ব্যবসা-বাণিজ্য Interest Rate: নির্বাচনের পর কমতে পারে সুদের হার, কমবে EMI-এর বোঝা ? প্রকাশ রিপোর্টে Gallery April 26, 2024 Bangla Digital Desk ২০২৪ সালের মাঝামাঝি অর্থাৎ জুলাইয়ের পর থেকে সুদের হার কমতে পারে। রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে রেটিং এজেন্সি CRISIL। বর্তমানে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক টানা সপ্তম বার সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে। এমনটা হলে জুনে কেন্দ্রে সরকার গঠনের পর জুলাইয়ের নীতিমালায় সুদের হার কমানোর ঘোষণা আসতে পারে। রেপো রেট বর্তমানে ৬.৫ শতাংশে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে দুটি লক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে: ক্রিসিল তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, “আমরা আশা করি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০২৪ সালের মাঝামাঝি থেকে হার কমাতে শুরু করবে”। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবহাওয়া ও অপরিশোধিত তেলের দামের উপর নজর রেখেই সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রাথমিক আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখায় যে গত বছর খাদ্য মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এ বছর বর্ষা স্বাভাবিক হলে, দেশবাসী স্বস্তি পেতে পারেন। মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা মাথায় রেখে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি কমিটি মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৪ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। সেই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। শক্তিশালী দেশীয় প্রবৃদ্ধি মূল্যস্ফীতিকে বেঁধে রাখতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি ২ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে অর্থাৎ আরামদায়ক স্তরে রয়েছে। কিন্তু আদর্শ পরিস্থিতি ৪ শতাংশের উপরে। মার্চে তা ছিল ৪.৮৫ শতাংশ। মুদ্রাস্ফীতি উন্নত অর্থনীতি-সহ অনেক দেশের কাছেই উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির নিয়ন্ত্রণে রাখতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০২২ সালের মে মাসে রেপো রেট ২.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬.৫ শতাংশ করেছে। মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসের প্রত্যাশা: ক্রিসিল রিপোর্টে বলা হয়েছে যে চলতি আর্থিক বছর অর্থাৎ ২০২৪-২৫-এ CPI অর্থাৎ ভোক্তা মূল্য সূচক গত বছরের আনুমানিক ৫.৫ শতাংশ থেকে ৪.৫ শতাংশে নেমে আসতে পারে। স্বাভাবিক বর্ষা এবং কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কমাতে সাহায্য করবে। ইতিমধ্যে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০২৪-২৫-এর জন্য মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস ৪.৫ শতাংশে ধরে রেখেছে, যা প্রথম ত্রৈমাসিকে ৪.৯ শতাংশ, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৩.৮ শতাংশ, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ৪.৬ শতাংশ এবং চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ৪.৫ শতাংশে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
ব্যবসা-বাণিজ্য গ্রাহকদের জন্য বড় সুখবর! FD-তে মিলবে ৯.২৫% সুদ, কোন ব্যাঙ্ক দিচ্ছে ? Gallery March 11, 2024 Bangla Digital Desk ব্যাঙ্কের এফডি থেকে বেশ ভাল ইন্টারেস্ট পাওয়া যায় ৷ অবসরের পর ব্যাঙ্কে জমানো টাকার সুদের উপরেই ভরসা করে চলে থাকেন প্রবীণ নাগরিকরা ৷ ফলে সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করা খুব দরকারি ৷ স্বাভাবিক ভাবেই অবসরের পর টাকা-পয়সা নিয়ে কেউ বেশি রিস্ক নিতে ইচ্ছুক হয় না ৷ সকলের লক্ষ্য হচ্ছে টাকা সুরক্ষিত থাকার পাশাপাশি গ্যারেন্টিড রিটার্ন ৷ সে ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগ করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য ৷ সাধারণত বড় সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের তুলনায় স্মল ফাইন্যান্স ব্যাঙ্ক বেশি সুদ দিয়ে থাকে ৷ সম্প্রতি সূর্যোদয় স্মল ফিন্যান্স ব্যাঙ্ক (Suryoday Small Finance Bank) ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের হার বৃদ্ধি করেছে ৷ সূর্যোদয় স্মল ফিন্যান্স ব্যাঙ্ক (SSFB) ২ কোটির কম টাকার এফডি-র সুদের হার বৃদ্ধি করেছে ৷ ব্যাঙ্ক ২৫ মাসের এফডি-তে সুদের হার ০.