর্তৃক ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

(৮) ঝড়ের সতর্কবার্তা পাওয়ার সাথে সাথেই ওএইচই-এর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। ট্রেনগুলি ইয়ার্ড/স্টেশনে থামিয়ে যথাযথভাবে সুরক্ষিত করা হবে।

(৯) ইয়ার্ডে মালবাহী ও কোচিং রেকগুলো যথাযথভাবে সুরক্ষিত থাকবে।

আরও পড়ুন-শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে সাইক্লোন রিমল! ভয়ঙ্কর দুর্যোগের আশঙ্কা বাড়ছে দক্ষিণবঙ্গে, উত্তরেও কি চলবে তাণ্ডব? আবহাওয়ার বিরাট আপডেট

(১০) টাওয়ার কারগুলি যখন প্রয়োজন তখন চলাচলের জন্য কৌশলগত স্থানে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ।

(১১) পূর্ব রেলওয়ের আধিকারিকরা ঘন্টায় ঘন্টায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের আপডেট পেতে আবহাওয়া অফিসের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

(১২) পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে ঝড় ও ট্রেনের চলাচলের অবস্থান সম্পর্কে স্টেশনে ঘোষণা করা হবে।

Cyclone Remal: সাগরে ফুঁসছে ঘূর্ণিঝড় রিমল! রবিবারেই চরম আকার নেবে… যাত্রী সুরক্ষায় প্রস্তুত পূর্ব রেল

