উত্তরবঙ্গ: ময়নাগুড়ি থেকে শিলিগুড়ি। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলে একের পর এক দুর্ঘটনা। যদিও চালক, সহকারী চালকদের নিয়োগ নেই। দীর্ঘ ডিউটি বা কাজের চাপ তা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ লোকো পায়লটদের মধ্যে। পরিসংখ্যান বলছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলে চালক, সহকারী চালক ফাঁকা প্রায় ১৯.৬%৷ তাহলে, কবে হবে নিয়োগ? প্রশ্ন তুলছে রেল ইউনিয়নগুলো।
গত সোমবারই রাঙাপানি স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস৷ পিছন থেকে মালগাড়ি সজোরে ধাক্কা মারলে লাইনচ্যুত হয়ে উল্টে যায় এক্সপ্রেস ট্রেনের ২টি বগি৷ ঘটনায় মালগাড়ির চালক, এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ড-সহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ সিগন্যালে গন্ডগোল না মানুষের ত্রুটি, ঘটনার পিছনে কী কারণ, জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত৷
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক পরিসংখ্যান উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের –
কাটিহার ডিভিশন – ১১৬৩ হতে হবে। কিন্তু আছে ৯৯৫ জন। ১৬৮ জন লোকো পাইলট কম। যা ১৪.৪% কম
এনজেপি, মালদা, কাটিহার এখানে আছে তিনটে ক্রু লবি।
আলিপুরদুয়ার – ৬৫১ লোকো পাইলট চাই। আছে ৬১৭ জন। ৩৪ জন কম। ৫.২% কম আছে।
রঙ্গিয়া – ৬১৪ জন হতে হবে। ৫৭৯ আছে। ৩৬ জন কম আছে, যা ৫.৭% কম।
লামডিং – ১১৬৪ জন হতে হবে। ৭৪২ জন আছে। ৪২২ জন কম যা ৩৬.৩% কম।
তিনসুকিয়া – ৩২১ জন হতে হবে। এখন আছে ২১৩ আছে। ১০৮ জন কম যা ৩৩.৬% কম
গোট উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলে দরকার ৩৯১৩ জন। আছে ৩১৪৬ জন। কম আছে ৭৬৭ জন। যা ১৯.৬% কম।