৪১ শতাংশ বাড়িয়েছে ৷ সূর্যোদয় স্মল ফিন্যান্স ব্যাঙ্ক নতুন সুদের হার ১ মার্চ ২০২৪ থেকে লাগু করেছে ৷ ব্যাঙ্ক সেভিংস অ্যাকাউন্টে ৫ থেকে ২৫ কোটি টাকার স্ল্যাবে ৭.৭৫ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে ৷ সূর্যোদয় স্মল ফিন্যান্স ব্যাঙ্কে FD-র সুদের হার- ৭-১৪ দিন- সাধারণের জন্য ৪ শতাংশ সুদ, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ৪.৫০ শতাংশ১৫- ৪৫ দিন- সাধারণের জন্য ৪.২৫ শতাংশ সুদ, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ৪.৭৫ শতাংশ৪৬- ৯০ দিন- সাধারণের জন্য ৪.৫০ শতাংশ সুদ, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ৫.০০ শতাংশ ৯১দিন- ৬ মাস- সাধারণের জন্য ৫ শতাংশ সুদ, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ৫.৫০ শতাংশ৬ মাস-৯ মাস- সাধারণের জন্য ৫.৫০ শতাংশ সুদ, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ৬ শতাংশ৯ মাস-১ বছরের কম সময়- সাধারণের জন্য ৬ শতাংশ সুদ, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ৬.৫০ শতাংশ ১ বছরের জন্য- সাধারণের জন্য ৬.৮৫ শতাংশ সুদ, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ৭.৩৫ শতাংশ১ বছরের বেশি সময় থেকে ১৫ মাসের- সাধারণের জন্য ৮.২৫ শতাংশ সুদ, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ৮.৭৫ শতাংশ১৮ মাসের বেশি সময় থেকে ২ বছর- সাধারণের জন্য ৮.৫০ শতাংশ সুদ, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ৯ শতাংশ ২ বছর ১ দিনের জন্য- সাধারণের জন্য ৮.৬০ শতাংশ সুদ, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ৯.১০ শতাংশ২ বছর ২ দিনের জন্য- সাধারণের জন্য ৮.৬৫ শতাংশ সুদ, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ৯.১০ শতাংশ২ বছর ৩ দিন থেকে ২৫ মাসের কম- সাধারণের জন্য ৮.৬০ শতাংশ সুদ, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ৯.১০ শতাংশ২ বছর ১ মাসের জন্য- সাধারণের জন্য ৯.১০ শতাংশ সুদ, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ৯.২৫ শতাংশ
ব্যবসা-বাণিজ্য Punjab and Sind ব্যাঙ্কে ৪৪৪ দিন মেয়াদে ৪ লাখ টাকার FD করেছেন? কত রিটার্ন পাবেন দেখুন Gallery March 5, 2024 Bangla Digital Desk ৪৪৪ দিনের ফিক্সড ডিপোজিটের মেয়াদ বাড়াল পঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাঙ্ক। ২০২৪-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই স্কিমে বিনিযোগ করা যাবে। বর্তমানে ৪৪৪ দিন মেয়াদের ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমে ৭.৪ শতাংশ হারে সুদ দিচ্ছে পঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাঙ্ক। ভারতীয় নাগরিক তো বটেই, এনআরআই এবং এনআরও-রাও এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে সাধারণ নাগরিকরা ৭.৪ শতাংশ হারে সুদ পেলেও সিনিয়র সিটিজেনদের ৭.৯ শতাংশ এবং সুপার সিনিয়র সিটিজেনদের ৮.০৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে। ৪৪৪ দিনের ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমে যদি কেউ ৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে মেয়াদ শেষে তিনি কত রিটার্ন পাবেন? ৭.৪ শতাংশ সুদের হারে মোট আয় হবে ৩৭,৩১৭.০৬ টাকা। অর্থাৎ ম্যাচিউরিটিতে হাতে মিলবে ৪,৩৭,৩১৭.০৬ টাকা। ২ কোটি টাকার কম আমানতে সুদের হারও সংশোধন করেছে পঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাঙ্ক। ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ২০২৩-এর ১ ডিসেমম্বর থেকে স্থায়ী আমানতে ২.৮ শতাংশ থেকে ৭.১০ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের। ৭ দিন থেকে ৩০ দিন মেয়াদে ২ কোটি টাকার কম ফিক্সড ডিপোজিটে ২.৮ শতাংশ হারে সুদ পাবেন গ্রাহকরা। ৩১ দিন থেকে ৪৫ দিন মেয়াদে সুদের হার ৩ শতাংশ। ৪৬ দিন থেকে ৯০ দিনের ফিক্সড ডিপোজিটে ৪.২৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হবে। ৯১ দিন থেকে ১৭৯ দিন মেয়াদে ৪.২৫ শতাংশ এবং ১৮০ থেকে ২৬৯ দিন মেয়াদে ৫.২৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের। এক বছর মেয়াদি ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার ৬.২০ শতাংশ। ২ বছর মেয়াদে ৬ শতাংশ এবং ২ বছর থেকে ৩ বছর মেয়াদে ৬.৩০ শতাংশ হারে সুদ পাচ্ছেন গ্রাহকরা। তিন বছর থেকে ৫ বছর মেয়াদে বিনিয়োগের উপর ৬ শতাংশ হারে এবং ৫ বছর থেকে ১০ বছর মেয়াদি ফিক্সড ডিপোজিটে ৬.২৫ শতাংশ হারে সুদ পান গ্রাহকরা। পঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাঙ্কে প্রবীণ নাগরিকরা ০.৫০ শতাংশ অতিরিক্ত সুদ পান। সুপার সিনিয়র সিটিজেনদের ০.৫০ শতাংশের পাশাপাশি ০.১৫ শতাংশ অতিরিক্ত সুদ দেওয়া হয়।
