মুম্বই: বি-টাউনের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খানের পুত্র জুনেইদ খান পদার্পণ করলেন রুপোলি দুনিয়ায়। তাঁর প্রথম ছবি হল ‘মহারাজ’। জুনেইদের পাশাপাশি এই ছবিতে দেখা যাবে বলিউডের অন্যতম বলিষ্ঠ অভিনেতা জয়দীপ অহলাওয়াতকেও। বর্তমানে সংবাদমাধ্যমের চর্চার শিরোনামে উঠে এসেছে তাঁর নাম। কিন্তু কেন তাঁকে নিয়ে কথা বলছেন ভক্তরা? আসলে ‘মহারাজ’ ছবিতে জয়দীপ যে চরিত্রে অভিনয় করবেন, তার জন্য ব্যাপক ভাবে নিজের চেহারা বদলাতে হয়েছে তাঁকে।
সম্প্রতি নিজের কিছু বিফোর-আফটার অর্থাৎ আগে-পরের ছবি শেয়ার করেছেন জয়দীপ। সেখানে দেখা যাচ্ছে ব্যাপক ভাবে নিজের ওজন ঝরিয়েছেন অভিনেতা। তিনি লিখেছেন, “মাত্র ৫ মাসে ১০৯.৭ কেজি থেকে ৮৩ কেজি। মহারাজ-এর চরিত্রের জন্যই এই ফিজিক্যাল ট্রান্সফরমেশন। আমার উপর বিশ্বাস রাখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রজ্জ্বল স্যার।” আর জয়দীপের এই পোস্ট আসতে না আসতেই তা ভরে উঠতে থাকে প্রশংসাসূচক মন্তব্যে।
View this post on Instagram
জয়দীপের পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাঁর সহকর্মীরাও। সিদ্ধার্থ লিখেছেন, “দুর্দান্ত ভাই।” রিচা চাড্ডা লিখেছেন, “দারুণ।” বখতিয়ার ইরানি লিখেছেন, “যেখান থেকে সূচনা হয়েছিল, সেখানেই ফিরে এসেছে… শুধু কন্ট্যাক্ট লেন্স আর চশমাটাই নেই।”
গত ২১ জুন নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে ‘মহারাজ’। মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই এসেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এনডিটিভি-র রিভিউয়ে ফিল্ম ক্রিটিক শৈবাল চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন যে, “মহারাজ-এ তুলে ধরা হয়েছে বাস্তব জীবনের গল্প। যা অবশ্যই অন্তর্নিহিত যোগ্যতা বর্জিত নয়। প্রায় ১৬০ বছরেরও বেশি সময় আগে এক সাংবাদিক অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন সমাজ সংস্কারক এবং রাজনৈতিক নেতা দাদাভাই নওরোজির দ্বারা। গুজরাতি বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের এক শক্তিশালী ধর্মীয় নেতার সঙ্গে যুযুধান শুরু হয় ওই সাংবাদিকের। ওই ধর্মনেতার বিরুদ্ধে রয়েছে তাঁর মহিলা ভক্তদের যৌন শোষণের অভিযোগও।”
জয়দীপের অভিনয় প্রসঙ্গে শৈবাল চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘‘জয়দীপ অহলাওয়াত এই ছবির সমস্ত কিছু এবং সকলের উর্ধ্বে। কখনওই জোর গলায় কথা বলেন না এবং অনেকটা সুন্দর একটা অভিব্যক্তি ধরে রেখেছেন। তবে সেটা অবশ্য ভেঙে যায় তাঁর চাপা হাসি, কুটিল হাসি এবং বিকৃত হাসিতে। চরিত্রটি এমন একজন ব্যক্তির, যিনি নিজেকে ঈশ্বর বলে মনে করেন। আর চান, তাঁর অন্ধকারময় কাজের জন্য যেন সকলের চোখ অন্ধ হয়ে যাক।”