Tag Archives: coronavirus
করোনাভাইরাসের কালবেলা। এমন এক অসুখ যা বিশ্বজুড়ে থাবা বসিয়েছে এবং গোটা মানবজাতির ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে। করোনাভাইরাস (Coronavirus) বা কোভিড ১৯ (Covid 19)-এর একের পর এক ঢেউ দেখছে পৃথিবী। আমাদের দেশ-আমাদের রাজ্যও সাক্ষী এই ভয়াবহতার। এই রোগের উৎপত্তি, রোগের সংক্রমণ, রোগের বিনাশ, রোগের ভবিষ্যৎ সব কিছু নিয়েই নানা মতামত রয়েছে। তবে এই রোগের শিকার হয়ে বহু মানুষের মৃত্যুও সত্যি। প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে আমরা বহু মানুষকে করোনার কারণে চিরতরে হারিয়েছি। এই অতিমারি আমাদের স্বাভাবিক জীবন-শিক্ষা-সম্পর্ক-কাজের ধরন একেবারে বদলে দিয়েছে। আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছেন গোটা বিশ্বের মানুষ। বার বার অস্তিত্ব-অনস্তিত্বের এই দোলাচল এই অতিমারির প্রাপ্তি, জীবন-মৃত্যু তো বটেই।
প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ পেরিয়ে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ দেখছে পৃথিবী। আরও কত ঢেউ আসা বাকি, কারও জানা নেই। করোনার বিভিন্ন স্ট্রেন একেক সময় একেকটা দাপট দেখাচ্ছে এবং বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই সংক্রমণ থেকে বাঁচার নিশ্চিত কোনও পথ এখনও আবিষ্কার না হলেও, পরীক্ষামূলক ভাবে করোনাবিধি ও করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করে এমন টিকা তৈরি হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সেই টিকাগুলিকে (Coronavirus Vaccine) অনুমোদন দিয়েছে। এবং গোটা বিশ্বেই করোনার টিকা দেওয়ার কাজ চলছে। গবেষক ও চিকিৎসকেরাও মাস্ক-স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, বার বার হাত ধোওয়া এবং দূরত্ববিধি বজায় রাখার উপরই এখনও জোর দিয়ে চলেছেন। নিউ নর্ম্যাল জীবনেই অভ্যস্ত হতে বলছেন তাঁরা। তবে এরই মাঝে করোনা নিয়ে রটছে নানা ভুয়ো খবর। যাতে মানুষ আরও বিভ্রান্ত হচ্ছেন।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের নতুন একটি স্ট্রেন ওমিক্রন নতুন করে সংক্রমণের প্রকোপ বাড়িয়ে তুলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো ভারত এবং পশ্চিমবঙ্গেও এর প্রভাব শুরু হয়েছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ এবং মৃত্যু। কোথায় কী পরিস্থিতি? কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার কী ভাবছে এই অতিমারি নিয়ে? কী ভাবে রক্ষা করব আমরা নিজেদের? কী খাব, করোনা হলে কী করব? কী করব, কোনটা করব না? করোনাভাইরাস নিয়ে এমন নানা প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে মানুষের মাথায়। সেখানেই এই প্রশ্নগুলির জবাব নিয়ে নিউজ ১৮ বাংলার ওয়েবসাইট আপনার পাশে থাকতে বদ্ধ পরিকর। প্রতিদিন চোখ রাখুন নিউজ ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে এবং খবরের সত্যিটা জেনে সতর্ক থাকুন। আতঙ্কিত নয়, সাবধানে থাকুন।
Covishield vaccine: কোভিশিল্ড নেওয়ার পরেই মেয়ের মৃত্যুর অভিযোগ, মামলা করতে পারে নিহতের পরিবার
অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা নিয়ে চিন্তায় বহু গ্রাহক। বিশেষ করে ব্রিটেনের আদালতে কোভিশিল্ডের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করে নেওয়ার পরে টিকা নিয়ে চিন্তায় বহু মানুষ। এর মধ্যেই ভারতে কোভিশিল্ড টিকা নেওয়ার পরেই মেয়ের মৃত্যুর অভিযোগ তুললেন এক অভিভাবক।
কিছু দিন আগেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা নির্মাতা অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করে নিয়েছিল যে কোভিশিল্ড নেওয়ার পরে রক্ত জমাট বাঁধা বা প্লেটলেট কমে যাওয়ার মতো বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তার পরেই ভারতে টিকা নেওয়ার পরে মেয়ের মৃত্যুর অভিযোগ তুলল পরিবার।