ব্যবসা-বাণিজ্য মোটা টাকা রিটার্ন সঙ্গে ট্যাক্স ছাড়! দেরি না করে এখুনি টাকা রাখুন এই ফিক্সড ডিপোজিটে Gallery January 30, 2024 Bangla Digital Desk ফিক্সড ডিপোজিটে টাকা রাখার আগে কয়েকটি বিষয়ে জেনে নিন ৷ আপনার দরকার অনুযায়ী ফিক্সড ডিপোজিটের মেয়াদ বেছে নিতে হবে ৷ সঙ্গে দেখতে হবে কোন ব্যাঙ্কে কত রিটার্ন দিচ্ছে ৷ রিটার্নের পাশাপাশি ট্যাক্স ছাড় পাওয়া গেলে তো আর চিন্তায় নেই ৷ মোটা টাকা রিটার্ন ও ট্যাক্স ছাড় চাইলে আপনার জন্য রয়েছে দুর্দান্ত একটি অপশন ৷ ট্যাক্স সেভিং ফিক্সড ডিপোজিটে টাকা রাখলে আয়কর নিয়ম অনুযায়ী পেয়ে যাবেন ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ট্যাক্স বেনিফিট ৷ ট্যাক্স সেভিং এফডি-তে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ও পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ৬.৫০ শতাংশ সুদ দিচ্ছে ৷ HDFC, ICICI, Axis Bank বার্ষিক ৭ শতাংশ সুদ দিচ্ছে ৷ তবে ট্যাক্স সেভিংসের ছাড় কেবল তাঁরাই পাবেন যারা পুরনো কর ব্যবস্থার অপশন রেখেছেন ৷ নতুন কর ব্যবস্থা সিলেক্ট করলে ট্যাক্স সেভিংস এফডি-তে বিনিয়োগ করলেও কর ছাড় পাবেন না ৷ এখানে আপনার টাকা পুরোপুরি সুরক্ষিত থাকবে এবং পেয়ে যাবেন গ্যারেন্টিড রিটার্ন ৷ ৫ বছরের লক-ইন পিরিয়ড- ট্যাক্স সেভিংস এফডি-তে ৫ বছরের লক-ইন পিরিয়ড থাকে ৷ অর্থাৎ আপনি ৫ বছরের আগে টাকা তুলতে পারবেন না ৷ ৫ বছরের আগে এফডি-ভেঙে ফেললে ব্যাঙ্ক আপনার থেকে পেনাল্টি চার্জ করবে ৷ পাশাপাশি আপনি ট্যাক্স ছাড়ও পাবেন না ৷ শুধু তাইন নয় আপনি যে বছর এফডি ভাঙবেন পুরো টাকা আপনার আয়ের সঙ্গে যোগ করে দেওয়া হবে ৷ এখানে ওভারড্রাফ্টের সুবিধা পাওয়া যাবে না ৷ এফডি হোল্ডারের মৃত্যু হলে নমিনি ম্যাচিউরিটির আগে টাকা তুলে নিতে পারবেন ৷ ট্যাক্স সেভিং এফডি-তে কোনও কর নেওয়া হয়নি ৷ কিন্তু আপনি যদি বছরে এই এফডি থেকে ৪০ হাজার টাকার বেশি সুদ পেয়ে থাকেন তাহলে ট্যাক্স দিতে হবে ৷ সিনিয়র সিটিজেনদের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকার বেশি সুদে দিতে হবে কর ৷ ম্যাচিউরিটির সময় ব্যাঙ্ক TDS কেটেই আপনাকে টাকা দেবে ৷ আপনি ট্যাক্সের আওতায় না পড়লে জমা দিতে হবে 15H ফর্ম ৷
ব্যবসা-বাণিজ্য ৫ লক্ষ টাকা SBI-এর ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগ করলে কত রিটার্ন আসবে? রইল নতুন বছরের সুদের হার Gallery January 21, 2024 Bangla Digital Desk দীর্ঘ সময় ধরে বিনিয়োগকারীদের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করে আসছে এসবিআই এফডি স্কিম। কারণ এই স্কিমে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা পেয়ে যেতে পারেন স্থায়ী উপার্জন এবং নিশ্চিত রিটার্ন। আসলে এসবিআই এফডি থেকে প্রাপ্ত আয় মার্কেট-লিঙ্কড নয়। ফলে সবথেকে বড় কথা হল, এতে ঝুঁকি একেবারেই থাকে না। ঝুঁকিহীন এফডি-তে বিনিয়োগ করার সময়ে বিনিয়োগকারীরা সুদের হার জেনে নেন। যাতে রিটার্নের পরিমাণটা আগে থেকেই হিসাব করে রাখা সম্ভব হয়। আর এই রিটার্নটা তাঁরা পান একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরেই। যদিও এসবিআই-এর সমস্ত এফডি-র ক্ষেত্রে সুদের হার সমান হয় না। বিনিয়োগের মেয়াদের উপরে আসলে ফিক্সড ডিপোজিটের এই সুদের হার নির্ভর করে। অন্যান্য ব্যাঙ্কের মতো স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা এসবিআই-ও সময়ে সময়ে ভিন্ন ভিন্ন এফডি-র ক্ষেত্রে সুদের হার পর্যালোচনা করে থাকে। অর্থাৎ সেটা কমায় কিংবা বাড়ায়। সম্প্রতি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) নির্দিষ্ট কিছু মেয়াদের এফডি-র হার বৃদ্ধি করেছে প্রায় ০.