সুন্দরবনে পালকি বাহন হারিয়ে গেলেও, ঘোড়ার গাড়িতে  রাজকীয় বিয়ে

North 24 Parganas News: সুন্দরবনে পালকি বাহন হারিয়ে গেলেও, ঘোড়ার গাড়িতে রাজকীয় বিয়ে

বসিরহাট: সাবেকি, রাজকীয় রীতি মেনে ঘোড়ার গাড়ি চড়ে ৩০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে বিয়ে করতে গেলেন বর। একসময় সুন্দরবন এলাকায় পালকির বাহনে বিয়ের প্রচলন ছিল। বেহারাদের কাধে চেপে বর-কনে পাড়ি দিত। পিছনে থাকত বর যাত্রীরা। কিন্তু সেসব আজ হারিয়ে গেছে। তবে সুন্দরবন এলাকায় এবার ঘোড়ার গাড়িতে বর-কনে’কে দেখল সুন্দরবনবাসী। ইচ্ছে ছিল ঘোড়ার গাড়িতে করেই বিয়ে করতে যাওয়া। সেই শখ পূরণ করতে শেষ পর্যন্ত ঘোড়ার গাড়িতে করেই বিয়ে করে বউ নিয়ে আসলেন।

ঘড়ির কাটা তখন দুপুর দেড়টা। প্রত্যন্ত এলাকায় ব্যস্ততম যান্ত্রিক গাড়ির মাঝে হঠাৎ দেখা যায় হলুদ সেরওয়ানি সুসজ্জিত ঘোড়ায় চড়ে বর নব বধুকে নিয়ে ফিরছেন। উত্তর ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জের আমবেড়িয়ার বাসিন্দা চন্দন মন্ডল পিতা সুশান্ত মন্ডলের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে সাত পাকে বাঁধা পরল হাসনাবাদের ধরমবেড়িয়া গ্রামের দীপিকা মন্ডল। বর্তমান আধুনিক যানবাহনের যুগে এসেও সাবেকি রীতি রেওয়াজ মেনে রাজকীয় কায়দায় ঠিক যেভাবে আগেরকার দিনের রাজপুত্ররা বিয়ে করতে যেতেন, সেই ঘোড়ার গাড়ি চেপে। ঠিক সেইভাবে সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জের আমবেরিয়ার বাসিন্দা চন্দন মন্ডল ঘোড়ার গাড়ি চেপে ৩০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে হাসনাবাদ থানার অন্তর্গত ধরমবেড়িয়াতে বিয়ে করতে গেলেন।

এইভাবে সাবেকি রীতি রেওয়াজের কথা সুন্দরবনের মানুষ এতদিন শুধুমাত্র কানে শুনে এসেছে চোখে দেখেনি। আজ সেটা চোখে দেখা সম্ভব হল। এ যেন মনে হচ্ছে এক পৌরাণিক সিনেমার কাহিনী। আর এমন দৃশ্য সচরাচর দেখা যায় না। তাই এলাকার মানুষ রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে সুন্দর মুহূর্তের উপভোগ করে।

জুলফিকার মোল্যা