ITR File: বছরে আয় ৭ লাখ টাকা হলেও ITR ফাইল করতে হবে? নিয়ম কী বলে জেনে নিন

২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল শুরু হয়েছে। এবার ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ ৩১ জুলাই। আয়কর আইন ১৮৬১-এর ধারা ৮৭এ-এর অধীনে, পুরনো কর ব্যবস্থায় ৫ লক্ষ টাকা এবং নতুন কর ব্যবস্থায় ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয় করমুক্ত। এর চেয়ে বেশি আয় হলে আয়কর দেওয়া বাধ্যতামূলক।
২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল শুরু হয়েছে। এবার ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ ৩১ জুলাই। আয়কর আইন ১৮৬১-এর ধারা ৮৭এ-এর অধীনে, পুরনো কর ব্যবস্থায় ৫ লক্ষ টাকা এবং নতুন কর ব্যবস্থায় ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয় করমুক্ত। এর চেয়ে বেশি আয় হলে আয়কর দেওয়া বাধ্যতামূলক।
এখন প্রশ্ন হল, বার্ষিক আয় ৭ লাখ টাকার কম হলে কি আইটিআর ফাইল করতে হবে? কর বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যক্তির বার্ষিক আয় ৩ লাখ টাকার বেশি হলেই রিটার্ন দাখিল করা উচিত। তবে তাঁকে কোনও কর দিতে হবে না। কারণ ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে কোনও কর দিতে হয় না।
এখন প্রশ্ন হল, বার্ষিক আয় ৭ লাখ টাকার কম হলে কি আইটিআর ফাইল করতে হবে? কর বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যক্তির বার্ষিক আয় ৩ লাখ টাকার বেশি হলেই রিটার্ন দাখিল করা উচিত। তবে তাঁকে কোনও কর দিতে হবে না। কারণ ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে কোনও কর দিতে হয় না।
কাদের আইটিআর ফাইল করা উচিত: কর বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি কোনও করদাতার মোট বার্ষিক আয় আয়কর ছাড়ের সীমা ছাড়িয়ে যায়, তাহলে তাঁকে অবশ্যই আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
কাদের আইটিআর ফাইল করা উচিত: কর বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি কোনও করদাতার মোট বার্ষিক আয় আয়কর ছাড়ের সীমা ছাড়িয়ে যায়, তাহলে তাঁকে অবশ্যই আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
-২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে পুরনো কর ব্যবস্থায় বিভিন্ন বিভাগে ছাড়ের সীমা নিম্নরূপ: ৬০ বছরের কম বয়সী ব্যক্তি – ২.৫ লক্ষ টাকা-৬০ বছরের বেশি কিন্তু ৮০ বছরের নীচে বয়স - ৩ লাখ টাকা -৮০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি: ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত
-২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে পুরনো কর ব্যবস্থায় বিভিন্ন বিভাগে ছাড়ের সীমা নিম্নরূপ: ৬০ বছরের কম বয়সী ব্যক্তি – ২.৫ লক্ষ টাকা
-৬০ বছরের বেশি কিন্তু ৮০ বছরের নীচে বয়স – ৩ লাখ টাকা
-৮০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি: ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত
একই সময়ে, নতুন কর ব্যবস্থায়, সব বয়সের করদাতাদের জন্য আয়কর ছাড়ের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ টাকা।
একই সময়ে, নতুন কর ব্যবস্থায়, সব বয়সের করদাতাদের জন্য আয়কর ছাড়ের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ টাকা।
উদাহরণ সহযোগে বিষয়টা বুঝে নেওয়া যাক:
উদাহরণ সহযোগে বিষয়টা বুঝে নেওয়া যাক:
উদাহরণ ১ – ধরা যাক কোনও ব্যক্তির মোট করযোগ্য আয় ৪.২৫ লাখ টাকা। এই আয় যেহেতু করদাতার বেছে নেওয়া কর ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে ৫ লক্ষ বা ৭ লক্ষ টাকার কম, তাই তাঁকে কোনও আয়কর দিতে হবে না, তিনি ধারা ৮৭এ-এর অধীনে করছাড় পাবেন। তবে আইটিআর দাখিল করতে হবে। কারণ মোট আয় পুরনো কর ব্যবস্থার অধীনে ২.৫ লাখ টাকার বেশি এবং নতুন কর ব্যবস্থার আওতায় ৩ লাখ টাকার বেশি।
উদাহরণ ১ – ধরা যাক কোনও ব্যক্তির মোট করযোগ্য আয় ৪.২৫ লাখ টাকা। এই আয় যেহেতু করদাতার বেছে নেওয়া কর ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে ৫ লক্ষ বা ৭ লক্ষ টাকার কম, তাই তাঁকে কোনও আয়কর দিতে হবে না, তিনি ধারা ৮৭এ-এর অধীনে করছাড় পাবেন। তবে আইটিআর দাখিল করতে হবে। কারণ মোট আয় পুরনো কর ব্যবস্থার অধীনে ২.৫ লাখ টাকার বেশি এবং নতুন কর ব্যবস্থার আওতায় ৩ লাখ টাকার বেশি।
উদাহরণ ২ – ধরা যাক, একজন বেতনভোগী ব্যক্তির মোট করযোগ্য আয় ৭.৫ লাখ টাকা। তিনি ৫০ হাজার টাকা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন দাবি করতে পারেন। সমস্ত ছাড় এবং ডিডাকশনের পর তাঁকে কোনও আয়কর দিতে হবে না। তবে আইটিআর ফাইল করতে হবে।
উদাহরণ ২ – ধরা যাক, একজন বেতনভোগী ব্যক্তির মোট করযোগ্য আয় ৭.৫ লাখ টাকা। তিনি ৫০ হাজার টাকা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন দাবি করতে পারেন। সমস্ত ছাড় এবং ডিডাকশনের পর তাঁকে কোনও আয়কর দিতে হবে না। তবে আইটিআর ফাইল করতে হবে।