আপ্যায়নের সঙ্গে থাকে ষষ্ঠীদেবীর পুজোর নিয়ম এবং আচার আচরণও। বাঙালি বাড়িতে ১২ মাসে ১৩ ষষ্ঠী। এর মধ্যে জ্যৈষ্ঠমাসে পালিত হয় অরণ্যষষ্ঠী। এই ব্রত বেশি প্রচলিত জামাইষষ্ঠী নামে।
যে কোনও ষষ্ঠীপুজোয় গুরুত্বপূর্ণ হল পুজোর ডালি সাজিয়ে তোলা। অরণ্যষষ্ঠীতে পুজোর ডালায় কাঁঠালপাতার উপর সাজিয়ে দিন বিজোড় সংখ্যক ৫,৭ বা ৯ রকম মরশুমি ফল। বলছেন পণ্ডিত হিতেন্দ্রকুমার শর্মা।
অনেক পরিবারে বটপাতা, জামপাতাও রাখা হয় পুজোর ডালায়। এই ফলের মধ্যে একটি হতেই হবে একছড়া করমচা। এবং ১০৮ গাছা দূর্বাঘাস। কিছু পরিবারে ৬০ গাছা দূর্বাও রাখা হয়।
জামাইষষ্ঠীর দিন ভোরে স্নান সেরে নিন শাশুড়ি মায়েরা। তার পর ঘটস্থাপন করুন। ঘটে দিন সিঁদুর লাগানো আম্রপল্লব। আমের পাতা থাকতে হবে বিজোড় সংখ্যায়।
জামাইষষ্ঠীতে অপরিহার্য তালপাতার পাখা। একটি সুতোয় সরষের তেল ও হলুদ লাগিয়ে তাতে ফুল বেলপাতা বেঁধে দিন।
সেই সুতো মেয়ে, জামাই ও নাতি নাতনিদের হাতে বেঁধে দেন শাশুড়িমা। মেয়েদের বাঁ হাতে এবং ছেলেদের ডানহাতে বাঁধা হয়।
তার আগে এই পুজোর থালি পুজো দেওয়া হয় মা ষষ্ঠীর থানে। তার পর ব্রতকথা পাঠ, হাতে সুতো বাঁধা হয়। তালপাতার পাখায় ভেজা দূর্বাঘাস নিয়ে বাতাস করা হয় মঙ্গলকামনায়।
ষষ্ঠীর ব্রত যাঁরা পালন করেন, তাঁরা সাধারণত সাত্তিক আহারে উপবাস ভঙ্গ করেন। তাই অনেক পরিবারে জামাইষষ্ঠীর ভূরিভোজের আয়োজন করা হয় অন্য কোনও দিন।