Ebrahim Raisi Death: ‘কেউ বেঁচে নেই..,’ কপ্টার দুর্ঘটনায় মারাই গিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি! সামনে এল দুর্ঘটনার ঠিক আগের ভিডিও

ইরান: যা-ও বা ক্ষীণ আশা ছিল..তা-ও শেষ৷ ইরান সরকারের তরফে ঘোষণা করা হল কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যুই হয়েছে সে দেশের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির৷ মারা গিয়েছেন, তাঁর বিদেশমন্ত্রী হোসেইন আমিরআবদুল্লাহিয়ানও৷ পার্বত্যময় তুষার ঢাকা অঞ্চলে প্রেসিডেন্টের কপ্টারের ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করতে পেরেছে উদ্ধারকারী দল৷ তাঁরাই যাবতীয় পর্যবেক্ষণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে কপ্টারে থাকা সব যাত্রীই মারা গিয়েছেন৷ কপ্টার ধ্বংসের এলাকায় কোনও জীবিত মানুষের চিহ্ন পাওয়া যায়নি৷

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে ইরানের এক উচ্চ পদস্থ সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘দুর্ঘটনায় জ্বলে ছাই হয়ে গিয়েছে প্রেসিডেন্ট রাইসির কপ্টার৷ দুর্ভাগ্যবশত, কপ্টারে থাকা সব যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷’’

সামনে এসেছে দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তের ভিডিও ফুটেজও৷ ইরানের স্টেট টেলিভিশনের ১৯ মের ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি তাংর প্রতিনিধি দলের কোনও এক সদস্যের সঙ্গে বসে রয়েছেন কপ্টারে৷ ভিডিওটি পূর্ব আজারবাইজানের পশ্চিম প্রদেশের জোলফা এলাকায় তোলা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে৷

আরও পড়ুন: পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়ল ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার! ইব্রাহিম রাইসি কি জীবিত?

ঘটনায সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দুঃখপ্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও৷

সূত্রের খবর, তারপরেই ইরানের উত্তরপশ্চিমের পার্বত্য এলাকায় পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়ে ইরানের প্রেসিডেন্টের কপ্টার৷ ওই চপারেই ছিলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রীও। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, একটি পাহাড়ি অঞ্চল পেরিয়ে যাওয়ার সময় হেলিকপ্টারটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। প্রবল বৃষ্টি আর ঘন কুয়াশার জন্য দুর্ঘটনাস্থলে দৃশ্যমানতা সে সময় খুব কম ছিল বলে জানা গিয়েছে ৷

প্রথমে প্রেসিডেন্টের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা রাখলেও পরে ইরানের সরকারের তরফে সংবাদ মাধ্যমে জানানো হয়, কপ্টারের কোনও যাত্রীই আর বেঁচে নেই৷ স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ‘‘ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরানের প্রেসিডেন্ট আয়াতোল্লা ইব্রাবিম রাইসি, মানুষের প্রতি তাঁর দায়িত্বপালন করার মাঝেই শহিদ হয়েছেন৷’’

আরও পড়ুন: হাতেনাতে ধরলেন লকেট! নিশানায় সরাসরি রচনা…কমিশনে অভিযোগের বন্যা সব দলের

কপ্টার দুর্ঘটনার পিছনে কী কারণ রয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি৷ তবে এর জন্য ইরানের দুর্বল উড়ান নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেই দায়ী করছে পশ্চিমি মিডিয়া৷ ইরান সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, রাইসি বেল ২১২ হেলিকপ্টারে সওয়ার ছিলেন৷ এই মডেলের হেলিকপ্টারটি আমেরিকায় তৈরি এবং ১৯৭৯ এর পর থেকে এই মডেলের কপ্টার ইরানকে আর বিক্রি করেনি আমেরিকা৷