Indian Railway: এবার মেঘালয়ের সাথে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা বাড়াচ্ছে মন্ত্রক, দ্রুত গতিতে জুড়ছে মেঘালয় ও অসম

নয়াদিল্লি: উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলে দুর্ঘটনার জেরে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে জোন। যদিও এর মধ্যেই পরিকাঠামো উন্নয়ন কাজ সমান গতিতে করে চলেছে রেল। এবার মেঘালয়ের সাথে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা বাড়াচ্ছে মন্ত্রক। গোটা দেশের সাথে রেল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় দ্রুত গতিতে জুড়ছে মেঘালয় ও অসম।

ছয়গাঁও ও মির্জা স্টেশনের মধ্যে ডাবল লাইন চালু। ছয়গাঁও ও মির্জা স্টেশনের মধ্যে নতুনভাবে স্থাপন করা ডাবল লাইনের সতর্কতামূলক পরিদর্শন সম্পন্ন করলেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস) শ্রী সুমিত সিংঘল। পরিদর্শনের ফলস্বরূপ, তিনি নতুন করে স্থাপিত রেল লাইন দিয়ে ট্রেন পরিচালনের জন্য অনুমোদন দিয়েছেন।

এই নতুন সেকশনটি চালু হওয়ার সাথে সাথে ব্রহ্মপুত্রের দক্ষিণ পারের রুট, অর্থাৎ গোয়ালপাড়া হয়ে নিউ বঙাইগাঁও থেকে আজারা পর্যন্ত, ডাবল লাইন সেকশন হিসাবে চলাচলের জন্য কার্যক্ষম করা হয়েছে।

নতুন করে স্থাপিত এই দ্বিতীয় লাইনটি এই রুট দিয়ে আরও পণ্য ও যাত্রিবাহী ট্রাফিক পরিবহণের জন্য সহায়ক হবে। বর্ধিত গতির সাথে আরও ট্রেন চালানো যাবে, এইভাবে ন্যূনতম সময়সীমার মধ্যে আরও উন্নত সংযোগ ব্যবস্থাকে সক্রিয় করবে।

ছয়গাঁও ও মির্জার মধ্যে দৈর্ঘ্য হলো ১৫.৫৫৮ কিমি। ১৭৬ কিমি. দৈর্ঘ্যের নিউ বঙাইগাঁও – কামাখ্যা ভায়া গোয়ালপাড়া ডাবল লাইন প্রকল্পের একটি অংশ হলো ছয়গাঁও-মির্জা সেকশন। কাজগুলি সেকশন অনুসারে করা হচ্ছে এবং ভাগে ভাগে চালু করা হচ্ছে। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস) দ্বারা এই সেকশনে গতিবেগ পরীক্ষা করার পাশাপাশি সমস্ত ব্রিজ, আরইউবি ও সিগনালিং সিস্টেমও পরীক্ষা করা হয়।

এর পূর্বে ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখে বামুণীগাঁও ও ছয়গাঁও সেকশনের মধ্যে ৮.৭৮২ কিমি, ১৭ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে ধুপধরা ও বামুনীগাঁও সেকশনের মধ্যে ২৫.৪৫৯ কিমি, ৩ মে, ২০২৩ তারিখে মির্জা ও আজারা সেকশনের মধ্যে ১১.৩৫ কিমি ও ২৪ নভেম্বর, ২০২২ তারিখে দুধনৈ ও ধুপধরা সেকশনের মধ্যে ২৯.৭১ কিমি চালু করা হয়েছিল। সমগ্র নিউ বঙাইগাঁও-কামাখ্যা ভায়া গোয়ালপাড়া সেকশনটি সম্পূর্ণ হওয়ার পর দেশের অন্যান্য প্রান্তের সাথে মানুষ এবং উপকরণ পরিবহণের ক্ষেত্রে উত্তর পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। নিউ বঙাইগাঁও ও কামাখ্যা ভায়া গোয়ালপাড়ার মধ্যে এই ডাবল লাইন প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হলে মেঘালয়ের দূরবর্তী অঞ্চলগুলিও বিশেষভাবে উপকৃত হবে।