৫০ শতাংশ। গত ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখ থেকে ২ কোটি টাকার কম ডিপোজিটের উপরে এই হার লাগু করেছে। দেখে নেওয়া যাক, এসবিআই এফডি-তে ১, ২, ৩ এবং ৫ বছরের জন্য ৫ লক্ষ টাকা রাখা হলে কী কী সুবিধা পাওয়া যায়। এসবিআই: ১ বছরের জন্য ৫ লক্ষ টাকার উপর সুদ১. ১ বছরের ম্যাচিউরিটির ডিপোজিটের ক্ষেত্রে এসবিআই-এর সুদের হার ৬.৮০ শতাংশ।২. যদিও ২১১ দিন থেকে ১ বছরের কম মেয়াদের ডিপোজিটের উপর সুদের হার ৫.৭৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬ শতাংশ।৩. ১ বছরের জন্য ৫ লক্ষ টাকা জমা করলে মেয়াদপূর্তিতে মিলবে ৫৩৪৮৭৬ টাকা। অর্থাৎ সুদ থেকে আয় হবে ৩৪৮৭৬ টাকা। এসবিআই: ২ বছরের জন্য ৫ লক্ষ টাকার উপর সুদ১. ২ বছরের মেয়াদের ডিপোজিটের জন্য সুদের হার ৭ শতাংশ বাড়িয়েছে এসবিআই।২. যদি কেউ ২ বছরের জন্য ৫ লক্ষ রাখেন, তাহলে তিনি পেয়ে যাবে ৫,৭৪,৪৪০ টাকা।৩. অর্থাৎ এইভাবে বিনিয়োগকারী সুদ হিসেবে আয় করতে পারবেন ৭৪৪৪০ টাকা। এসবিআই: ২ বছরের জন্য ৫ লক্ষ টাকার উপর সুদ১. ৩ বছরের মেয়াদের ডিপোজিটের জন্য সুদের হার ৬.৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬.৫০ শতাংশ করেছে এসবিআই। অর্থাৎ ডিপোজিটের হার বৃদ্ধি পেয়েছে ০.২৫ শতাংশ।২. ফলে ৩ বছরের জন্য কেউ ৫ লক্ষ টাকা ডিপোজিট করলে মেয়াদপূর্তিতে পাওয়া যাবে ৬,১১,১৯৬ টাকা। তবে আগের সুদের হার থাকলে মিলত ৬,০৬,৭০৩ টাকা।৩. তাহলে নতুন হারে ৪৪৯৩ টাকা বেশি সুদ মিলছে। এসবিআই: ৫ বছরের জন্য ৫ লক্ষ টাকার উপর সুদ১. এসবিআই-এ ৫ বছরের মেয়াদের ডিপোজিটের উপর সুদের হার ৬.৫০ শতাংশ।২. কেউ যদি ৫ লক্ষ টাকা ৫ বছরের জন্য জমা করেন, তাহলে মেয়াদপূর্তিতে তিনি পেয়ে যাবেন ৬,৯০,২০৯ টাকা। অর্থাৎ বিনিয়োগকারী সুদ হিসেবে পেয়ে যাবেন ১,৯০,২০৯ টাকা। এসবিআই: সিনিয়র সিটিজেন এফডি সুদের হার ২০২৪১. এমনিতে এসবিআই সিনিয়র সিটিজেন বা প্রবীণ নাগরিকদের বিভিন্ন মেয়াদপূর্তির ডিপোজিটের উপর অন্যান্য গ্রাহকদের তুলনায় ০.৫০ শতাংশ বেশি সুদের হার প্রদান করে থাকে।২. আবার উইকেয়ার ডিপোজিট স্কিমের আওতায় প্রবীণ নাগরিকেরা ০.৫ শতাংশ হারে বেশি সুদ পান ৫ বছর কিংবা তার বেশি মেয়াদের ডিপোজিটের উপরে। অর্থাৎ মোট লাভ হচ্ছে ১ শতাংশ।৩. একজন প্রবীণ বিনিয়োগকারী এই স্কিমে ৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলে মেয়াদপূর্তিতে তিনি পেয়ে যাবেন ৭,২৪,৯৭৪ টাকা।৪. এইভাবে নতুন হারের ক্ষেত্রে প্রবীণ নাগরিকরা ৩৪৭৬৫ টাকা পেয়ে যাবে। আগামী ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত এসবিআই উইকেয়ার সুবিধা লাভ করা যাবে। এসবিআই: এসবিআই এফডি-র উপর আয়কর৫ বছরের এফডি-র উপর আয়কর আইনের ৮০সি ধারার অধীনে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ট্যাক্স ডিডাকশন দাবি করা যেতে পারে। সমস্ত গ্রাহক ৫ বছরের ট্যাক্স সেভার এফডি-র সুবিধা পেতে পারেন। এছাড়াও জেনে রাখা ভাল যে, এফডি-তে প্রাপ্ত সুদ কিন্তু ট্যাক্সেবল।
ব্যবসা-বাণিজ্য লিপ ইয়ারে Fixed Deposit করালে কি বেশি সুদ পাবেন ? জেনে নিন Gallery January 17, 2024 Bangla Digital Desk কীভাবে লিপ ইয়ারে ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের হার গণনা করা হয়? অনেকের মনেই এই প্রশ্নটা জাগে। লিপ ইয়ারে কি সুদের হার বেশি হয়? প্রতি চার বছর অন্তর লিপ ইয়ার আসে। অর্থাৎ ৩৬৫ দিনের বদলে বছর শেষ হয় ৩৬৬ দিনে। ২০২৪ সাল লিপ ইয়ার বছর। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ২৯ দিন রয়েছে। লিপ ইয়ারে ব্যাঙ্ক কীভাবে সুদের হার গণনা করে দেখে নেওয়া যাক। ব্যাঙ্ক অফ বরোদা: ডোমেস্টিক টার্ম ডিপোজিটের ক্ষেত্রে (সময়কাল এক বছরের বেশি) যেখানে টার্মিনাল ত্রৈমাসিক অসম্পূর্ণ থাকে, সেখানে সুদের হিসেব করা উচিত সম্পূর্ণ ত্রৈমাসিক, প্রকৃত দিনের সংখ্যা এবং বছরের হিসেব অনুযায়ী। ৩৬৬ দিন হলে সুদের হিসেব সম্পূর্ণ ত্রৈমাসিক এবং দিনের ক্রমে করা হয়। জন স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্ক: ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ক’দিনে বছর হচ্ছে, তা হিসেব করেই সুদ গণনা করা হয়। নন-লিপ ইয়ারে ৩৬৫ দিন এবং লিপ ইয়ারে ৩৬৬ দিন। আমানতের মেয়াদও দিনের সংখ্যা হিসেবে ধরা হয়। এইউ স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্ক: এক বছরে মাস ও দিনের প্রকৃত সংখ্যার উপর ভিত্তি করে সুদ গণনা করা হয়। যদি ডিপোজিটের মেয়াদ লিপ ইয়ার এবং নন লিপ ইয়ার জুড়ে থাকে, তাহলে সুদ গণনা করা হয় দিনের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে যেমন একটি লিপ ইয়ারে ৩৬৬ দিন এবং একটি নন-লিপ ইয়ারে ৩৬৫ দিন। ফিক্সড ডিপোজিটের সময়কাল মাস ও দিনের সংখ্যায় গণনা করা হয়’। নন-লিপ ইয়ার অর্থাৎ ৩৬৫ দিনে বছর হলে যেভাবে সুদ গণনা করা হয়: ফিক্সড ডিপোজিট প্রিন্সিপাল – ১০,০০০০ টাকা।