Gold Coins: সোনার কয়েন কেনার কথা ভাবছেন? হলুদ ধাতুতে বিনিয়োগের আরও স্মার্ট উপায় রয়েছে, সেগুলো জেনে নিন

সোনার আকাশছোঁয়া দাম। ধনতেরসে তাই অনেকেই সোনার গয়না ছেড়ে সোনার কয়েন কেনার দিকে ঝুঁকছেন। দাম অপেক্ষাকৃত কম। কিন্তু কোথায় মিলবে খাঁটি সোনার কয়েন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাম বাড়লেও ধনতেরসে সোনা কেনার চাহিদা কমেনি। কিন্তু সোনার কয়েন কেনায় সায় দিচ্ছেন না তাঁরা।

স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (SBI), এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অব বরোদা, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (UBI) সহ বেশ কিছু ব্যাঙ্ক আরবিআই-এর অনুমোদিত সোনার কয়েন বিক্রি করে। ওজন ২ গ্রাম, ৫ গ্রাম, ৮ গ্রাম এবং ১০ গ্রাম। মাপও আলাদা। কয়েনগুলির পিছনে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের লোগো থাকে। এই সব ব্যাঙ্ক থেকে চোখ বন্ধ করে সোনার কয়েন কেনা যায়।

আরও পড়ুন: আরও বেড়ে গেল সোনার দাম ? দেখে নিন কলকাতায় ১ ভরি সোনা কিনতে কত খরচ হবে

২৪ ক্যারেট খাঁটি এবং ট্যাম্পার প্রুফ প্যাকেজিং সহ এই সব সোনার কয়েন বিক্রি করে ব্যাঙ্ক। বিশুদ্ধতার সার্টিফিকেটও দেয়। অনলাইনে বা ব্যাঙ্কের মোবাইল অ্যাপের সোনার কয়েন কিনতে পারেন গ্রাহক। এর জন্য প্যান কার্ডের কপি এবং আবেদন পত্র জমা দিতে হবে। ব্যাঙ্কের শাখা থেকেও কেনা যায়। যেমন ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া থেকে গ্রাহকরা তো বটেই, যারা গ্রাহক নন তাঁরাও সোনার কয়েন কিনতে পারেন। গ্রাহকরা চেক কিংবা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে আর যাঁরা গ্রাহক নন তাঁদের জন্য ৫০ হাজার টাকার নীচে নগদে টাকা মেটানোর সুবিধা রয়েছে।

সোনার কয়েনের দাম: ব্যাঙ্কের সোনার কয়েনের দাম বাজারের থেকে বেশি। SimplePath ফাইনান্সিয়াল অ্যাডভাইজারি ফার্মের প্রতিষ্ঠাতা ডোনাল্ড গঞ্জালভেস বলছেন, ব্যাঙ্কগুলো বাজার মূল্যের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি চার্জ করে। তবে কয়েনের বিশুদ্ধতা ও নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হয় না। সোজা কথায়, চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়।

সমস্যা হল, ব্যাঙ্ক সোনার কয়েন কেনে না। গ্রাহক যদি সোনার কয়েন বিক্রি করতে চান, তাহলে বাজারেই যেতে হবে। ব্যাঙ্ক ফেরত নেবে না। সেটা সেই ব্যাঙ্ক থেকে কেনা হলেও। এটাই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নিয়ম। ফলে বিনিয়োগকারীদের বিকল্প ক্রেতা বা জুয়েলার্সদের উপরেই নির্ভর করতে হয়। বিক্রির সময় কম দাম মেলে। সার্টিফায়েড ফাইনান্সিয়াল প্ল্যানার হার্শিল মোর্জারিয়াও একই কথা বলছেন। তাঁর কথায়, “জুয়েলার্সদের থেকে কেনা সোনার কয়েন বিক্রি করা সহজ। কিন্তু ব্যাঙ্ক থেকে সোনার কয়েন বিক্রি করতে গেলে সমস্যায় পড়তে হয়। বাজারমূল্যের তুলনায় কম দাম মেলে। ফলে বিনিয়োগ মূল্য হ্রাস হয়।”

আরও পড়ুন: পোস্ট অফিসের Kisan Vikas Patra স্কিমে ৫ লাখ টাকা জমা করলে ম্যাচিউরিটির সময়ে কত টাকা পাওয়া যেতে পারে? রইল হিসেব

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধনতেরসে সোনার কয়েন না কিনে হলুদ ধাতুতে অন্যভাবে বিনিয়োগ করা উচিত। সেটা গোল্ড ইটিএফ হতে পারে কিংবা ডিজিটাল সোনা বা সোভেরিন গোল্ড বন্ড।

গোল্ড ইটিএফ: ইক্যুইটি শেয়ারের মতো ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গোল্ড ইটিএফ কেনা যায়। এটা NSE এবং BSE-তে লেনদেন হয়।

ডিজিটাল সোনা: ডিজিটাল সোনা কেনা আরও সহজ। মাত্র ১ টাকা দিয়ে সোনায় বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন গ্রাহক। ফিজিক্যাল সোনার মতো আগলে রাখার দরকার নেই। বিক্রি করাও সহজ। নগদে বা ফিজিক্যাল সোনায় বদলে নেওয়াও যায়।

সোভেরিন গোল্ড বন্ড: সোনা ছাড়া সোনায় বিনিয়োগ। সোভেরিন গোল্ড বন্ড এই সুবিধা দেয়। এগুলি সরকারি বন্ড। লক ইন পিরিয়ডে গ্যারান্টিযুক্ত ২.৫ শতাংশ রিটার্ন পাওয়া যায়। সম্পূর্ণ নিরাপদ। বর্তমানে নয়া ইস্যু জারি করেনি সরকার। তবে সেকেন্ডারি মার্কেটের মাধ্যমে কিনতে পারেন গ্রাহক।