কলকাতা: অনশনকারী চিকিৎসকদের চিকিৎসা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য। ‘আমরণ অনশনে’ বসে একাধিক চিকিৎসক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাঁদের অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ মেডিক্যাল কলেজগুলিকে। মাল্টি ডিসিপ্লিনারি মেডিক্যাল বোর্ড তৈরির নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য দফতর। প্রত্যেক দিন দু’বার তাঁদের চিকিৎসা সংক্রান্ত রিপোর্ট স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সব মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালদের নির্দেশ, মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ও সুপার-রা ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসকদের চিকিৎসায় নজরদারি করবেন। সিসিইউতে রেখে চিকিৎসা চলছে অসুস্থ অনশনকারীদের। তাঁরা কে কেমন আছেন, তা জানতে চায় স্বাস্থ্যভবন।
প্রসঙ্গত, ১০ দফা দাবিতে গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় ‘আমরণ অনশনে’ বসেছিলেন ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার। তাঁদের মধ্যে তিন জন, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, পুলস্ত্য আচার্য এবং তনয়া পাঁজা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। ৬ অক্টোবর থেকে অনশনে বসা আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতোকেও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে বৃহস্পতিবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়।
আরও পড়ুন:
উত্তরবঙ্গেও ‘আমরণ অনশনে’ বসছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। ৬ অক্টোবর অনশনে বসেন সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অলোক বর্মা। বর্তমানে দু’জনেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে এখন পাঁচ জন অনশনকারীর চিকিৎসা চলছে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলির সুরক্ষা ও পরিকাঠামো ব্যবস্থা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন মুখ্য সচিব। স্বাস্থ্য দফতরেরর পাশাপাশি পূর্ত দফতরের সঙ্গেও বৈঠক করবেন মুখ্য সচিব। দুপুর তিনটে থেকে পূর্ত দফতরেরর সচিব অন্তরা আচার্যকে ডাকলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ।
রাত্তিরের সাথী প্রকল্পের কি অগ্রগতি তা নিয়ে পূর্ত দফতরের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করবেন মুখ্য সচিব। পাশাপাশি আরজি কর নিয়েও আলোচনা করবেন মুখ্য সচিব পূর্ত দফতরের সচিবের সঙ্গে। মূলত পূর্ত দফতরের তরফে রাজ্যের একাধিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সিসিটিভি, ওয়াশরুম ও রেস্ট রুমের কাজ করা হচ্ছে। তাই পূর্ত দফতরের কাজের অগ্রগতি কতদূর হল? তা নিয়ে পর্যালোচনা করতে পূর্ত দফতরের সচিবের সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। প্রসঙ্গত, আর জি কর হাসপাতালের পরিকাঠামো সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ রাজ্যের পূর্ত দফতর করছে।