Indian Railways: বদলে যাচ্ছে মালগাড়ির ধারণা! ডিব্রুগড় ওয়ার্কশপে তৈরি নতুন হাই স্পিড ক্যারিয়ার কোচ

নয়াদিল্লি: উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে জোন তার ডিব্রুগড় ওয়ার্কশপে অটোমোবাইল বিশেষত দু চাকার যান বাহনের লোডিং/আনলোডিঙের জন্য পুরোনো জিএসসিএন কোচ থেকে সাইড ডোর সহ কয়েকটি নতুন হাই স্পিড অটোমোবাইল ক্যারিয়ার (এনএমজিএইচএস) কোচ তৈরি করেছে। রেলওয়ে বোর্ডের অনুমোদনের পর খুব কম সময়সীমার মধ্যে তিনটি এনএমজিএইচএস কোচ তৈরি করা হয়েছে। আরও তিনটি কোচ তৈরির কাজ চলছে।

ভারতীয় রেলওয়েতে প্রথমবারের মতো অটোমোবাইল লোডিঙের জন্য এই কোচগুলি তৈরি করা হয়েছে। প্রচলিত ধরনের পণ্যবাহী কোচের তুলনায় এগুলিতে একাধিক উন্নত বৈশিষ্ট্য থাকার পাশাপাশি উন্নত গতি ও আরও বেশি লোডিং ক্ষমতার যোগ্য করে তোলা হয়েছে।  উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের দ্বারা পরিত্যক্ত ও অব্যবহৃত যাত্রীবাহী কোচ থেকে তৈরি করা এনএমজিএইচএস কোচগুলির ডিজাইন অটোমোবাইল উৎপাদনকারীদের সাথে পরামর্শ করে রিসার্চ ডিজাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন (আরডিএসও)করেছে।

আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে খেলা ঘুরিয়ে ‘স্টার’ অখিলেশ, সাপোর্টিং রোলে রাহুল! শুভেচ্ছা পাঠালেন মমতা

ডিব্রুগড় ওয়ার্কশপের দ্বারা পূর্বের ১২ টন বহন ক্ষমতার প্রচলিত পণ্যবাহী কোচগুলির তুলনায় ১৮ টন বহন ক্ষমতার উচ্চ পেলোড ক্যাপাসিটি সহ মোট তিনটি কোচ তৈরি করা হয়েছে। নতুন করে তৈরি করা এনএমজিএইচএস কোচের সম্ভাব্য গতি হলো প্রতি ঘণ্টায় ১১০ কিমি, এছাড়াও ওয়াইডার ওপেনিং, ন্যাচারাল পাইপ লাইট, পেভমেন্ট মার্কারের পাশাপাশি গাইডেন্সের জন্য রেট্রো রিফ্লেকটিভ ট্যাপ, চেকার্ড শিট সহ স্ট্রং ফ্লোর, সুগম প্রবেশের জন্য উন্নত ফল প্লেট ব্যবস্থা সহ সহজ লকিঙের জন্য ব্যারেল লকের সাথে আপগ্রেডেড এন্ড ডোর ডিজাইনের মতো বিভিন্ন উন্নত বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছে।

নতুন কোচগুলি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে বিনা ক্ষতিতে চার চাকার অটোমোবাইল ডোর কোচের ভেতর থেকে সহজে খোলা যায়। এই নতুন মডেলের কোচগুলি প্যাকেটজাত সামগ্রী সহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী বহনের জন্য পার্সেল ভ্যান হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

আরও পড়ুন: বিরোধী আসনেই বসবেন? নাকি নামবেন সরকার গড়ার লড়াইয়ে, সাংবাদিক বৈঠকে উত্তর দিলেন রাহুল গান্ধি

এখানে উল্লেখযোগ্য যে সড়ক পরিবহণের তুলনায় সস্তা, দ্রুত এবং পরিবেশ অনুকূল বিকল্প অটোমোবাইল উৎপাদনকারীদের জন্য পরিবহণের পছন্দের পদ্ধতি হয়ে উঠেছে ভারতীয় রেলওয়ে। উৎপাদন কেন্দ্র থেকে উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে কম খরচে বিভিন্ন ধরনের অটোমোবাইল এখন রেলওয়ের মাধ্যমে প্রত্যক্ষভাবে পরিবহণ করা যাবে, যার ফলে সাধারণ জনগণ উপকৃত হবেন।