Indian Railways: স্টেশন, ট্রেন পরিষ্কারে আরও গতি আনতে চাইছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল 

আজ থেকে সমগ্র উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে জুড়ে শুরু হলো স্বচ্ছতা সেবা ২০২৪ অভিযান। ‘স্বভাব স্বচ্ছতা-সংস্কার স্বচ্ছতা’ শীর্ষক থিমের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই অভিযানটি ০২ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে স্বচ্ছ ভারত দিবস উদযাপনের মাধ্যমে সমাপ্ত হবে। পাক্ষিক ব্যাপী আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে রেলওয়ে কর্মী ও যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে কর্মস্থল, রেলওয়ে ট্র্যাক ও স্টেশন চত্বরে গণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানের মতো বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হবে।

আরও পড়ুনঃ ফের নিগ্রহের শিকার কলকাতা পুলিশ! নাকা চেকিং-এ দুস্কৃতীদের হাতে আহত ট্রাফিক সার্জেন্ট

এই অভিযানটি সাফাই মিত্র, স্বচ্ছতা কর্মী এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডার যারা এই কর্মসূচির অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাদের স্বীকৃতি দেওয়ার সাক্ষীও হয়ে উঠবে। পাঠ করানো শপথের অঙ্গীকার অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব সম্পর্কে নাগরকিদের মধ্যে একটি সচেতনতা তৈরি করতে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারতীয় রেলওয়ের (আইআর) লক্ষ্যের সঙ্গে সংগতি রেখে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে নিজেদের জোনের মধ্যে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি নিশ্চিত করতে এক ব্যাপক কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছে।

মুখ্য কার্যালয়ে স্বচ্ছতার শপথ বাক্য পাঠের মাধ্যমে শুরু হওয়া কার্যাবলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তার অধিক্ষেত্রের সমস্ত কার্যালয় ও প্রাতিষ্ঠানিক ভবন, রেলওয়ে স্টেশন, ট্রেন, রেলওয়ে কলোনি এবং চারপাশের এলাকায় ব্যাপক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, যেখানে বিশেষভাবে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলির উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি এই অভিযানের মাধ্যমে স্টেশন চত্বরের মধ্যে রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম, ট্র্যাক, শৌচালয়, নালা-নর্দমার ব্যবস্থার পাশাপাশি পে অ্যান্ড ইয়ুজ টয়লেট, ওয়েটিং রুম ও অন্যান্য রেলওয়ে সুবিধাগুলির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যা উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের একটি নিয়মিত ব্যবস্থা।

​এই অভিযানের প্রতি উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অবদানের অন্যতম মূল দৃষ্টি থাকবে “এক পেড় মা কে নাম” উদ্যাগের উপর, যা আসলে এক বৃহৎ বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধি করা। প্রচার অভিযানের সময়  রেলওয়ে চত্বরে আয়োজিত নির্ধারিত অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ক্লিনলিনেস টার্গেট ইউনিট (সিটিইউ) চিহ্নিত করা হয়েছে। গণ সচেতনতা কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে প্রভাত ফেরি, পথনাটিকা এবং স্কুল ও এনজিও-এর দ্বারা বিভিন্ন কর্মশালা। এই সমস্ত প্রচেষ্টার ফলে মানুষের অংশগ্রহণ আরও বেশি হবে বলে আশা করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেন না জুনিয়র চিকিৎসকরা! কয়েক ঘণ্টার জিবি বৈঠক শেষে মাঝরাত পেরিয়ে ঘোষণা

​এছাড়াও উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে বর্জ্য সামগ্রী সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য আরআরআর সেন্টার স্থাপন করে বর্জ্য সামগ্রীর দায়িত্বশীল নিষ্কাশন ও পুনর্ব্যবহার প্রচারের দ্বারা রিডিউস, রিইয়ুজ, রিসাইকেল (আরআরআর) উদ্যোগকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন জানিয়ে আসছে। পুনর্ব্যবহৃত সামগ্রী বিক্রির প্রতি উৎসাহ দেওয়ারও প্রচেষ্টা থাকবে, যা বৃত্তাকার অর্থনীতি ও বর্জ্য হ্রাসের লক্ষ্যে রেলওয়ের প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন। এক ব্যাপক পদ্ধতি নিশ্চিত করতে স্বচ্ছ খাদ্য উদ্যোগের প্রতিও গুরুত্ব আরোপ করা হবে, রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনগুলিতে খাদ্য তৈরি ও বিতরণ করার ক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার উপরেও নজর রাখা হবে।