দেবী বর্গভীমা

Kali Puja 2024: কালীপুজোয় পুজো দিতে শক্তিপীঠ বর্গভীমা মন্দিরের সকাল থেকেই ভক্তদের ভিড় 

সৈকত শী, তমলুক: আলোর উৎসব দীপাবলি বা কালীপুজো ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার। দীপান্বিতা অমাবস্যা তিথিতে শ্যামাকালীর পুজো হয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অধিষ্ঠাত্রী দেবী বর্গভীমা মায়ের মন্দিরের সকাল থেকেই পুজো দেওয়ার জন্য মানুষের ভিড়। প্রাচীন তাম্রলিপ্ত অধুনা তমলুক শহরে দেবী বর্গভীমা মায়ের মন্দির। পুরানে বর্ণিত এই মন্দির একান্ন সতীপীঠের একপীঠ। মা এখানে ভীমাকালী রূপে পূজিতা হন। বছরের প্রতিদিনই মায়ের পুজোপাঠ চলে। বিশেষ তিথিতে দিনে বিশেষ পুজোপাঠ হয় মন্দিরে। কালীপুজোর দিন সকাল থেকেই মানুষের ঢল মন্দিরে।

তমলুকের শক্তিপীঠের প্রাচীন নাম বিভাস। দেবী এখানে বর্গভীমা বা ভীমারূপা নামে অধিষ্ঠিত। ভৈরব সর্বানন্দ মতান্তরে কপালি। মহামায়া সতীর দেহাংশের মধ্যে বাম গুল্ফ বা বাম পায়ের গোড়ালিএখানে পড়েছিল,এমনটাই বিশ্বাস । ১৪৬৬ খ্রিস্টাব্দ মুকুন্দরামের চন্ডীমঙ্গল কাব্যে গোকুলে গোমতী নামা তাম্রলিপ্তে বর্গভীমা এবং মার্কণ্ডেও পুরাণে আছে দেবী বর্গভীমার উল্লেখ। এটা কী অর্জনের মন্দিরে কালীপুজোর বিশেষ পুজো ব্রহ্ম মুহূর্ত থেকে শুরু হয়েছে। কালীপুজোর দিন সকাল থেকেই শুধু পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মানুষজন নয় কলকাতা, হাওড়া, হুগলি-সহ বিভিন্ন জেলার মানুষের পুজো দিচ্ছেন।

সতীর একান্ন পীঠের এক পীঠ তমলুকের দেবী বর্গভীমা, বর্তমানেও নিষ্ঠার সঙ্গে পূজিত হন মা, শক্তিপুজো শুরুর আগে রয়েছে অনুমতি নেওয়ার প্রথা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সদর ঐতিহাসিক তাম্রলিপ্ত বা তমলুকের আজও মধ্যমণি মা বর্গভীমা। কয়েক হাজার বছর ধরে শক্তি স্বরূপিণী আদ্যাশক্তি মহামায়া রূপে দেবী বর্গভীমার আরাধনা চলে আসছে। ওড়িশি স্থাপত্যের আদলে এই দেউলের উচ্চতা প্রায় ৬০ ফুট। মন্দিরের দেওয়ালে টেরাকোটার অজস্র কাজ। তার মধ্যেই মন্দিরের গর্ভগৃহে কালো পাথরে তৈরি মায়ের মূর্তি বিরাজ করছে দেবী উগ্রতারা রূপে।

আরও পড়ুন : কালীপুজোয় পুজো দিতে শক্তিপীঠ বর্গভীমা মন্দিরের সকাল থেকেই ভক্তদের ভিড় 

তমলুকে ক্লাব প্রতিষ্ঠান হোক বা বাড়ির, প্রথমে দেবী বর্গভীমা মাকে পুজো দিয়ে‌ অনুমতি নিয়ে শুরু হয় পুজো। দেবী বর্গভীমা মায়ের মন্দিরে সকাল থেকেই পুজো দেওয়ার লম্বা লাইন। মেদিনীপুর জেলার মানুষজনই নয়, পার্শ্ববর্তী হাওড়া পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ বিভিন্ন জেলার মানুষ কালীপুজোর দিন মন্দিরে পুজো দেওয়ায় জন্য ভিড় করেছেন। দীপান্বিতা অমাবস্যায় রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিত হন দেবী বর্গভীমা।