সুদের হার – ৪.৫ শতাংশ।ফিক্সড ডিপোজিটের মেয়াদ – ১৮০ দিন।প্রদত্ত সুদ – ১০০০০০x১৮০x৪.৫/৩৬৫ = ২২১৯.৭ লিপ ইয়ার অর্থাৎ ৩৬৫ দিনে বছর হলে যেভাবে সুদ গণনা করা হয়: ফিক্সড ডিপোজিট প্রিন্সিপাল – ১০,০০০০ টাকা।সুদের হার – ৪.৫ শতাংশ।ফিক্সড ডিপোজিটের মেয়াদ – ১৮০ দিন (লিপ ইয়ার মাস-সহ)।প্রদত্ত সুদ – ১০০০০০x১৮০x৪.৫/৩৬৬ = ২২১৩.১১
ব্যবসা-বাণিজ্য Senior Citizen Savings Scheme: প্রতি মাসে এই স্কিমে বুঝে বিনিয়োগ করলে পেয়ে যাবেন ২১ লাখ! জেনে নিন হিসেব Gallery January 17, 2024 Bangla Digital Desk সরকার-সমর্থিত সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম, সংক্ষেপে SCSS ভারতের সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য একটি দারুন স্কিম। ৬০ বা ৫৫ বছরের বেশি বয়সের কেউ যদি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন বা স্বেচ্ছায় ও বিশেষ স্বেচ্ছাসেবী পরিকল্পনার অধীনে অবসর নেন, অথবা ৫০ বছর বয়সী যদি কেউ প্রাক্তন সামরিক কর্মী হন (বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মী ব্যতীত) তাঁরা এই সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। সরকার-সমর্থিত সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে সিনিয়র সিটিজেনদের বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের সুদ বাড়ানো হয়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সরকার সমর্থিত এই সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের সমস্ত খুঁটিনাটি। জানুয়ারি-মার্চ ২০২৪ ত্রৈমাসিকের জন্য বাড়ানো হয় সুদের হার –প্রতি ত্রৈমাসিকে, সরকার SCSS-এ সুদের হার নির্ধারণ করে। সরকার চলতি ত্রৈমাসিকের জন্য SCSS সুদের হার বাড়ায়নি। অ্যাকাউন্টধারীরা তাদের আমানতের উপর ৮.২% সুদের রিটার্ন পেতে পারেন। এর সুদ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রদান করা হয় এবং সম্পূর্ণ করযোগ্য। কত টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করা যায় –এই স্কিমে অ্যাকাউন্টটি খুব সামান্য পরিমাণ টাকা জমা দিয়েও খোলা যাবে। এই স্কিমে অ্যাকাউন্টটিতে ন্যূনতম ১০০০ টাকা জমা দিতে হবে এবং সর্বাধিক ৩০,০০,০০০ টাকা। এই স্কিমে টাকা জমার মেয়াদ ৫ বছর এবং আরও ৩ বছর বাড়ানো যেতে পারে। তবে, এটাও মাথায় রাখা দরকার, সুদের হার যত বেশিই হোক না কেন, প্রতি মাসে ১০০০ টাকা বিনিয়োগে তহবিল খুব একটা বাড়বে না। নিদেনপক্ষে যদি ২১ লক্ষ টাকার একটা তহবিল গড়ে তুলতে হয়, তাহলে যা করতে হবে, এবার সেই হিসেব দেখে নেওয়া যাক। এক্ষেত্রে, বিনিয়োগ করতে হবে ১৫ লক্ষ টাকা। ৫ বছরের মেয়াদ, সুদের হার ৮.২%। এই হিসেবে সুদের উপরে রিটার্ন আসবে প্রতি মাসে ১০২৫০ টাকা, ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ৩০৭৫০ টাকা এবং বার্ষিক ভিত্তিতে ১২৩০০০ টাকা। এভাবে ৫ বছরে সুদের থেকে মোট হাতে আসবে ৬১৫০০০ টাকা। মোট রিটার্নের পরিমাণ অতএব দাঁড়াবে ২১১৫০০০ টাকা।
ব্যবসা-বাণিজ্য Fixed Deposit: FD-থেকেও লোন নেওয়া যেতে পারে ? আপনি কি পাবেন এই সুবিধা ? Gallery January 17, 2024 Bangla Digital Desk দুঃসময় বলে-কয়ে আসে না। হাতে যদি তখন পর্যাপ্ত টাকা না থাকে, আমরা অনেকেই সেভিংস অ্যাকাউন্ট খালি করি, হাত বাড়াই ফিক্সড ডিপোজিটের দিকে। সেই তহবিল ভাঙা ছাড়া আর উপায় থাকে না। অনেক সময়ে তাতেও কাজ হয় না, নিতে হয় চড়া সুদের হারে পার্সোনাল লোন। