ঝাড়খণ্ডের এই চায়ের দোকানের চা বিখ্যাত৷

Jharkhand News : চা ভালোবাসেন? ঝাড়খণ্ডের এই দোকানে রোজ বিক্রি হচ্ছে ১ কুইন্টাল দুধের চা, একবার খেলে প্রেমে পড়ে যাবেন আপনিও

দুমকা: হাসদিহার দুমকাতে  একটি চায়ের দোকান রয়েছে। দোকানটি শুধুমাত্র তার চমৎকার চায়ের স্বাদের জন্যই নয়, এটি পরিচিত দারুণ আতিথেয়তার জন্যেও। এখানকার চা এতই জনপ্রিয় যে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পর্যটকরা এখানে ভিড় করেন চা খাওয়ার জন্য৷

এই দোকানের বিশেষত্ব কী? এখানে দুধ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোটানো হয়, যে কারণে এখানে চায়ের স্বাদ হয়ে ওঠে দারুণ। গত ৫০ বছর ধরে হাঁসডিহার প্রধান চত্বরে এই দোকানটি রয়েছে। যেখানে NH 17, NH 133, এবং NH 133E-এর মতো প্রধান রাস্তাগুলি মিলেছে। তাই জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ চায়ের স্বাদ নিতে একবার উঁকি মেরে যান এখানে।

আরও পড়ুন : ফের বিপাকে লালুপ্রসাদ, আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে তলব সমন আদালতের! ডাক তেজস্বীকেও

এই দোকানটি ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে৷ দোকানের কর্মী হারমান রাউত জানান, ৫০ বছর ধরে এই চত্বরে তাঁর দোকান রয়েছে। যেখানে দিনভর প্রায় হাজার হাজার মানুষ এসে চা পান করেন। ভোর ৩টে থেকেই এখানে লোকজনের জমা হতে শুরু করে। রাউত জানিয়েছেন, তিনি নিজে রাতে এই দোকান চালান৷ তাঁর ছেলে সকাল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই দোকানে চা বিক্রি করেন।

এই দোকানে প্রতিদিন আনুমানিক ১ কুইন্টাল দুধের চা বিক্রি হয়৷ দিনে ৫০ কেজি এবং রাতে ৫০ কেজির দুধের চা হচ্ছে নিয়ত৷ দুধ ফোটানোর জন্য চুলার ওপর সবসময় একটা বড় দুধের পাত্র থাকে। এখানেই দুধ ফুটিয়ে সেটাকে ঘন করা হয়। ঘন্টার পর ঘণ্টা ফোটানো দুধই এখানে চায়ের স্বাদ বাড়িয়ে দেয়৷ এখানে প্রতিদিন প্রায় ১০০০ কাপ চা বিক্রি হয়। প্রতি কাপ চায়ের দাম ১০ টাকা।

আরও পড়ুন : ফুলশয্যার রাত শেষ হতেই ভাঙল সব মোহ, শাশুড়ি জানালেন তাঁর ছেলের ‘এই’ গুণের কথা, শুনেই বউ অজ্ঞান

চা খেয়ে কাস্টমররা কী বলেন? দোকানের প্রসংশা করেন ঝাঁসি জেলার এক ট্রাক চালক৷ রূপেশ কুশওয়াহা নামের ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, অনেকদিন ধরেই তিনি ১৪ চাকার ট্রাক চালাচ্ছেন। তবে যখনই এই দোকানের কাছাকাছি চলে আসেন, তখন একবার হলেও এই দোকানের সামনে থামেন চা খেতে৷ তিনি আরও জানিয়েছেন, এই দোকানের চা একবার খেলে তার স্বাদ ভুলে যাওয়া কঠিন৷ একবার এই চা খেলে সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যায় বলেই জানিয়েছেন তিনি৷