ঘূর্ণিঝড় ' রিমল'-এর জন্য বড় সতর্কতা পূর্ব রেলের।  ' রিমল'-এর সম্ভাব্য ল্যান্ডফলের পরিণতি মোকাবিলায় প্রস্তুত পূর্ব রেল। প্রস্তুতি হিসাবে পূর্ব রেলের সমস্ত বিভাগ প্রাথমিক নির্দেশিকা অনুযায়ী  হাওড়া, শিয়ালদহ, মালদহ এবং আসানসোলে  সুরক্ষা প্রোটোকল অনুসরণ করেছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘ রিমল’-এর জন্য বড় সতর্কতা পূর্ব রেলের।  ‘ রিমল’-এর সম্ভাব্য ল্যান্ডফলের পরিণতি মোকাবিলায় প্রস্তুত পূর্ব রেল। প্রস্তুতি হিসাবে পূর্ব রেলের সমস্ত বিভাগ প্রাথমিক নির্দেশিকা অনুযায়ী  হাওড়া, শিয়ালদহ, মালদহ এবং আসানসোলে  সুরক্ষা প্রোটোকল অনুসরণ করেছে।
২৫ তারিখ সকাল ৮টা থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল, এসএন্ডটি বিভাগ, নিরাপত্তা ও অপারেটিং বিভাগের কর্মকর্তাদের দ্বারা জরুরি নিয়ন্ত্রণ ও বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ পরিচালনা করা হবে।
২৫ তারিখ সকাল ৮টা থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল, এসএন্ডটি বিভাগ, নিরাপত্তা ও অপারেটিং বিভাগের কর্মকর্তাদের দ্বারা জরুরি নিয়ন্ত্রণ ও বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ পরিচালনা করা হবে।
কন্ট্রোল রুমের আধিকারিকেরা সময়ে সময়ে কোনও অস্বাভাবিকতা এবং ঝড়ের আপডেট ডিআরএম, এডিআরএম এবং অন্যান্য সিনিয়র অফিসারদের কাছে পৌঁছে দেবেন।
কন্ট্রোল রুমের আধিকারিকেরা সময়ে সময়ে কোনও অস্বাভাবিকতা এবং ঝড়ের আপডেট ডিআরএম, এডিআরএম এবং অন্যান্য সিনিয়র অফিসারদের কাছে পৌঁছে দেবেন।
ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বাণিজ্যিক বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে স্টেশনের ভিতরে এবং বাইরের সমস্ত বিজ্ঞাপন বোর্ড পরীক্ষা করা হবে।প্ল্যাটফর্ম শেডগুলি পরীক্ষা করা হবে এবং উচ্চগতির ঝড় সহ্য করার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 
ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বাণিজ্যিক বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে স্টেশনের ভিতরে এবং বাইরের সমস্ত বিজ্ঞাপন বোর্ড পরীক্ষা করা হবে।প্ল্যাটফর্ম শেডগুলি পরীক্ষা করা হবে এবং উচ্চগতির ঝড় সহ্য করার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জরুরি পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ফিল্ড অফিসার এবং সুপারভাইজারদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। ইয়ার্ডে মালবাহী ও কোচিং রেকগুলো যথাযথভাবে সুরক্ষিত থাকবে। পূর্ব রেলওয়ের আধিকারিকেরা ঘণ্টায় ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড় রিমলের আপডেট পেতে আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন।
জরুরি পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ফিল্ড অফিসার এবং সুপারভাইজারদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। ইয়ার্ডে মালবাহী ও কোচিং রেকগুলো যথাযথভাবে সুরক্ষিত থাকবে। পূর্ব রেলওয়ের আধিকারিকেরা ঘণ্টায় ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড় রিমলের আপডেট পেতে আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন।
সকাল থেকে আকাশ পরিষ্কারই ছিল। ভোটও হয়েছে নির্বিঘ্নে। দুপুর গড়াতেই বদলে গেল আবহাওয়া। কলকাতায় শুরু ভয়াবহ বৃষ্টি।
সকাল থেকে আকাশ পরিষ্কারই ছিল। ভোটও হয়েছে নির্বিঘ্নে। দুপুর গড়াতেই বদলে গেল আবহাওয়া। কলকাতায় শুরু ভয়াবহ বৃষ্টি।
শুক্রবার আকাশ পরিষ্কারই ছিল। অসহনীয় গরমে ভুগেছে বঙ্গবাসী। শনিবার দুপুরের পরেই সবটা বদলে গেল।
শুক্রবার আকাশ পরিষ্কারই ছিল। অসহনীয় গরমে ভুগেছে বঙ্গবাসী। শনিবার দুপুরের পরেই সবটা বদলে গেল।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ইতিমধ্যেই পরিণত হয়েছে গভীর নিম্নচাপে। শুক্রবার সকালে তার অবস্থান ছিল বাংলাদেশের খেপুপাড়ার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে ৭০০ কিমি, সাগর দ্বীপের দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব ৬৬০ কিমি এবং ক্যানিং থেকে দক্ষিণে ৭১০ কিমি দূরে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, শনিবার গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল'-এ পরিণত হবে।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ইতিমধ্যেই পরিণত হয়েছে গভীর নিম্নচাপে। শুক্রবার সকালে তার অবস্থান ছিল বাংলাদেশের খেপুপাড়ার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে ৭০০ কিমি, সাগর দ্বীপের দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব ৬৬০ কিমি এবং ক্যানিং থেকে দক্ষিণে ৭১০ কিমি দূরে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, শনিবার গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘রিমল’-এ পরিণত হবে।
রবিবার সন্ধ্যায় এই ঘূর্ণিঝড় শক্তি সঞ্চয় করে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বাংলাদেশ ও সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূল এলাকায় স্থলভাগে প্রবেশ করবে। স্থলভাগে প্রবেশ করার সময় এটি রূপ নেবে সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্মে ৷
রবিবার সন্ধ্যায় এই ঘূর্ণিঝড় শক্তি সঞ্চয় করে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বাংলাদেশ ও সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূল এলাকায় স্থলভাগে প্রবেশ করবে। স্থলভাগে প্রবেশ করার সময় এটি রূপ নেবে সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্মে ৷
রবি ও সোমবার জোরদার বৃষ্টিপাত হতে পারে ৷ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অতিভারী বৃষ্টিপাত হবে ১০০-১১০ কিমি বেগে ঝড় বইতে পারে ৷ প্রতীকী ছবি ৷
জানতে পারা গিয়েছে ফলে রবি ও সোমবার জোরদার বৃষ্টিপাত হতে পারে ৷ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অতিভারী বৃষ্টিপাত হবে ১০০-১১০ কিমি বেগে ঝড় বইতে পারে ৷ প্রতীকী ছবি ৷
কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে সোমবার জারি থাকবে কমলা সতর্কতা ৷ ঝড়ের সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হবে ৷ প্রতীকী ছবি ৷
কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে সোমবার জারি থাকবে কমলা সতর্কতা ৷ ঝড়ের সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হবে ৷ প্রতীকী ছবি ৷
ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা বহাল রয়েছে দক্ষিণের প্রায় সর্বত্র। দক্ষিণের জেলাগুলিতে তীব্র গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বইবার সম্ভাবনা। এইদিন দুপুর থেকেই মেঘলা আকাশে ঢেকেছে‌ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা।
ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা বহাল রয়েছে দক্ষিণের প্রায় সর্বত্র। দক্ষিণের জেলাগুলিতে তীব্র গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বইবার সম্ভাবনা। এইদিন দুপুর থেকেই মেঘলা আকাশে ঢেকেছে‌ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা।
রিমল’-এর জন্য সব জেলাশাসকদের নিয়ে শুক্রবার জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। আজ, শনিবার ভোট থাকার কারণে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নবান্ন।
রিমল’-এর জন্য সব জেলাশাসকদের নিয়ে শুক্রবার জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। আজ, শনিবার ভোট থাকার কারণে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নবান্ন।