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না যে এফডি-র বিপরীতেও ঋণ পাওয়া যায়। আসলে, যাঁদের ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে, তাঁরা যদি ঋণ নিতে চান, তাহলে ব্যাঙ্ক তাঁদের সেই ফিক্সড ডিপোজিটের বিপরীতে ঋণ দিতে পারে। এমনকী এর জন্য অতিরিক্ত নথিপত্র, ক্রেডিটের ইতিহাস পরীক্ষা এসব তো করা হয়ই না, আর তুলনামূলক ভাবে সুদের হারও কম থাকে। অন্যান্য ঋণের তুলনায় সস্তা:এফডি-র বিপরীতে লোন নেওয়ার সবথেকে বড় সুবিধা হল, এটি পার্সোনাল, সিকিওর্ড এবং আনসিকিওর্ড লোনের তুলনায় সস্তা। ব্যাঙ্কগুলি একটি সুদের হার নিয়ে থাকে, যা এফডি দ্বারা প্রদত্ত সুদের হারের তুলনায় ৫০-২০০ বেসিস পয়েন্ট বেশি। প্রসেসিং ফি এবং দ্রুততা:হোম এবং পার্সোনাল লোনের ক্ষেত্রে যে প্রসেসিং ফি নেওয়া হয়, এক্ষেত্রে সেটা নেওয়া হয় না। আর নিরাপদ এই ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে তেমন কোনও কাঠখড়ও পোড়াতে হয় না। লোনের মেয়াদ এবং লোন পরিশোধ:এফডি-র বিপরীতে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে যে সর্বাধিক মেয়াদ পাওয়া যায়, তা আসলে ডিপোজিটের মেয়াদ। এক বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, লোনটা যেহেতু ওভারড্রাফ্ট হিসেবে বণ্টন করা হচ্ছে, তাই টাকা হাতে আসলে তা পরিশোধ করা যাবে। ইএমআই-এর মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতে হবে না। এফডি-র বিপরীতে লোনের জন্য কখন আবেদন করতে হবে?যাঁরা পার্সোনাল লোনের তুলনায় কম হারে লোন নিতে চান, তাঁদের জন্য এফডি-র বিপরীতে লোন হবে সবথেকে ভাল বিকল্প। আর এর সুদের হার মোটামুটি থাকে বার্ষিক ১০.৫-২১ শতাংশ। আর এই ঋণ পাওয়ার প্রক্রিয়াও বেশ সহজ। সাধারণ ভাবে লোন নেওয়া হলে ঋণগ্রহীতার আয়,ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা এবং ক্রেডিট স্কোর দেখা হয়। কিন্তু এফডি-র বিপরীতে ঋণের ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। আর নিরাপদ বিকল্পও বটে।
ব্যবসা-বাণিজ্য ১০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার FD হার বাড়িয়েছে PNB, জেনে নিন কতটা লাভবান হবেন ? Gallery January 15, 2024 Bangla Digital Desk পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, সংক্ষেপে PNB, আবার ২ কোটি টাকার নিচের পরিমাণের জন্য ফিক্সড ডিপোজিট বা FD-তে সুদের হার সংশোধন করেছে। ১০ দিনের ব্যবধানে তারা ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার দ্বিতীয় বার বাড়াল। ব্যাঙ্ক পূর্বে ১ জানুয়ারি থেকে সুদের হার সংশোধিত করেছিল এবং এখন আবার ৮ জানুয়ারি থেকে সুদের হারে পরিবর্তনগুলি কার্যকর করেছে। পাবলিক সেক্টরের ঋণদাতা এই ব্যাঙ্ক একক মেয়াদে সুদের হার ৮০ বেসিস পয়েন্ট (বিপিএস) বাড়িয়েছে। ৩০০ দিনের মধ্যে আমানত ম্যাচিউরিটি হওয়ার উপরে ব্যাঙ্ক রেট ৬.২৫% থেকে ৭.০৫% পর্যন্ত বাড়িয়েছে। ১ জানুয়ারি, PNB নির্দিষ্ট মেয়াদে ৪৫ বিপিএস পর্যন্ত হার বাড়িয়েছিল এবং একই সঙ্গে অন্যদের উপরে হার কমিয়েছিল। সাম্প্রতিক সংশোধনের পরে, PNB এখন ৭ দিন থেকে ১০ বছরের মধ্যে ম্যাচিউরিটির আমানতের উপর ৩.৫% থেকে ৭.২৫% পর্যন্ত সাধারণ নাগরিকদের সুদের হার অফার করে৷ ১ জানুয়ারি, PNB নির্দিষ্ট মেয়াদে ৪৫ বিপিএস পর্যন্ত হার বাড়িয়েছিল এবং একই সঙ্গে অন্যদের উপরে হার কমিয়েছিল। সাম্প্রতিক সংশোধনের পরে, PNB এখন ৭ দিন থেকে ১০ বছরের মধ্যে ম্যাচিউরিটির আমানতের উপর ৩.৫% থেকে ৭.২৫% পর্যন্ত সাধারণ নাগরিকদের সুদের হার অফার করে৷ এখানে PNB দ্বারা প্রস্তাবিত সংশোধিত FD সুদের হারগুলি দেওয়া হল –সাধারণ নাগরিকদের জন্য সুদের হার এবং প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সুদের হার – ৭ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত সাধারণ নাগরিকদের জন্য সুদের হার ৩.৫% এবং সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সুদের হার ৪%– ১৫ থেকে ২৯ দিন পর্যন্ত সাধারণ নাগরিকদের জন্য সুদের হার ৩.৫% এবং সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সুদের হার ৪%– ৩০ থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সাধারণ নাগরিকদের জন্য সুদের হার ৩.৫% এবং সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সুদের হার ৪%– ৪৬ থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত সাধারণ নাগরিকদের জন্য সুদের হার ৪.৫% এবং সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সুদের হার ৫% – ৬১ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত সাধারণ নাগরিকদের জন্য সুদের হার ৪.৫% এবং সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সুদের হার ৫%– ৯১ থেকে ১৭৯ দিন পর্যন্ত সাধারণ নাগরিকদের জন্য সুদের হার ৪.