ছাত্র মৃত্যু

Student Death: ‘উদ্ধারকারীরা আসতেই ১০ ঘণ্টা’, টরেন্টোয় তলিয়ে মৃত্যু ভারতীয় ছাত্রের, পরিবারের বিস্ফোরক দাবি

টরেন্টোঃ জন্মদিনে মর্মান্তিক ঘটনা। কানাডায় স্নাতকোত্তর পড়তে গিয়েছিলেন তেলেঙ্গানার মীরপিটের বাসিন্দা এ প্রণীত। ১৫ সেপ্টেম্বর ছিল তাঁর জন্মদিন। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বন্ধবান্ধবের সঙ্গে টরেন্টো লেকে সাঁতার কাটতে নেমেছিলেন। সেখানেই জলে ডুবে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত ভারতীয় ছাত্রের বাবা এ রবি জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু উদ্ধারকারী দল আসতে ১০ ঘণ্টার বেশি সময় নেয়। কানাডার বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, প্রণীতের দেহ উদ্ধার হয় সন্ধ্যার পর।

সোমবার প্রণীতের এক ভাইয়ের বন্ধুর মাধ্যমে ঘটনার খবর পান তাঁর পরিবার। বর্তমানে ছেলের দেহ দেশে ফেরানোর জন্য কানাডার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন প্রণীতের বাবা। ছেলের বন্ধুবান্ধবের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলেছেন তিনি। প্রণীতের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর দুটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দুটোই মৃত্যুর আগে তোলা। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বন্ধুদের সঙ্গে লেকে ঝাঁপ দিচ্ছেন ২৪ বছর বয়সী প্রণীত। অন্য আরেকটি ভিডিওতে মোটরবোটে বন্ধুদের সঙ্গে সেলফি তুলতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। দুটি ভিডিওতেই খোশমেজাজে রয়েছেন প্রণীত। বন্ধুদের সঙ্গে হাসিঠাট্টা করতেই দেখা গিয়েছে তাঁকে।

আরও পড়ুনঃ বাজারে বাজারে পদ্মার ইলিশের বন্যা, মধ্যবিত্তের মুখেও চওড়া হাসি, শহর-শহরতলির মানুষ কিনতে পারছেন?

কানাডার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মোটরবোটে ঘোরার সময় লেকে পড়ে যান প্রণীত। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ডুবে যান। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। উদ্ধারকারী দল তল্লাশি শুরু করে। তবে মৃতের পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের অভিযোগ, খবর দেওয়ার দশ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উদ্ধারকারী দল। মোটরবোট থেকে হঠাত কীভাবে পড়ে গেলেন প্রণীত, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ নিরিবিলিতে পুজো কাটাতে চান? ঘুরে আসুন ছোট্ট এই পাহাড়ি গ্রামে, নস্ট্যালজিয়া ঘিরে রাখবে

ছেলের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত প্রণীতের পরিবার। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে কানাডা যান প্রণীত। ২০২২ সালে তাঁর ভাইও পড়াশোনার জন্য কানাডা পাড়ি দিয়েছিলেন। ঘটনার সময় তিনিও ছিলেন টরেন্টো লেকেই। ছেলের দেহ যত দ্রুত সম্ভব হায়দরাবাদে ফিরিয়ে আনার জন্য কেন্দ্র সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে প্রণীতের পরিবার।