#ঢাকা: জাতীয় দলের খেলায় ভারতের বিরুদ্ধে অনেকবার বাড়তি সুবিধা পাওয়ার অভিযোগ এনে থাকে বাংলাদেশ। হেরে গেলে কিছু না কিছু অজুহাত থাকে টাইগারদের। কিন্তু ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগে আইপিএলের ধারে কাছে নেই বিপিএল সেটার স্বীকার করে নিয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। বিসিবি পরিচালক এবং খুলনা টাইগার্সের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন স্বীকার করছেন, বিপিএলের মান পড়ে গেছে।
তাই বিদেশি খেলোয়াড় আসতে চাইছে না, আর সেটাই স্বাভাবিক। সুজন বলেন, পেশাদারিত্ব হিসেবে আমরা খুবই ভাল ছিলাম। আইপিএলের পর আমরা ছিলাম। কিন্তু এখন সবাই টেক ওভার করছে। অনেকেই হয়তো ভাল করছে। এটাও সত্য কথা যে, আমাদের ফ্রাঞ্চাইজি যারা আসছে এটা ওপেন (বিদেশি) করার পরও ড্রাফট থেকে খুব ভাল খেলোয়াড় আমরা পাইনি।
আরও পড়ুন – `যে দেশ আর্জেন্টিনাকে হারিয়েছিল, সে দেশেই খেলছি’! আরবে গিয়ে মেসিকে আবার খোঁচা রোনাল্ডোর
আর ভাল খেলোয়াড় না আসার কারণ যে বিপিএলের গ্রহণযোগ্যতা কমে যাওয়া, সেটি আকার-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন সুজন। তিনি বলেন, যেহেতু দক্ষিণ আফ্রিকা টুর্নামেন্ট করছে। যারা ওখানে খেলছে তারা কিন্তু আইপিএল সেরা টিমই। তাদের জন্য মুখ্য ভূমিকা থাকে আইপিএল খেলার।
The Bangladesh Premier League returns for its ninth edition on January 6 ?? https://t.co/K8LeUMN0MQ
— ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) January 5, 2023
খেলোয়াড়রা কিন্তু আলটিমেটলি চায় ওইসব টুর্নামেন্ট খেলতে, যেন আইপিএলের নজর কাড়তে পারে। তিনি খেলোয়াড় হলেও তেমনটাই ভাবতেন জানিয়ে সুজন বলেন, সারাবিশ্বে আইপিএলের ওপর কোনও ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট নেই। তাদের দলে খেলার জন্য ইচ্ছা তো থাকবেই। আমি খেলোয়াড় হলে আমারও থাকত। আমি এখানে না থেকে ওখানে যেতাম।
আমার মনে হয় আমরা ভারতের মার্কেটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছি না। বিপিএলের পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের লোকসানের বিষয়টিও সামনে এনেছেন সুজন, আমাদের ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরাও যে খুব বড় বাজেটের দল করছেন তা না। কদিন আগেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন এবারের আইপিএলে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের পুরো সময়ের জন্য পাওয়া যাবে না। সেটা জেনেই সাকিব এবং লিটন দাসকে দলে নিয়েছে কেকেআর।