মুম্বইঃ সাল ১৯৯৯। সে বছরেই সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছিল সঞ্জয় লীলা বনশালির হম দিল দে চুকে সনম। আর চাউর হয়ে গিয়েছিল ঐশ্বর্য রাই, সলমন খানের প্রেমের খবর। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জলই বয়ে গিয়েছে। তুমুল প্রেম, সম্পর্কে ভাঙন, চরম হাতাহাতি- কিছুই বাদ যায়নি ঐশ্বর্য আর সলমনের মধ্যে।
সবাই বলেন, ভালবাসা নিবিড় হলে তা চট করে ভোলা যায় না। কথাটা সত্যি। আবার এও তো ঠিক যে এক ভালবাসা ভাঙার পরেও মানুষ আবার সাহস করে ভালবাসতে পারে। সলমনের সঙ্গেও তাই হয়েছে। ঐশ্বর্যর পরে তাঁর জীবনে এসেছেন ক্যাটরিনা কাইফ। অন্য দিকে, ঐশ্বর্যও তেমনই ভালবেসে সংসার পেতেছেন অভইষেক বচ্চনের সঙ্গে, ২০০৭ সালে বিয়ে সেরে ফেলেছেন তাঁরা। সলমন অবশ্য এখনও ছাদনাতলার দিকে যাননি। এই প্রেমকাহিনি কে না জানেন!
যেটা জানেন না তা হল ঐশ্বর্য আর ক্যাটরিনার মধ্যে সলমন কাকে বেশি পছন্দ করেন। সে কথাটাই বলিউডের এই সুপুরুষ নায়কের মুখ দিয়ে অবশেষে বের করিয়ে ছেড়েছেন করণ জোহর। উঁহু, সম্প্রতি নয়। সলমন আর করণের কথোপকথনের বিস্ফোরক যে অংশটুকু ভাইরাল হয়েছে নতুন করে, তাও বেশ কিছু বছরের পুরনো।
পুরনো হলেই তো আর তার দাম কমে যায় না। ভালবাসা, সুরা সবই তো সময় যত বাড়ে, তত নিবিড় হয়। দেখা গেল, সলমনের জীবনেও ব্যাপারটা মোটামুটি সেই জায়গাতেই এসে দাঁড়িয়েছে। কফি উইথ করণ চ্যাট শোয়ের এক পর্বে করণ জোহর জানতে চেয়েছেন সলমনের কাছে- ঐশ্বর্য না ক্যাটরিনা, দুজনের মধ্যে সলমনের মতে চোখধাঁধানো সুন্দরী কে?
সলমন কী বলতে পারেন, তা নিয়ে অনেকে ভাবতে বসতেই পারেন। নায়ক যদিও এক মুহূর্তও ভাবেননি। সোজাসুজি বলেছেন- ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। পরে অবশ্য ক্যাটরিনাও যে অনবদ্য সুন্দরী, সে কথাও উল্লেখ করেছেন।
যদিও, গোপন কথাটি আর গোপনে রইল না, পাল্লা ভারি কার দিকে, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরেও, সবাই জেনেই গেলেন!