না বুঝে প্রেম করছেন সামাজিক মাধ্যমে? পড়বেন চরম বিপদে

“বাল্যবিবাহ” একটি সামাজিক ব্যাধি। এতে শারীরিক-মানসিক এবং সমাজের ক্ষতি। বাঁকুড়ার বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকা গুলিতে এই সমস্যা আজও বিদ্যমান। বিশেষ করে মেয়েদের বিদ্যালয়ে গুলি অর্থাৎ গার্লস স্কুলগুলিতে, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়। (নীলাঞ্জন ব্যানার্জী)

তা সত্ত্বেও “কোথাকার জল কোথায় গড়াতে পারে” সেই সম্বন্ধে স্বচ্ছ ধারণা নেই বহু মানুষের। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন বাল্যবিবাহ রোধ করতে যথেষ্ট কার্যকরী ভূমিকা পালন করলেও, প্রথম যে সুরক্ষা স্তর সেটি হল বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা।

আরও পড়ুনগ্র্যান্ডমাস্টার গুকেশের এ কী রূপ? ভক্তরা দেখে অবাক হলনে, আপনিও দেখুন

বিগত কয়েক বছরে শিক্ষক শিক্ষিকাদের সক্রিয় ভূমিকায় রোধ হয়েছে একাধিক বাল্যবিবাহ। এমনকি জঙ্গলমহলের দুটি মেয়ে পেয়েছেন স্বীকৃতিও। তবে বাঁকুড়া জেলার নাম আচুরি স্বস্তিক স্মৃতি গার্লস হাইস্কুলে জেলাশাসকের অফিসের শিশু সুরক্ষা দফতরের মুকুল বন্দ্যোপাধ্যায় দিলেন “পক্সো আইন” সম্বন্ধে স্বচ্ছ ধারণা। জানলে অবাক হবেন, একটি বাল্যবিবাহতে যুক্ত থাকা প্রত্যেকেই দোষী। হ্যাঁ কথাটা ঠিক শুনলেন, ” বিয়ের পুরোহিত থেকে রান্নার রাঁধুনি পর্যন্ত।” জানালেন মুকুলবাবু।

“জুভেনাইল জাসটিস অ্যাক্ট” অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে প্রত্যেকেই জুভেনাইল। বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে “কনসেন্ট” অর্থাৎ সম্মতির কোনও ভিত্তি নেই কারণ, ১৮ বছরের নিচে “কন্সেন্ট ইজ নো কনসেন্ট”। মুকুলবাবু বলেন, সামাজিক মাধ্যমের কারণে যোগাযোগের ক্ষেত্র বেড়ে গেছে। সেক্ষেত্রে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করতে গেলে খুব বুঝে শুনে ব্যবহার করতে হবে যদি বয়স ১৮ বছরের নিচে হয়। বেশিরভাগ বাল্যবিবাহের সূত্রপাত সামাজিক মাধ্যম থেকে, এবং সেটি না বুঝে। না বুঝে, পরিপক্ক জীবন শুরু হওয়ার আগেই যদি বাল্যবিবাহের জালে কেউ পা দেয় তাহলে জীবনধারায় ফিরে আসা একটু কঠিন হয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ।

পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোই লক্ষ্য। এমন একটি চিন্তাধারা নিয়ে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে চলছে দেশজুড়ে লড়াই। সঙ্গে উদাহরণ স্বরূপ রয়েছে বাল্যবিবাহ জনিত রোগ এবং মৃত্যুর ঘটনাও। তবুও, সর্বত্র সচেতনতা পৌঁছে না দিলে, সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা সম্ভব হবেনা বাল্যবিবাহকে। যার কারণে অতিরিক্ত দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিচ্ছে বিদ্যালয় গুলি।