Indian Railway: শান্তিপুর স্টেশন পরিদর্শনে এডিআরএম

নদিয়া: অমৃত মহোৎসবের প্রকল্পাধীন শান্তিপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনে এলেন রেলের এডিআরএম। ইস্টার্ন রেলের এডিআরএম সুমিত সরকার আজ নদিয়া এবং উত্তর ২৪ পরগনা পরিদর্শনে আসেন। এক বিশেষ ট্রেনে চেপে তিনি শান্তিপুর স্টেশনে এসে পৌঁছন।

যদিও আগমন প্রসঙ্গে কোনও মতামত প্রকাশ করতে চাননি এডিআরএম। তিনি শুধু বলেন অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে ভারতীয় রেল স্টেশন এবং রেল সংক্রান্ত উন্নয়নের নানাবিধ যে সমস্ত প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে তার কাজ ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই কাজ কতদূর এগিয়েছে এবং ছোটখাটো বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আজকের এই পরিদর্শন।

আরও পড়ুন: দেবকে টেক্কা দিতে হিরণের পাশে শাহ, থাকল বিশাল মালার চমক

তবে স্থানীয় রেল যাত্রী সমিতি এবং হকার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানা যায় আজ ইতিবাচক কোনও আলোচনা হয়নি তাঁদের সঙ্গে। যদিও সম্প্রতি কয়েক মাস আগে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিয়ে জিএম-এর কাছে একটি লিখিত আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সে বিষয়েও অগ্রগতি হয়েছে বলেই জানতে পেরেছেন তারা।

তবে আজ ব্যারাকপুর থেকে শুরু করে ওই বিশেষ পরীক্ষক ট্রেনটি রানাঘাট হয়ে শান্তিপুরে আসেন। এরপর গেদে এবং সর্বশেষ বনগাঁ যাওয়ার কথা আছে। এদিন এডিআরএমের সঙ্গে বিভাগীয় বিভিন্ন অফিসিয়াল টেকনিক্যাল আধিকার ইঞ্জিনিয়ার এবং ঊর্ধ্বতন আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে শান্তিপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জিআরপি আর পি এফ এর আধিকারিকগণও যথেষ্ট তৎপর ছিলেন এই পরিদর্শনকে কেন্দ্র করে।

মৈনাক দেবনাথ