আরও পড়ুন: ভোটের মাঝেই বিরাট চমক রাহুল গান্ধির! এমন আসনে লড়তে চললেন, হাওয়া ঘুরে গেল ওই দিকেই
২০২১ সালে টিকা নেওয়ার পরেই মারা যান বেণুগোপাল গোবিন্দনের ২১ বছর বয়সি কন্যা, এমনই অভিযোগ। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি আরও দাবি করেছেন, ইউরোপের ১৫টি দেশ রক্ত জমাট বেঁধে এবং প্লেটলেট কমে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটার পরেই কোভিশিল্ডে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তখনই উচিত ছিল সেরাম ইনস্টিটিউটের এই ভ্যাক্সিন দেওয়া বন্ধ করা। পাশাপাশি আদর পুনাওয়লাকে আক্রমণ করে তিনি বলেছেন, টিকা নিয়ে যাদের প্রাণ গিয়েছে তার জন্য জবাবদিহি করতে হবে আদর পুনাওয়ালা এবং সেরাম ইনস্টিটিউটকে। পাশাপাশি এই মৃত্যুর জন্য তিনি মামলারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কোভিশিল্ডের বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা জানার পরে চিন্তায় পড়েছেন বহু মানুষ, তার মধ্যেই এই ঘটনা টিকা গ্রাহকদের চিন্তা বাড়াবে।
Living Nostradamus: এ যুগের নস্ত্রাদামুস, ব্রাজিলের জ্যোতিষির কথা ফলে অক্ষরে অক্ষরে, ২০২৪ নিয়ে দিলেন চরম বার্তা
Covid 19 Vaccine: ২১৭ বার করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন, কী মিলল বৃদ্ধের শরীরে? অবাক গবেষকরাও
কলকাতা: করোনা থেকে বাঁচতে ভ্যাকসিন নিয়েছেন প্রায় সবাই৷ অনেকে তো আবার ভ্যাকসিন নেওয়া নিয়েই দ্বিধায় ছিলেন৷ সেখানে জার্মানির বাসিন্দা এক ব্যক্তি একাই দুশো বার করোনার টিকা নিয়েছেন৷ ওই ব্যক্তির দাবি অনুযায়ী, সবমিলিয়ে ২১৭ বার করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন তিনি৷
ওই ব্যক্তির দাবি খতিয়ে দেখতে তাঁকে পরীক্ষা করেও দেখেছেন গবেষকরা৷ তাঁদের দাবি, দুশো বার টিকা নিলেও ওই ব্যক্তির শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা যথেষ্ট ভাল৷ এমন কি, করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে শরীরে যে ধরনের কোষ এবং অ্যান্টিজেনের প্রয়োজন, সেগুলিও ওই ব্যক্তির শরীরে আর পাঁচজনের থেকে বেশিই মাত্রাতেই রয়েছে৷
আরও পড়ুন: কটায় ব্রেকফাস্ট, কখন লাঞ্চ? জানুন খাওয়া দাওয়ার সঠিক নিয়ম, ঝুঁকি কমবে সুগার-স্ট্রোকের
জানা গিয়েছে, ২৯ মাসের মধ্যে এই ২১৭টি করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন ওই ব্যক্তি৷ ওই ব্যক্তি যে অন্তত ১৩৪ বার টিকা নিয়েছেন, দ্য ল্যানসেট ইনফেকশাস ডিজিজ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি টেস্ট রিপোর্টে তা নিশ্চিতও করেছেন গবেষকরা৷
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট দেখেই ওই ৬২ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির কথা জানতে পারেন গবেষকরা৷ পরের পর এই ভাবে ভ্যাকসিন নেওয়া বা হাইপার ভ্যাক্সিনেশনের কী প্রভাব ওই ব্যক্তির শরীরে পড়েছে, তা খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন ধরনের টেস্ট করেছেন গবেষকরা৷ ওই ব্যক্তির শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতার উপরে কী প্রভাব পড়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হয়৷
ওই ব্যক্তির শরীরে বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ওই ব্যক্তির শরীরে কোনও অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি৷ এমন কি, অতীতে তিনি কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন, এমন কোনও প্রমাণও পাননি গবেষকরা৷
