কিডনির চিকিৎসা এবার হবে ত্রিপুরাতেই! স্বাস্থ‍্য পরিষেবায় বড় উদ‍্যোগ

Tripura: কিডনির চিকিৎসা এবার হবে ত্রিপুরাতেই! স্বাস্থ‍্য পরিষেবায় বড় উদ‍্যোগ

ত্রিপুরা: খুব শিগগিরই ত্রিপুরা রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতাল জিবিতে শুরু হতে যাচ্ছে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট। স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে ‘সেন্টার অফ এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সাহা।

খুব শীঘ্রই সে রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতাল জিবিতে শুরু হতে যাচ্ছে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট। জিবি হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি ব্লকে ১৮০ কোটি টাকা আর্থিক ব্যয়ে এই পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে।

আগামীদিনে এই সুপার স্পেশালিটি ব্লকটি চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে ‘সেন্টার অফ এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারে।  জিবি হাসপাতালের বিভিন্ন ব্লক সরেজমিনে ঘুরে দেখে এই তথ্য জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মাণিক সাহা।

আরও পড়ুন: আপনার খুব হাঁচি হয়? জানেন এই হাঁচির শুরু কবে, কেন? সামনে এল এক আশ্চর্য সত্য!

জিবির সুপার স্পেশালিটি ব্লক, নেফ্রলজি বিভাগ, জেনেরিক মেডিসিন কাউন্টার, কার্ডিওলজি বিভাগ-সহ হাসপাতালের বিভিন্ন পরিকাঠামো পরিদর্শন করে যাবতীয় খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা।  রাজ্যের সকল অংশের মানুষকে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে বর্তমান সরকার।

এই দিশায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। রাজ্যের প্রধান হাসপাতাল জিবিতে বিভিন্ন অত্যাধুনিক পরিকাঠামো ক্রমান্বয়ে সংযুক্ত করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার জিবি হাসপাতালের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

পরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, জিবির এই সুপার স্পেশালিটি ব্লকে ১৮০ কোটি টাকা বরাদ্দে বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে। এই জায়গায় জিবির মেডিকেল সুপার ও ডেপুটি সুপারের অফিস স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ৭টি সুপার স্পেশালিটির ওয়ার্ড ও আউটডোর এখানে করা হবে।

এই প্রক্রিয়া দ্রুতগতিতে করার কাজ চলছে। নিউরোলজি ও নিউরো সার্জারি বিভাগও ঘুরে দেখেছি। বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নিই। পরিষেবা ও পরিকাঠামো যাতে আরও উন্নত করা যায় সেই বিষয়েও হাসপাতালের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হয়।

স্বাস্থ্য কর্মীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়েও কথা হয়। পরিকাঠামো সম্পর্কিত বিষয়ে পূর্ত দপ্তরের কাজকর্ম নিয়েও অবগত হই। হাসপাতালে আয়রন মুক্ত পানীয়জল যাতে সরবরাহ করা যায় সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হয়। মোট কথায়, চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে ‘সেন্টার অফ এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যা যা কাজ করতে হয় সেটা করা হবে।