Indian Railways: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন সিট-এর সদস্যেরা, কথা আরপিএফ জওয়ানের সাথে

উত্তরবঙ্গ: রেল দুর্ঘটনার তদন্তে এবার ঘটনাস্থলে এলেন SIT-এর সদস্যেরা। রাঙাপানি ট্রেন দূর্ঘটনার তদন্তে SIT গঠন করেছে রাজ্য রেল পুলিশ। এদিন তার সদস্যেরা আসেন দুর্ঘটনাস্থলে। লেভেল ক্রসিং থেকে সিগন্যাল পোস্ট, লাইনের অবস্থা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। কথা বলেন দুর্ঘটনার দিনে মোতায়েন থাকা আরপিএফের জওয়ানের সাথে।

সূত্রের খবর, তাঁদের তরফে রেলের কাছে পণ্যবাহী ট্রেনটির ইঞ্জিন পরীক্ষা করার আবেদন জানানো হয়েছে। ইঞ্জিন পরীক্ষা করলে জানা যাবে, ঘটনার দিন রেলের গতি কত ছিল। এছাড়াও, রাঙাপানিতে একটি ধনুকের মতো বাঁক রয়েছে। সেই জায়গা থেকেও এদিন দুর্ঘটনাস্থল দেখেন তাঁরা।

এই ঘটনায় সিটের সদস্যেরা কথা বলতে চাইছেন পণ্যবাহী ট্রেনের সহকারী চালকের সাথে। তিনিই একমাত্র এই ঘটনার সাক্ষী। এই ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তাঁর বয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: রাঙাপানি দুর্ঘটনার জের! এবার সিগনালিং ব্যবস্থা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করতে চলেছে রেল

যদিও বৃহস্পতিবারও চিকিৎসকের অনুমতি না মেলায় আপাতত বাকি তথ্য সূত্রের উপরে নির্ভর করছেন তাঁরা৷

ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্তে নয়া মোড়। রাঙাপানি স্টেশন মাস্টার ইস্যু করলেন দুটো ফর্ম।একই সঙ্গে দিলেন TA-312 ও T-369(3B), জানা গিয়েছ অটোমেটিক সিগন্যাল ব্যবস্থায় দ্বিতীয় ফর্ম দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অ‍্যাবসোলিউট ব্লক সিস্টেম চালু থাকলে এই ফর্ম প্রয়োজন বলেই রেল সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু! বুধবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ, ঠিক কী ঘটেছিল সেই দিন?

একটি ফর্মে অনুমোদন হল সিগন্যাল পোস্ট পেরনোর অনুমতি। অপর ফর্মের মাধ্যমে মালগাড়ির চালক বুঝলেন চটের হাট পর্যন্ত লাইন পরিষ্কার। তাই তিনি সাধারণ গতিতেই ট্রেন ছোটালেন বলে মনে করা হচ্ছে।

উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের অ্যাক্সিডেন্ট রিপোর্টে উল্লেখ আছে এই দুটি ফর্ম দেওয়ার বিষয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাঙ্গাপানির স্টেশন ম্যানেজারকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনার একটি রিপোর্ট পেশ করা হল।যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে দুর্ঘটনার দিন কাঞ্চন জঙ্ঘা এবং মালগাড়ি দুই চালককেই T/A 912 এর সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল আর একটি কাগজ যেটি হল T/369 (3B)।