প্রায় দুশো বার করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে তাঁর শরীরে কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি বলেও দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি৷ বরং গবেষকরা তাঁর শরীরে প্রচুর পরিমাণে টি ফ্যাক্টর সেল পেয়েছেন, যা করোনা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে৷ তিন বার যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁদের তুলনায় ওই ব্যক্তির শরীরে এই টি ফ্যাক্টর সেল অনেক বেশি সংখ্যায় সক্রিয় রয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা৷ তবে এর পরেও নির্দিষ্ট ডোজের অতিরিক্ত করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন না গবেষকরা৷
Coronavirus Death: ফের মারণ ‘করোনার’ থাবা রাজ্যে! কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু যুবকের, দেহ নিয়ে টানাপড়েন
রাজ্যে ফের করোনা আক্রান্তের মৃত্যু৷ মৃতের নাম আশিষ হালদার৷ রবিবার বেলেঘাটা আই ডি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তার৷ মৃতের বয়স ২৪ বছর৷
নেহেরু কলোনী, রিজেন্ট পার্ক এর বাসিন্দা আশিষ হালদার৷ জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে গত মঙ্গলবার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়৷ কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরে বেলেঘাটা আই ডি হাসপাতালের স্থানান্তরিত করা হয়৷
গতকাল রাত ১০ টা ২০ মিনিটে মৃত্যু হয় বছর ২৪-এর যুবক আশিষ হালদারের৷ মৃত্যুর পর দেহ নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়৷ পরিবার দেহ চাইলে হাসপাতাল বলে দেয় দেহ দেওয়া যাবে না৷
আজ দুপুর পর্যন্ত চলে টানাপোড়েন৷ শেষমেশ ১৬ ঘণ্টা পর সোমবার দুপুরে কলকাতা পুরসভার গাড়িতে দেহ পাঠানো হয় ধাপায়৷ পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷
Norovirus Spreading: অবিরাম বমি-পেট খারাপ-জ্বর! ফের হানা নরোভাইরাসের, ভারতেও ছড়াচ্ছে আতঙ্ক
New COVID19 Test: এখন বুকের X-ray দিয়ে কোভিড পরীক্ষা! নতুন ব্যবস্থায় ৯০ শতাংশ কার্যকরীতা
কলকাতা: কোভিড অতিমারী পেরিয়ে এসেছে বিশ্ব। তবু এখনও ছাড়েনি আতঙ্ক। প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন সংক্রমণের খবর মিলছে। কোনও না কোনও দেশে মিলছে নতুন উপ-প্রজাতির ভাইরাসের সন্ধান।
এই পরিস্থিতিতে কোভিড নির্ণয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, চিকিৎসা এবং সংক্রমণ রোধের ক্ষেত্রে। অস্ট্রেলিয়ান গবেষকরা সম্প্রতি দাবি করেছেন, একটি AI সিস্টেম তাঁরা তৈরি করেছেন যা, ৯৮ শতাংশের বেশি সঠিক ভাবে বুকের এক্স-রে থেকে কোভিড-১৯ সনাক্ত করতে পারে। এই পরীক্ষাই সর্বাধিক দ্রুত বলে দাবি।
আরও পড়ুন Warmth in Winter: উষ্ণতায় ভরিয়ে তুলুন জীবন, উপভোগ করুন কড়া শীত! সঙ্গী হোক এই কটা জিনিস
এখন যে পদ্ধতিতে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়, সেটি হল RT-PCR পরীক্ষা। তার চেয়ে এই এক্স-রে পরীক্ষা বেশি কার্যকরী হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি সিডনি (UTS), ডেটা সায়েন্স ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক আমির এইচ গ্যান্ডোমির মতে, ‘বহুল ব্যবহৃত কোভিড-১৯ পরীক্ষা, রিয়েল-টাইম পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর), ধীর এবং ব্যয়বহুল হতে পারে। অনেক সময় সঠিক ফলও পাওয়া যায় না। সেজন্যই রেডিওলজিস্টদের ম্যানুয়ালি সিটি স্ক্যান বা এক্স-রে পরীক্ষা করতে হবে, যা সময়সাপেক্ষ এবং ত্রুটির প্রবণ হতে পারে। কিন্তু নতুন AI সিস্টেমটি খুবই কার্যকরী। বিশেষত সেই সব দেশে যেখানে কোভিড-১৯-সংক্রমণ বেশি এবং রেডিওলজিস্টের অভাব রয়েছে।’
বুকের এক্স-রে বহনযোগ্য, সর্বত্রই পাওয়া যায় এবং সিটি স্ক্যানের তুলনায় আয়নাইজিং বিকিরণের এক্সপোজারও কম। ফলে এটা খুবই উপকারী হতে চলেছে বলে দাবি গ্যান্ডোমির।