৫% এবং সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সুদের হার ৫%– ১৮০ থেকে ২৭০ দিন পর্যন্ত সাধারণ নাগরিকদের জন্য সুদের হার ৬% এবং সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সুদের হার ৬.৫%– ২৭১ থেকে ২৯৯ দিন পর্যন্ত সাধারণ নাগরিকদের জন্য সুদের হার ৬.২৫% এবং সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সুদের হার ৬.৭৫%– ৩০০ দিন পর্যন্ত সাধারণ নাগরিকদের জন্য সুদের হার ৭.০৫% এবং সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সুদের হার ৭.৫৫% – ৩০১ দিন থেকে ১ বছরের কম সময় পর্যন্ত সাধারণ নাগরিকদের জন্য সুদের হার ৬.২৫% এবং সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সুদের হার ৬.৭৫%– ১ বছর পর্যন্ত সাধারণ নাগরিকদের জন্য সুদের হার ৬.৭৫% এবং সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সুদের হার ৭.২৫%– ১ বছর থেকে ৩৯৯ দিন পর্যন্ত সাধারণ নাগরিকদের জন্য সুদের হার ৬.৮% এবং সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সুদের হার ৭.৩%– ৪০০ দিন পর্যন্ত সাধারণ নাগরিকদের জন্য সুদের হার ৭.২৫% এবং সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সুদের হার ৭.৭৫% – ৪০১ দিন থেকে ২ বছর পর্যন্ত সাধারণ নাগরিকদের জন্য সুদের হার ৬.৮% এবং সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সুদের হার ৭.৩%– ২ বছরের উপর এবং ৩ বছর পর্যন্ত সাধারণ নাগরিকদের জন্য সুদের হার ৭% এবং সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সুদের হার ৭.৫%– ৩ বছরের উপর এবং ৫ বছর পর্যন্ত সাধারণ নাগরিকদের জন্য সুদের হার ৬.৫% এবং সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সুদের হার ৭%– ৫ বছরের উপর এবং ১০ বছর পর্যন্ত সাধারণ নাগরিকদের জন্য সুদের হার ৬.৫% এবং সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সুদের হার ৭.৩% এই সুদের হার বাড়ানো হয়েছে মূলত ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি ঘোষণার সময়ে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের মন্তব্যের পটভূমিতে কারণে। অক্টোবর ২০২৩-এ, তিনি ২৫০ বেসিস পয়েন্টের রেপো রেট বৃদ্ধিকে হাইলাইট করেছিলেন, জোর দিয়েছিলেন যে এই উর্ধ্বমুখী বৃদ্ধিটি সেই সময়ে ব্যাঙ্ক আমানতের হারে সম্পূর্ণরূপে প্রেরণ করা হয়নি। এর ফলে রেপো রেট এবং ফিক্সড ডিপোজিট সুদের হারের মধ্যে সম্পর্ক সাম্প্রতিক মাসগুলিতে স্পষ্ট হয়েছে। আরবিআই রেপো রেট বাড়ায়, ব্যাঙ্কগুলি ধীরে ধীরে তাদের এফডি সুদের হার সামঞ্জস্য করে, যদিও এতে কিছুটা বিলম্ব হয়। যে ব্যাঙ্কগুলি প্রাথমিকভাবে তাদের এফডি রেট বাড়ানো থেকে পিছিয়ে ছিল, তারা তখন থেকে আরবিআই-এর নীতিগত পদক্ষেপগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্য করার চেষ্টা করেছে। এটি উল্লেখযোগ্য যে আরবিআই ২০২৩ সালের এপ্রিলে একটি বিরতির পরে টানা ৫ বার রেপো রেট ৬.৫% বজায় রেখেছে। এই বিরতির আগে, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক পর পর ৬টি হার বৃদ্ধি কার্যকর করেছিল, যার বৃদ্ধির মোট পরিমাণ ছিল ২৫০ বেসিস পয়েন্ট।
ব্যবসা-বাণিজ্য এক নজরে দেখে নিন জানুয়ারি-মার্চ ২০২৪ সালের জন্য সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে কত সুদ মিলবে ? Gallery January 14, 2024 Bangla Digital Desk সরকার-সমর্থিত সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম, সংক্ষেপে SCSS ভারতের সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য একটি দারুন স্কিম। ৬০ বা ৫৫ বছরের বেশি বয়সের কেউ যদি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন বা স্বেচ্ছায় ও বিশেষ স্বেচ্ছাসেবী পরিকল্পনার অধীনে অবসর নেন, অথবা ৫০ বছর বয়সী যদি কেউ প্রাক্তন সামরিক কর্মী হন (বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মী ব্যতীত) তাঁরা এই সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। সরকার-সমর্থিত সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে সিনিয়র সিটিজেনদের বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের সুদ বাড়ানো হয়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সরকার সমর্থিত এই সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের সমস্ত খুঁটিনাটি। জানুয়ারি-মার্চ ২০২৪ ত্রৈমাসিকের জন্য বাড়ানো হয় সুদের হার –প্রতি ত্রৈমাসিকে, সরকার SCSS-এ সুদের হার নির্ধারণ করে। সরকার চলতি ত্রৈমাসিকের জন্য SCSS সুদের হার বাড়ায়নি। অ্যাকাউন্টধারীরা তাদের আমানতের উপর ৮.