ফাইলেরিয়া রোগের লক্ষণ ও মুক্তির উপায় জানুন 

Filariasis Disease: জেলায় এবার ফাইলেরিয়া রোগীর সন্ধান মিলল! মশার কামড়ে মারাত্মক এই রোগ কীভাবে ছড়ায় জানেন?

দক্ষিণ দিনাজপুর: গোদ বা ফাইলেরিয়া এক প্রকার পরজীবীঘটিত রোগ। এটি একপ্রকার সংক্রামক রোগ যা সুতার মতো একজাতের ফাইলেরিওয়ডিয়া গোত্রীয় মশা লার্ভার দ্বারা আক্রান্ত হয়। যেহেতু ফাইলেরিয়া কৃমি মশার কামড় দ্বারা সংক্রমিত ও বিস্তৃত হয়, তাই মশা দমন একটি কার্যকর প্রতিরোধের উপায়।

এছাড়া ম্যাস ড্রাগ ট্রিটমেন্ট বা ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে ওষুধ প্রয়োগ করেও রোগটির বিস্তার কমানো যায়। তবে এই গোদ বা ফাইলেরিয়া রোগীর সন্ধান পাওয়া গেল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ষাটোর্ধ এক বাসিন্দা শম্ভু দেবনাথের। তিনি বহু দিন ধরে এই রোগে আক্রান্ত।

আরও পড়ুন: জং ধরা কাঁচির পর এবার ভাঙা সিরিঞ্জ, SSKM-এ ফের ভয়ঙ্কর অভিযোগ! কী ঘটল জানেন?

এবিষয়ে তিনি জানান, “বালুরঘাট হাসপাতাল ও পরবর্তীতে শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজেও চিকিৎসা করেও তাঁর পা আগের চেহারায় ফিরিয়ে আনতে পারেননি। এমনকী অভাবের তাড়নায় চিকিৎসা করতে পারেননি নিয়মিত। তাই তাঁর এই রোগ সংক্রান্ত সমস্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে।”

আরও পড়ুন: স্বপ্নে উঁচু থেকে পড়ে যান বার বার? আচমকা শরীর কেঁপে ওঠে? কী অর্থ এমন স্বপ্নের! কীসের ইঙ্গিত জানুন

তবে, এই রোগের থেকে কিভাবে মুক্তি মিলবে সে বিষয়ে এদিন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা শাসক ও মুখ্যসাস্থ্য আধিকারিক সাংবাদিক বৈঠক করে এই রোগটির বিস্তার ও রোগের প্রতিরোধ সম্পর্কে আলোচনা করেন।
এবিষয়ে মুখ্যস্বাস্থ আধিকারিক সুদীপ দাস জানান, “জেলায় এই রোগে আক্রান্ত রোগী সচারাচর দেখা যায় না। পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর ছয় মাস থেকে ছয় বছর পরেও এই রোগ হতে পারে। সংক্রমিত ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন অংশ ধীরে ধীরে ফুলে যাবে, ত্বক ও এর নীচের টিস্যুও মোটা হতে থাকবে। এসব হচ্ছে গোদ রোগের প্রধান লক্ষণ। যা কিনা মশার মাধ্যমে সংক্রমিত রোগ। এই রোগের পরীক্ষা নিরিক্ষায় চিকিৎসা সংক্রান্ত স্যাম্পল নেওয়ার সঠিক সময় হল ওই এলাকায় গিয়ে রাত নটা থেকে রাত এগারোটা। তবে, হয়ত বেশি রাতে মেডিক্যাল টিম দেখে এলাকার মানুষ ভয় পেয়ে অযথা আতঙ্কিত হতে পারেন, তাই সেই ব্যাপারেও সজাগ থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে এবং সেই সময় যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে।”

জানা গিয়েছে, যদি কোথাও এই রোগী পাওয়া যায় তবে তাঁকে গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসা হবে। এবং সেই এলাকায় বিশেষ মেডিক্যাল টিম যাবে, যাতে ভবিষ্যতে আর এই রোগের প্রাদুর্ভাব না ঘটে। এবিষয়ে স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা প্রশাসন যৌথ ভাবে মোকাবিলা করবে।

সুস্মিতা গোস্বামী