‘হতাশ’, ‘ক্ষুব্ধ’...ফের মহামিছিলের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের! কর্মবিরতি ঘোষণার পরই বড় হুঁশিয়ারি চিকিত্‍সকদের

Junior Doctor’s Protest: ‘হতাশ’, ‘ক্ষুব্ধ’…ফের মহামিছিলের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের! কর্মবিরতি ঘোষণার পরই বড় হুঁশিয়ারি চিকিত্‍সকদের

কলকাতা: মঙ্গলবার থেকেই ফের পূর্ণ কর্মবিরতি ঘোষণা করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আরও ১০ দফা দাবি সামনে রেখেই ফের কর্মবিরতি ঘোষণা করলেন চিকিত্‍সকরা। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন তাঁরা ‘হতাশ’ এবং ‘ক্ষুব্ধ’। আগামীকাল বুধবার কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ফের মহামিছিলের ডাক দিলেন চিকিত্‍সকরা।

মঙ্গলবার জুনিয়র ডাক্তাররা জানালেন, ‘‘আমরা সুরক্ষিত বোধ করছি না। যৌন হয়রানি বিপক্ষে সঠিক পরিবেশ দরকার। মুখ্য সচিব ১২ দিন পর কোনও পরিবর্তন দেখতে পাইনি। নারায়ণ স্বরূপ নিগমের অপশারণ দাবী করেছিলাম।

স্বাস্থ্য সচিবকে অপসারণ করতে হবে। রোগীদের জন্য সদিচ্চে দেখিয়েছিলাম। কিন্তু এত দিন কেটে গেলেও সরকারি তরফে কিছু করা হয়নি। আন্দোলন করছি হাসপাতালে জনমুখী বদলের জন্য। ভয় হীন পরিবেশ সুনিশ্চিত হয়নি।

আরও পড়ুন: ফের পূর্ণ কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা! ‘নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতিপালনে ব্যর্থ সরকার’…১০ দফা দাবি পেশ

‘‘রাজ্যের প্রতি হাসপাতাল থেকে ভয়ের রাজনীতি দূর করতে হবে।’’ নিরাপত্তা নিয়ে ফের সরব আন্দোলনরত চিকিত্‍সকরা। তাদের দাবি, এবিষয়ে, ‘‘রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা দেখিনি। প্রতি মেডিকেল কলেজে থের্ট কালচার বন্ধ করতে হবে। মেডিকেল কলেজে সিসিটিভি, প্যানিক বাটান, হাসপাতালে সুরক্ষা বাড়াতে হবে, সিভিক নয়।’’

চিকিত্‍সকরা জানালেন, ‘‘অজস্র প্রশ্ন আছে। অভয়া খুন ও ধর্ষণে সিবিআই-এর গতি কতখানি স্লোথ? সুপ্রিম কোর্ট তারিখের পর তারিখ এল, আমরা হতাশ, ক্ষুব্ধ।’’

কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতিপালনে ব্যর্থ সরকার, দাবি জানিয়ে ফের কর্মবিরতির পথে জুনিয়র ডাক্তাররা। নিরাপত্তা প্রসঙ্গে জুনিয়র চিকিত্‍সকরা বলেন, ‘‘রোগীর পরিবারের নিরাপত্তা জন্য আমরা আলোচনা বসেছিলাম। মুখ্য সচিবকে দু’বার ইমেইল করেছিলাম। রাজ‍্যের টাস্ক ফোর্স মিটিং এর আহ্বান করেছিলাম। ৯-৩০ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তা নামে কী পেল? ২৬% লাগানো হয়েছে।’’

আরও পড়ুন: দেখলেই নাক সিঁটকান! এই সবজি খেয়েই ৮৮ তেও ফিট ধর্মেন্দ্র, দামও একেবারে কম, নাম জানলে অবাক হবেন

আরজি করের আবহেই শিরোনামে উঠে আসে সাগর দত্ত হাসপাতাল। চিকিত্‍সকদের নিরাপত্তার দাবিতে ইতিমধ‍্যেই পানিহাটির সাগর দত্ত মেডিক‍্যাল কলেজে ইতিমধ্যেই কর্মবিরতি চলছে। এদিন জুনিয়র ডাক্তাররা সাগর দত্ত প্রসঙ্গে জানালেন, ‘‘সাগর দত্ত হাসপাতালে মরণাপণ্য রোগীকে নাকি বেড দেয়নি। হাসপাতালে নিরাপত্তা না থাকায় চড়াও হয় নার্স ও ইন্টার্ন দের উপর। সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তা না থাকলে কী হতে পারে, সাগর দত্ত জ্বলন্ত উদাহরণ।’’

চিকিত্‍সকদের পাশাপাশি রোগীর নিরাপত্তা নিয়েও সরব জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, ‘‘প্রতি রোগীর পরিবার জানতে পারবে কত বেড খালি আছে। সরকারি গড়িমসি না করে রোগীর মৃত্যু পর নক্কার জনক ঘটনা এড়ানো যেত। রামপুরহাট হাসপাতাল, সিএনএমসি, সাগর দত্ত, এক ঘটনা। আরজি করে সন্দীপের মদতে দুর্নীতি কাজ চলেছে।’’ পুজোতে কি বিশেষ কর্মসূচী থাকছে জুনিয়র ডাক্তারদের? এবিষয়ে চিকিত্‍সকরা জানালেন, ‘‘আমরা মিটিং করার পর সির্ধান্ত নেবো পুজোর সময় কী করা হবে’’।