২% সুদের রিটার্ন পেতে পারেন। এর সুদ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রদান করা হয় এবং সম্পূর্ণ করযোগ্য। SCSS এর বিশদ বিবরণ –এই স্কিমে অ্যাকাউন্টটি খুব সামান্য পরিমাণ টাকা জমা দিয়েও খোলা যাবে। এই স্কিমে অ্যাকাউন্টটি ন্যূনতম ১০০০ টাকা জমা দিতে হবে এবং সর্বাধিক ৩০,০০,০০০ টাকা। এই স্কিমে টাকা জমার মেয়াদ ৫ বছর এবং আরও ৩ বছর বাড়ানো যেতে পারে। সরকার ৭ নভেম্বর, ২০২৩ সালে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। জনপ্রিয় সিনিয়র সিটিজেনস সেভিংস স্কিমে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করেছে। সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এই স্কিমে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করা হয়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই পরিবর্তনগুলিও। অবসরকালীন সুবিধাগুলি বিনিয়োগ করার জন্য আরও সময় –৫৫ বছরের বেশি বয়সী কিন্তু ৬০ বছরের কম বয়সী একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি এখন SCSS-এ অবসরকালীন সুবিধাগুলি বিনিয়োগ করার জন্য তিন মাস সময় পাবেন৷ এর আগে, একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে অবসর গ্রহণের সুবিধা প্রাপ্তির ১ মাসের মধ্যে বিনিয়োগ করতে হত। সরকারি কর্মচারীর স্ত্রী দ্বারা বিনিয়োগ –চাকরিরত অবস্থায় মারা যাওয়া সরকারি কর্মচারীদের স্ত্রীদের জন্য মানদণ্ড উল্লেখযোগ্যভাবে শিথিল করেছে সরকার। নতুন আইনগুলি একজন সরকারি কর্মচারীর পত্নীকে পরিকল্পনায় আর্থিক সহায়তার পরিমাণ বিনিয়োগ করার অনুমতি দেয়। মৃত সরকারি কর্মচারীর বয়স ৫০ বছরের বেশি হলে এবং চাকরিরত অবস্থায় মারা গেলে এটি অনুমোদিত হবে। এই সুবিধাটি সমস্ত কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য উপলব্ধ যারা অবসর গ্রহণ বা মৃত্যু সুবিধার জন্য যোগ্য৷ অবসর সুবিধার সুযোগ সংজ্ঞায়িত –সরকার অবসরকালীন সুবিধার সুযোগ বা অর্থও নির্দিষ্ট করেছে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, অবসর গ্রহণের সুবিধা মানে অবসর গ্রহণ বা চাকরির মেয়াদের কারণে ব্যক্তির দ্বারা প্রাপ্ত যে কোনও অর্থ। এর মধ্যে রয়েছে প্রভিডেন্ট ফান্ডের বকেয়া, অবসর বা বরখাস্ত, পেনশনের কম্যুটেড মূল্য, ছুটি নগদকরণ, অবসর গ্রহণের সময় নিয়োগকর্তার দ্বারা প্রদেয় গ্রুপ সেভিংস লিঙ্কযুক্ত বিমা স্কিমের সঞ্চয়। SCSS-এর এক্সটেনশনের কোনও সীমা নেই –সরকার SCSS প্রকল্পের সম্প্রসারণের জন্য নিয়ম পরিবর্তন করেছে। অ্যাকাউন্ট হোল্ডার প্রতিটি তিন বছরের জন্য অ্যাকাউন্টটি দীর্ঘায়িত করতে পারে। তবে হ্যাঁ, প্রতিটি এক্সটেনশনের জন্য একটি আবেদন করতে হবে। পূর্বে, এক্সটেনশন শুধুমাত্র একবার মঞ্জুর করা যেত। স্কিম ডিপোজিটের মেয়াদ বাড়ানোর সুদ –সরকার সেই সুদও সংশোধন করেছে, যে কোনও ব্যক্তি যদি পাঁচ বছরের মেয়াদপূর্তির পরে এই স্কিমটি বাড়িয়ে দেয় তবে তারা তার অধিকারী হবে। নতুন নিয়ম অনুসারে, যদি SCSS অ্যাকাউন্টটি মেয়াদপূর্তিতে বাড়ানো হয়, তাহলে আমানত মেয়াদপূর্তির তারিখে বা বর্ধিত মেয়াদের তারিখে স্কিমের জন্য প্রযোজ্য সুদের হার অর্জন করবে। সর্বোচ্চ জমার পরিমাণ –স্কিমে সর্বোচ্চ জমার পরিমাণ অনুমোদিত আমানতের সীমা অতিক্রম করবে না। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাকাউন্ট খোলার সময় জমা করা আমানত, যা পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে বা তিন বছরের প্রতিটি ব্লকের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে পরিশোধ করা হবে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, “অ্যাকাউন্ট খোলার সময় জমা করা আমানত পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে বা তিন বছরের প্রতিটি ব্লকের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে দেওয়া হবে, যেখানে অ্যাকাউন্টটি অনুচ্ছেদ ৮-এর অধীনে বর্ধিত নিয়মে খোলা হয়েছে। তবে শর্ত থাকে যে বিদ্যমান অ্যাকাউন্ট বা অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করার পরে, আমানতকারীর সর্বোচ্চ আমানতের সীমা সাপেক্ষে নতুন অ্যাকাউন্ট বা অ্যাকাউন্টগুলি পুনরায় খোলা যেতে পারে।”