Kolkata Derby : ডার্বির টিকিট নিয়ে হাহাকার কলকাতায়! চলল পথ অবরোধ থেকে পুলিশের লাঠিচার্জ

#কলকাতা: প্রায় আড়াই বছর পর কলকাতা ডার্বি ফিরেছে নিজের শহরে। এতদিন ইস্টবেঙ্গল অথবা মোহনবাগান সমর্থকদের টিভির পর্দায় এই ম্যাচ দেখে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। গোয়ায় মান্ডবী নদীর তীরে শেষ কয়েকবার সাক্ষাৎ হয়েছে দুই প্রধানের। আইএসএলের মাঠে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাজিমাত করে গিয়েছে সবুজ মেরুন।

কিন্তু সেটা যেমন মাঠে বসে দেখার অভিজ্ঞতা হয়নি সবুজ মেরুন সমর্থকদের, তেমনই লাল হলুদ সমর্থকদেরও প্রিয় দলকে ডার্বি খেলতে দেখার ভাগ্য আবার ফিরতে চলেছে রবিবার। শুধু কলকাতা নয়, শিলিগুড়ি, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম থেকেও এসেছেন সমর্থকরা।

আরও পড়ুন – Baichung Bhutia : কোন পথে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে ভারত? সভাপতি হলে নাকি দেখিয়ে দেবেন বাইচু!

একটা টিকিট চাই, কাতর আবেদন প্রত্যেকের। এটাই প্রমাণ করে কেন ভারতীয় ফুটবলের মক্কা এই কলকাতা। বাঙালি ফুটবল প্রেম যে মরে যায়নি এই ম্যাচ যেন তার প্রমাণ। তবে বড় ম্যাচ আয়োজন করা নিয়ে ডুরান্ড কমিটির অভিজ্ঞতা একেবারে শূন্য। না হলে টিকিট বন্টনের ক্ষেত্রে চরম অপেশাদারিত্ব চোখে পড়ল।

ইস্টবেঙ্গল মাঠের সামনে জনতার হুড়োহুড়ি সামলাতে পুলিশকে গায়ের জোর খাটাতে হয়েছে। দুপুর যত গড়িয়েছে মোহনবাগান মাঠের সামনে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। টিকিট না পেয়ে ধৈর্য হারিয়ে সমর্থকরা রাস্তা অবরোধ করেছেন। কেউ এক পা টিকিট ছাড়া ফিরে যেতে রাজি নন।

সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছিলেন রবিবার মোট ৬০,০০০ দর্শক মাঠে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে। কিন্তু মানুষের উত্তেজনা এবং আবেগ দেখে বোঝা যাচ্ছে এক লাখ টিকিট ছাপা হলেও প্রত্যেকটা বিক্রি হয়ে যেত। কিন্তু রাজ্য সরকার এই মুহূর্তে এতটা ঝুঁকি নিতে রাজি নয়। সমর্থকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তাদের প্রাথমিক দায়িত্ব।

জানা গিয়েছে ডার্বির দিন অতিরিক্ত বাস রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে টিকিট নিয়ে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে যতই উৎসাহ থাকুক, এই মুহূর্তে ডুরান্ড কাপে নকআউটে যাওয়া নিয়ে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান দুটো দলই অনিশ্চিত। ইস্টবেঙ্গল দুটো ড্র করেছে, মোহনবাগান একটি হেরেছে এবং একটি ড্র।

ডার্বিতে যে দল হারবে এবারের মতো ডুরান্ড কাপে তাদের যাত্রা শেষ বলে দেওয়া যায়। ফলে সম্মানের লড়াইয়ে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জায়গা ছেড়ে দেবে না। তাই রবিবার বাঙালির বড় ম্যাচ জমে গেল বলে দেওয়া যায়।