করোনার নতুন ধারা আসতেই মিমে ছেয়ে গেল সোশ্যাল মিডিয়া, দেখেছেন কি?

#নয়াদিল্লি: পরিস্থিতি যে সঙ্কজনক, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না! আর সেই ব্যাপারটাই বিশেষ ভাবে বিমর্ষ করে তুলেছে ভারতীয়দের!

আসলে ২০২০ সালটা তো আর কারও ভালো কাটেনি! বছর শুরু হল কী না হল, লকডাউনের জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল এত দিনের চেনা স্বাভাবিক জনজীবন। সামাজিকতা শিকেয় তুলে শুরু হল গৃহবন্দী জীবনের অভ্যাস। সঙ্গে শারীরিক দূরত্ববিধি, বাইরে বেরোলে হাতে গ্লাভস থাক আর না-ই থাক মুখে ফেস মাস্ক, ঘন ঘন হাত পরিষ্কার রাখাও!

এই সব কিছু যখন অভ্যেসে এসে ঠেকেছে, তখনই আশার আলো জাগিয়েছিল বিশ্ব জুড়ে নানা কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের ট্রায়াল। কিন্তু তার মাঝেই যখন ব্রিটেন পর্যুদস্ত হয়ে পড়ল করোনার নতুন ধারায় (Covid New Strain), তখন আবার আশার আকাশে মেঘ জমতে শুরু করল। স্পষ্ট বোঝা গেল যে অবস্থা সুবিধার নয়। ব্রিটেন যেমন চতুর্থ দফার লকডাউন ঘোষণা করল, তেমনই আবার সরকারের তরফ থেকে এ দেশে বড়দিন আর নতুন বছরের উদযাপনে বেশ কিছু রাজ্যে জারি হয়ে গেল নিষেধাজ্ঞা।

আর সেটা স্পষ্ট করে দিল যে ২০২১ সালটাও প্রাক-কোভিড পর্বের মতো মসৃণ হবে না। ফলে এ দেশের সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে গেল অজস্র মিমে। সবার মুখেই প্রায় এক কথা- তাঁরা হুল্লোড়ের ঝড় তুলতে চলেছিলেন, কিন্তু অলক্ষ্যে মুচকি হেসে সব পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিল করোনাভাইরাস (Coronavirus)!

অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার আবার এই বলে ব্যঙ্গ করেছেন যে ২০২১ সালটাও ২০২০ সালের মতোই হতে চলেছে! অনেকে আবার বেশ কাঁচা গালাগালির আশ্রয় নিয়েছেন মিমের মাধ্যমে। এই গালাগালির কেন্দ্রে রয়েছেন ইউনাইটেড কিংডমের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)- তিনি লকডাউন ঘোষণা করেছেন এই হল দোষ!

করোনার নতুন ধারা আসার পরে প্রথম ধারায় আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন কতটা কাজে আসবে, সেই নিয়েও এর মধ্যে সন্দেহ উঠতে শুরু করে দিয়েছে। এমতাবস্থায় বিজ্ঞানীরা কতটা অসহায় বোধ করছেন, তা সহজেই অনুমান করে নেওয়া যায়। তাঁদের সেই বিধ্বস্ত মনোভাবও মিমে উঠে আসা থেকে বাদ যায়নি! পাশাপাশি কেমন মিউটেশন বাঞ্ছনীয় আর কোনটা নয়, সে নিয়েও চলেছে রসিকতা!