সরকার-সমর্থিত সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম, সংক্ষেপে SCSS ভারতের সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য একটি দারুন স্কিম। ৬০ বা ৫৫ বছরের বেশি বয়সের কেউ যদি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন বা স্বেচ্ছায় ও বিশেষ স্বেচ্ছাসেবী পরিকল্পনার অধীনে অবসর নেন, অথবা ৫০ বছর বয়সী যদি কেউ প্রাক্তন সামরিক কর্মী হন (বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মী ব্যতীত) তাঁরা এই সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের সুবিধা গ্রহণ করতে পারে।সরকার-সমর্থিত সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে সিনিয়র সিটিজেনদের বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের সুদ বাড়ানো হয়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সরকার সমর্থিত এই সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের সমস্ত খুঁটিনাটি।জানুয়ারি-মার্চ ২০২৪ ত্রৈমাসিকের জন্য বাড়ানো হয় সুদের হার – প্রতি ত্রৈমাসিকে, সরকার SCSS-এ সুদের হার নির্ধারণ করে। সরকার চলতি ত্রৈমাসিকের জন্য SCSS সুদের হার বাড়ায়নি। অ্যাকাউন্টধারীরা তাদের আমানতের উপর ৮.২% সুদের রিটার্ন পেতে পারেন। এর সুদ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রদান করা হয় এবং সম্পূর্ণ করযোগ্য।কত টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করা যায় – এই স্কিমে অ্যাকাউন্টটি খুব সামান্য পরিমাণ টাকা জমা দিয়েও খোলা যাবে। এই স্কিমে অ্যাকাউন্টটিতে ন্যূনতম ১০০০ টাকা জমা দিতে হবে এবং সর্বাধিক ৩০,০০,০০০ টাকা। এই স্কিমে টাকা জমার মেয়াদ ৫ বছর এবং আরও ৩ বছর বাড়ানো যেতে পারে।তবে, এটাও মাথায় রাখা দরকার, সুদের হার যত বেশিই হোক না কেন, প্রতি মাসে ১০০০ টাকা বিনিয়োগে তহবিল খুব একটা বাড়বে না। নিদেনপক্ষে যদি ২১ লক্ষ টাকার একটা তহবিল গড়ে তুলতে হয়, তাহলে যা করতে হবে, এবার সেই হিসেব দেখে নেওয়া যাক।এক্ষেত্রে, বিনিয়োগ করতে হবে ১৫ লক্ষ টাকা। ৫ বছরের মেয়াদ, সুদের হার ৮.২%। এই হিসেবে সুদের উপরে রিটার্ন আসবে প্রতি মাসে ১০২৫০ টাকা, ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ৩০৭৫০ টাকা এবং বার্ষিক ভিত্তিতে ১২৩০০০ টাকা। এভাবে ৫ বছরে সুদের থেকে মোট হাতে আসবে ৬১৫০০০ টাকা। মোট রিটার্নের পরিমাণ অতএব দাঁড়াবে ২১১৫০০০ টাকা।