কোভিড-১৯-এ সাধারণত জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথার মতো উপসর্গ থাকে। তাই সাধারণ ফ্লু বা অন্য ধরনের নিউমোনিয়া থেকে একে পৃথক করা কঠিন।
সায়েন্টিফিক রিপোর্ট জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে জানান হয়েছে, কাস্টম কনভোল্যুশনাল নিউরাল নেটওয়ার্ক (Custom-CNN) নামক একটি ডিপ লার্নিং অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হয়েছে এই সিস্টেমের জন্য।
অধ্যাপক গ্যান্ডোমি বলেন, ‘ডিপ লার্নিং একটি এন্ড-টু-এন্ড সমাধান দিতে পারে। যদি একটি PCR পরীক্ষা বা রাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় নেতিবাচক বা অনিশ্চিত ফলাফল দেখায়, তাহলে রোগীদের ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে রেডিওলজিক্যাল ইমেজিংয়ের প্রয়োজন হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে নতুন AI সিস্টেম উপকারী হতে পারে।’
তুলনামূলক বিশ্লেষণের মাধ্যমে Custom-CNN মডেলটির কার্যক্ষমতা মূল্যায়ন করা হয়েছিল। দেখা গেছে, নতুন মডেলটি অন্য AI ডায়াগনস্টিক মডেলের থেকে অনেক ভাল কাজ করেছে।
Coronavirus: ১০০ আক্রান্তের ১০০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত! করোনার এই স্ট্রেন অতি ভয়ঙ্কর, কী ঘটতে চলেছে…
করোনার পর এই ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা! কোভিডের থেকে ২০ গুণ ভয়ঙ্কর!
Coronavirus News: ফের করোনার চোখ রাঙানি! আগে থেকেই জেনে নিন কী খাবার খেলে বাঁচা যাবে এই রোগ থেকে
জলপাইগুড়ি: সালটা ২০২০। দুঃস্বপ্নের একটি বছর। করোনা মহামারীর কবলে পড়েছিল গোটা দুনিয়া। প্রায় ৪ বছর পর ওলট পালট হয়ে যাওয়া জীবনযাপন যেই খানিক স্থিতিশীল হয়েছে। তবে ফের মাথা চারা দিয়ে পুনরায় ফিরে আসছে সেই করোনা। সম্প্রতি কোভিড জেএন.১ কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার ধরন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তাদের মতে, এটি ইমিউন সিস্টেম ফাঁকি দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও সংক্রামক হতে পারে। তাই এবার আগেভাগেই করোনা থেকে বাঁচতে প্রস্তুতি নিতে হবে। কিন্তু কিভাবে? পরামর্শ দিলেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞ উত্তরা সাহা।
বিশেষজ্ঞের কথায়, কোভিডের হাত থেকে রক্ষা পেতে আমাদের ভেতর থেকে স্ট্রং হতে হবে। অর্থাৎ বাড়াতে হবে শারীরিক ইমিউনিটি পাওয়ার। তাই প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার এবং যথেচ্ছ পরিমাণের ফ্লুইড সমৃদ্ধ ব্যালেন্স ডায়েট মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। করোনায় আক্রান্ত হলে শরীরে ডিহাইড্রেশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সঙ্গে স্বাদও চলে যায়। সহজেই যাতে করোনা থাবা বসাতে না পারে তাই ফ্রিজার ফুড অর্থাৎ প্রসেসড খাবার ব্যতিরেকে বাড়ির বানানো হালকা টাটকা খাবার ও সব ধরনের ফল এবং সবজি প্রতিদিনের ডায়েট এর তালিকায় রেখে শরীরের ইমিউনিটি বাড়ানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞ।
রোজ ৫টি ফল, পরিমিত সবজি খাওয়ায়ার পাশাপাশি যতটা সম্ভব ফ্রিজে রাখা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শই দেন তিনি। শীত কালে বাজারে নানা সবজি মেলে। এর মধ্যে সবুজ সবজি যেমন ব্রোকলি, বাঁধাকপি, মটরশুঁটি ইত্যাদি, এছাড়াও মরশুমি রঙিন সবজি যেমন গাজর, বিট ইত্যাদি সহ সমস্ত সবজি ও সবধরনের ফল খাওয়া জরুরি।
তবে অবশ্যই আপনি যদি কোনও রোগে আক্রান্ত থাকেন তা হলে সেসব মেনেই সবজি খেতে হবে। তা হলেই আপনি হবেন ভেতর থেকে মজবুত। এর পাশাপাশি বাহ্যিক ভাবেও নিজেকে রক্ষা করতে ভীড় সামলে যাতায়াত করা, দূরত্ব বজায় রেখে চলা, মাস্ক-স্যানিটাইজার ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী।
সুরজিৎ দে