লাইফস্টাইল Knowledge: পার্লে-জি বিস্কুটে ‘G’-এর ‘মানে’ কী বলুন তো? ‘আসল’ উত্তর জানে না অধিকাংশই…! আপনি? Gallery October 12, 2024 Bangla Digital Desk সাধারণ জ্ঞানের চর্চা মাঝে মাঝে এতই আকর্ষণীয় আর মজাদার হয়ে ওঠে যে এই নিয়ে প্রশ্নোত্তর পড়া ও জানা একরকম নেশার মতো হয়ে যায়। বই পড়ে হোক বা পত্র পত্রিকা ঘেঁটে অথবা নানা ধরণের সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে থাকা ক্যুইজ আমাদের নিঃসন্দেহে এই নিয়ে চর্চা করতে আরও উৎসাহিত করে। আজ এই প্রতিবেদনে আমরা সাধারণ জ্ঞানের এমনই একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজব যার সঙ্গে পরিচয় আমাদের ছোটবেলাতেই হতে পারত, কারণ প্রায় সকলেই তাঁদের ছোটবেলা থেকে এই বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত। আর এই জিনিসটি হল আমাদের চেনা বিস্কুট, পার্লে-জি। নামটি শুনলেই অনেকেই নস্ট্যালজিক হয়ে যাবেন। কারণ এই বিস্কুটটির স্বাদ ও নামের সঙ্গে যুগ যুগ ধরেই আমরা পরিচিত। কিন্তু এই নামের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ছোট্ট একটা প্রশ্ন শুনলে আপনি আমি সকলেরই মাথা বনবন করে ঘুরতে পারে। বিস্কুটের নাম শুনলেই ভারতবাসীদের মনে যে নামগুলি আসে তার মধ্যে একেবারে প্রথম সারিতেই থাকে পার্লে-জি। ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জুড়ে গিয়েছে এই নাম। দেশের যে কোনও প্রান্তে গিয়ে বিস্কুট চাইলে এই একটি ব্র্যান্ডের বিস্কুট পাওয়া যাবেই। এককথায় ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রাচীন বিস্কুটের মধ্যে একটি হল পার্লে জি। কিন্তু এই বিস্কুটের নামে ইংরেজি G-শব্দের অর্থ আসলে কী? এই প্রশ্ন শুনলেই হা করে তাকিয়ে থাকবেন অনেকে। পার্লে-জি বিস্কুটের প্যাকেজিং থেকে শুরু করে এর ট্যাগলাইন পর্যন্ত সব কিছুই খুব জনপ্রিয়। মধ্যবিত্ত মানুষ থেকে শুরু করে ধনী— সব শ্রেণীর কাছেই খুব প্রিয় বিস্কুট এটি। এবার এটি নিয়ে নানা ধরেনর অজানা তথ্যও রয়েছে। বিশেষত শিশুদের পছন্দের মজাদার স্বাদের বিস্কুটটি নিয়েই এমন একটি তথ্য আজ জেনে নেওয়া যাক যা অনেকেরই অজানা। বলাই বাহুল্য বিস্কুটের বাজারে আজও পার্লে-জি-র ট্যাগলাইন খুবই জনপ্রিয়। এই অদ্ভুত ট্যাগলাইন থেকে অনেকেই ভাবতে পারেন যে এই Parle-G এ ‘G’ অক্ষরটির অর্থ হল জিনিয়াস। কিন্তু আসল সত্যি অনেকেরই অজানা। আসলে এই পার্লে-জি নামের পিছনের গল্পটা বেশ মজার। গ্লুকোজ থেকে তৈরি হয় পার্লে-জি!পার্লে ব্র্যান্ডটি ১৯২৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেইসময় মাত্র ১২ জন কর্মচারী কাজ করতেন এই সংস্থায়। ১৯৩৮ সালে প্রথমবারের মতো বিস্কুট প্রস্তুত করা হয়েছিল এই সংস্থার পক্ষ থেকে। বিস্কুটটির নাম ছিল Parlage-Glouco। এরপর ৮০-র দশক পর্যন্ত এর নাম একই ছিল। কিন্তু ১৯৮১ সালে, কোম্পানিটি পার্লে-গ্লুকো নামটি পরিবর্তন করে শুধু ‘G’ করে। এই ‘জি’ মানে আসলে গ্লুকোজ। আশির দশকে, এই বিস্কুটটি শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বাচ্চাদের বিশেষ পছন্দের কারণে, কোম্পানিটি জিনিয়াস শব্দটি পরিবর্তন করে। তবে প্যাকেটের গায়ে পার্লে-জি লেখা ছিল। কীভাবে পার্লে জি-র নামের সঙ্গে জুড়ে গেল ইংরেজির G অক্ষরটি জানেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই গল্প। বস্তুত, স্বাধীনতার আগে থেকেই পার্লে-জি বিস্কুট বাজারে এসেছিল। কিন্তু সে সময় পার্লে-জির নাম ছিল গ্লুকো বিস্কুট। পার্লে গ্লুকো বিস্কুট ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারতীয় এবং ব্রিটিশ সৈন্যদের প্রিয় বিস্কুট। তবে স্বাধীনতার পর দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেয়। যার জেরে বিস্কুট উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়। পরে ফের বাজারে ফিরে আসে পার্লে গ্লুকো বিস্কুট। সে সময় আরও অনেক প্রতিযোগী বাজারে এসে পড়েছিল। ব্রিটানিয়ার মতো সংস্থাও গ্লুকোজ-ডি বিস্কুট দিয়ে বাজার দখল করে ফেলেছিল। তবে এই গ্লুকো বিস্কুটটি এরপরে নতুন নামে বাজারে আনা হয়। গ্লুকো বিস্কুটের নাম পরিবর্তন করে পার্লে-জি রাখা হয়। পার্লে-জি নামটি মুম্বইয়ের ভিলে পার্লে এলাকা থেকে নেওয়া হয়েছিল। যেখানে এর কারখানা ছিল। যেহেতু এটি একটি গ্লুকোজ বিস্কুট, তাই ‘G’ এই নামের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। তাই পার্লে-জি-তে ‘G’ শব্দের অর্থ গ্লুকোজ। ডিসক্লেইমার: এই খবরের সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য নিউজ 18 বাংলা নিশ্চিত করে না। বিশেষত আপনার সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধি করাই আমাদের এই প্রতিবেদনের মূল উদ্দেশ্য। আমরা বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট থেকে আপনার জন্য এই ধরনের তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছি। এই সংক্রান্ত চূড়ান্ত জ্ঞানের জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞের মত নেওয়া কাম্য।