নয়াদিল্লি: উত্তর সেন্ট্রাল রেলওয়ের ঝাঁসি ডিভিশনের মধ্য দিয়ে ট্রেন যাতায়াতের সময় টিকিট পরীক্ষক টিকিট চেক করছিলেন। সেই সময়েই এমন জিনিস ঘটে গেল৷ বাথরুম থেকে একটা দুর্গন্ধ আসছিল। অনেকক্ষণ গেটও খোলা হচ্ছিল না৷ এমন অবস্থায় টিটিই দরজায় ধাক্কা দেয়। কয়েকবার দরজা ধাক্কা দেওয়ার পর দরজা অবশেষে খোলে। ভিতরের দৃশ্য দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয় খোদ TTE-র। সঙ্গে সঙ্গে ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ক্রমবর্ধমান ভিড়ের চাপে ঝাঁসি রেলওয়ে বোর্ড প্রতিদিন টিকিট চেকিং অভিযান চালাচ্ছে। এতে অনিয়মিত যাত্রীর সংখ্যা কমছে এবং রেলের আয়ও বাড়ছে। গত এক মাসে ৫৩ হাজার যাত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই যাত্রীদের কাছ থেকে ৩.৫২ কোটি টাকা জরিমানা দাবি করা হয়েছে৷
চেকিংয়ের সময় যাত্রীদের ধূমপান, অনিয়মিত ভ্রমণ, বুকিংবিহীণ লাগেজ, নোংরা ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং নিয়ম অনুযায়ী জরিমানাও আদায় করা হয়েছে। রেলওয়ের মতে, ট্রেনের যাত্রীরা সিট বা বার্থে ধূমপান করেন না বাথরুমে গিয়ে তাঁরা ধূমপান করেন। চেকিং টিম বাথরুমের আশেপাশে সিগারেট বা বিড়ির ধোঁয়ার গন্ধ পেলে তাঁরা দরজায় টোকা দেয়।
এমন অবস্থায় দরজা খুললে ভেতরে ধোঁয়া দেখা যায়। রেলওয়ে এই ধরণের অপরাধ দেখতে পেলে যাত্রীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়। এ পর্যন্ত এই বিভাগে ৫৩ হাজার যাত্রীর মধ্যে ধূমপান ও গুটখা সেবন করে রেলওয়ের সম্পত্তিতে নোংরা করার অভিযোগে ফাইন করা হয়৷
সাজিদ আনোয়ার এপ্রিল মাসে ১০১১ টি মামলা থেকে ৭.৭৫ লক্ষ টাকা এবং হামিদ ৯৪৯ যাত্রীর কাছ থেকে ৭.০৫ লক্ষ টাকা ফাইন সংগ্রহ করেছেন৷
এপ্রিল মাসে, আগ্রা বিভাগে, যথাযথ কারণ ছাড়াই অ্যালার্ম চেন টানার জন্য ২৩০ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল এবং ১৪,৮২০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছিল। যেটিতে আগ্রা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনে ৮৬ জন, আগ্রা ফোর্ট স্টেশনে ৯ জন, মথুরা জংশনে ১১৮ জন, কোসিকালান স্টেশনে ১২ জন এবং ধোলপুর স্টেশনে ৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল এবং জরিমানা আদায় করা হয়েছিল।